My Facebook Collections 1 to 10

 কুরআনের দুআ আমালের গুরত্ব

প্রকাশ তারিখঃ জানুয়ারি ২৮, ২০২১ইং

 

কুরআনের বাহিরের হাদিসের অপ্রয়োজনিয়তা প্রমান একঃ আমরা অধিকাংশ মুসলিম যারা পাচ সময়ের সলাহ পড়ি তারা জানি যে আললাহুম্মা আজিরনি মিনান্নার অর্থ আললাহ জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করুন। এই দুআটি ফাজার ও মাগরিবের ফারদ সলাহ শেষে সাতবার করে পাঠ করার হাদিস আছে। এই দুআটি সুরহ ফুরকনের ৬৫ ও ৬৬ নম্বর বাক্যসহ কুরআনের আরও কিছু বাক্য দ্বারা গঠন করা হয়েছে। সুরহ ফুরকনের ৬৪ নম্বর বাক্যে এই দুআটি সিজদাহতে পড়ার নির্দেশ আললাহ দিয়েছেন। সুরহ ফুরকনঃ ৬৫) তারা দোয়া করতে থাকেঃ “হে আমাদের রব ! জাহান্নামের আযাব থেকে আমাদের রক্ষা করুন, তার আযাব তো সর্বনাশা৷ ৬৬) আশ্রয়স্থল ও আবাস হি্সেবে তা বড়ই নিকৃষ্ট জায়গা৷” সংগ্রহঃ তাই কুরআনের বাহিরের অধিকাংশ হাদিস মিথ্যা হলেও সকল হাদিস মিথ্যা নয়। অনেক সঠিক হাদিস আছে। কিনতু তা সবই কুরআনে আছে। তাই অবশ্যই কুরআন থেকেই সে জ্ঞান নিতে হবে। কারন কুরআন আললাহ র বই। বাংলায় প্রবাদ আছে মায়ের চাইতে খালার দরদ বেশি নয়। ঠিক তেমনই স্রষ্টা এক আললাহ র চাইতে সৃষ্টির ভালোবাসা বেশি হতে পারে না।

https://youtu.be/o7TP8P-IZQg


সলাহতের বিস্তারিত কুরআনেই আছে

প্রকাশ তারিখঃ ২৯ জানু্যারি, ২০২১ইং

 

কুরআনের বাহিরের হাদিসের অপ্রয়োজনিয়তা। প্রমান দুইঃ যারা দাবি করেন কুরআনের বাহিরের হাদিস ব্যতিত পাচ সময়ের সলাহ আদায় সম্ভব নয় তারা নিচে বর্নিত কুরআনের হাদিসসমুহ অধ্যয়ন করুন। এছাড়াও সুরহ মাইদাহের ছয় নমবর বাক্য ও সুরহ মুজ্জামিল, মুদ্দাসসিরসহ কুরআন অধ্যয়ন করুন। তাহলে ইনশাআললাহ সলাহ যে কেবল পাচ সময়ের আনুষ্টানিকতা নয় তা বুঝতে পারবেন। যারা দৈনিক ১৭ রকাআত ফারদ সলাহতের প্রমান চান। তারা সুরহ ইমরনের ১৫৯, সুরহ আশ শুরর ৩৮ এবং সুরহ হাদিদের ২৭ নমবর বাক্য অধ্যয়ন করুন।
সুরহ ইমরনঃ ৪৩) হে মারইয়াম তোমার রবের ফরমানের অনুগত হয়ে থাকো৷ তাঁর সামনে সিজদানত হও এবং যেসব বান্দা তাঁর সামনে অবনত হয় তুমিও তাদের সাথে অবনত হও। ( এই বাক্য প্রমান করে জামাতে সলাহ আদায়ের গুরত্ব পুরুষ নারির জন্য সমান )
সুরহ বাকরহঃ ৪৩) সলাহ প্রতিষ্টা করো, যাকাত দাও এবং যারা আমার সামনে অবনত হচ্ছে তাদের সাথে তোমরাও অবনত হও। ৪৫) সবর ও সলাহ সহকারে সাহায্য নাও নিসন্দেহে সলাহ বড়ই কঠিন কাজ, ৪৬) কিন্তু সেসব অনুগত বান্দাদের জন্য কঠিন নয় যারা মনে করে , সবশেষে তাদের মিলতে হবে তাদের রবের সাথে এবং তাঁরই দিকে ফিরে যেতে হবে। ১৫২) কাজেই তোমরা আমাকে স্মরণ রাখো, আমিও তোমাদেরকে স্মরণ রাখবো আর আমার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো এবং আমার নিয়ামত অস্বীকার করো না। ১৫৩) হে ঈমানদারগণ সবর ও সলাহতের দ্বারা সাহায্য গ্রহণ করো , আল্লাহ সবরকারীদের সাথে আছেন। ২৩৮) তোমাদের সলাহসমুহ সংরক্ষণ করো, বিশেষ করে এমন সলাহ যাতে সলাহতের সমস্ত গুণের সমন্বয় ঘটেছে। আল্লাহর সামনে এমনভাবে দাঁড়াও যেমন অনুগত সেবকরা দাঁড়ায়। ২৩৯) অশান্তি বা গোলযোগের সময় হলে পায়ে হেঁটে অথবা বাহনে চড়ে যেভাবেই সম্ভব সলাহ পড়ো ৷ আর যখন শান্তি স্থাপিত হয়ে যায় তখন আল্লাহকে সেই পদ্ধতিতে স্মরণ করো , যা তিনি তোমাদের শিখিয়েছেন, যে সম্পর্কে ইতিপূর্বে তোমরা অনবহিত ছিলে। ২৭৭) অবশ্যি যারা ঈমান আনে, সৎকাজ করে, সলাহ কায়েম করে ও যাকাত দেয়, তাদের প্রতিদান নিসন্দেহে তাদের রবের কাছে আছে এবং তাদের কোন ভয় ও মর্মজ্বালাও নেই ৷
সুরহ আহযাবঃ ৪১) হে ঈমানদারগণ! আল্লাহকে বেশী করে স্মরণ করো। ৪২) এবং সকাল সাঁঝে তাঁর মহিমা ঘোষণা করতে থাকো।
সুরহ রুমঃ ১৭) কাজেই আল্লাহর মহিমা ও পবিত্রতা ঘোষণা করো যখন তোমাদের সন্ধ্যা হয় এবং যখন তোমাদের সকাল হয়। ১৮) আকাশসমূহে ও পৃথিবীতে তাঁর জন্যই প্রশংসা এবং (তাঁর মহিমা ও পবিত্রতা ঘোষণা করো) তৃতীয় প্রহরে এবং যখন তোমাদের কাছে এসে যায় যোহরের সময়।
সুরহ তহাঃ ১৩০) কাজেই হে মুহাম্মাদ! এরা যেসব কথা বলে তাতে সবর করো এবং নিজের রবের প্রশংসা ও গুণকীর্তন সহকারে তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করো সূর্য উদয়ের আগে ও তার অস্ত যাবার আগে, আর রাত্রিকালেও প্রশংসা ও মহিমা ঘোষণা করো এবং দিনের প্রান্তগুলোতেও হয়তো এতে তুমি সন্তুষ্ট হয়ে যাবে।
সুরহ দাহরিঃ ২৫) সকাল সন্ধ্যায় তোমার রবের নাম স্মরণ করো। ২৬) রাতের বেলায়ও তার সামনে সিজদায় অবনত হও৷ রাতের দীর্ঘ সময় তাঁর তাসবীহ অর্থাৎ পবিত্র বর্ণনা করতে থাকো।
সুরহ সদঃ ১৭) হে নবী! এরা যে কথা বলে তার ওপর সবর করো এবং এদের সামনে আমার বান্দা দাউদের কাহিনী বর্ণনা করো, যে ছিল বিরাট শক্তিধর, প্রত্যেকটি ব্যাপারে ছিল আল্লাহ অভিমুখী। ১৮) পর্বতমালাকে আমি বিজিত করে রেখেছিলাম তার সাথে, ফলে সকাল সাঁঝে তারা তার সাথে আমার গুণগান, পবিত্রতা ও মহিমা প্রচার করতো। ১৯) পাখপাখারী সমবেত হতো এবং সবাই তার তাসবীহ অভিমুখী হয়ে যেতো। ২০) আমি মজবুত করে দিয়েছিলাম তার সালতানাত, তাকে দান করছিলাম হিকমত এবং যোগ্যতা দিয়েছিলাম ফায়সালাকারী কথা বলার।
সুরহ কলামঃ ৪২) যেদিন কঠিন সময় এসে পড়বেএবং সিজদা করার জন্য লোকদেরকে ডাকা হবে৷ কিন্তু তারা সিজদা করতে সক্ষম হবে না। ৪৩) তাদের দৃষ্টি হবে অবনত ৷ হীনতা ও অপমানবোধ তাদেরকে আচ্ছন্ন করে ফেলবে৷ এর আগে যখন তারা সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলো তখন সিজাদার জন্য তাদেরকে ডাকা হতো (কিন্তু তারা অস্বীকৃতি জানাতো)৷
সুরহ হুদঃ ১১৪) আর দেখো, সলাহ কায়েম করো দিনের দু’ প্রান্তে এবং রাতের কিছু অংশ অতিবাহিত হবার পর আসলে সৎকাজ অসৎকাজকে দূর করে দেয়৷ এটি একটি স্মারক তাদের জন্য যারা আল্লাহকে স্মরণ রাখে।
সুরহ বানি ইসরঈলঃ ৭৮) সলাহ কায়েম করো সূর্য ঢলে পড়ার পর থেকে নিয়ে রাতের অন্ধকার পর্যন্ত এবং ফাজারে কুরআন পড়ারও ব্যবস্থা করো৷ কারণ ফাজারের কুরআন পাঠ পরিলক্ষিত হয়ে থাকে৷ ৭৯) আর রাতে তাহাজ্জুদ পড়ো এটি তোমার জন্য নাফাল অচিরেই তোমার রব তোমাকে “প্রশংসিত স্থানে” প্রতিষ্ঠিত করবেন।
সুরহ হাজঃ ২৬) স্মরণ করো সে সময়ের কথা যখন আমি ইবরাহীমের জন্য এ ঘরের (কাবাঘর) জায়গা নির্ধারণ করেছিলাম (এ নির্দেশনা সহকারে) যে, আমার সাথে কোনো জিনিসকে শরীক করবে না এবং আমার ঘরকে তাওয়াফকারী ও রুকূ’-সিজদা-কিয়ামকারীদের জন্য পবিত্র রাখে। ৭৭) হে ঈমানদারগণ! রুকূ’ ও সিজদা করো, নিজের রবের বন্দেগী করো এবং নেক কাজ করো, হয়তো তোমাদের ভাগ্যে সফলতা আসবে।
সুরহ নিসাঃ ৪৩) হে ঈমানদারগণ ! তোমরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় সলাহতের কাছে যেয়ো না৷ সলাহ সেই সময় পড়া উচিত যখন তোমরা যা বলছো তা জানতে পারো৷ অনুরূপভাবে অপবিত্র অবস্থায়ও গোসল না করা পর্যন্ত সলাহতের কাছে যেয়ো না ৷ তবে যদি পথ অতিক্রমকারী হও, তাহলে অবশ্যি স্বতন্ত্র কথা৷ আর যদি কখনো তোমরা অসুস্থ হয়ে পড়ো, সফরে থাকো বা তোমাদের কেউ মলমূত্র ত্যাগ করে আসে অথবা তোমরা নারী সম্ভোগ করে থাকো এবং এরপর পানি না পাও, তাহলে পাক –পবিত্র মাটির সাহায্য গ্রহণ করো এবং তা নিজেদের চেহারা ও হাতের ওপর বুলাও। নিসন্দেহে আল্লাহ কোমলতা অবলম্বনকারী ও ক্ষমাশীল। ১০১) আর যখন তোমরা সফরে বের হও তখন সলাহ সংক্ষেপ করে নিলে কোন ক্ষতি নেই। (বিশেষ করে) যখন তোমাদের আশংকা হয় যে, কাফেররা তোমাদেরকে কষ্ট দেবে। কারন তারা প্রকাশ্য তোমাদের শতরুতা করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। ১০২) আর হে নাবি ! যখন তুমি মুসলমানদের মধ্যে থাকো এবং (যুদ্ধাবস্থায়) তাদেরকে সলাহ পড়াবার জন্য দাঁড়াও তখন তাদের মধ্য থেকে একটি দলের তোমার সাথে দাঁড়িয়ে যাওয়া উচিত এবং তারা অস্ত্রসস্ত্র সংগে নেবে৷ তারপর তারা সিজদা করে নিলে পেছনে চলে যাবে এবং দ্বিতীয় দলটি, যারা এখনো সলাহ পড়েনি, তারা এসে তোমার সাথে সলাহ পড়বে৷ আর তারাও সর্তক থাকবে এবং নিজেদের অস্ত্রশস্ত্র বহন করবে৷ কারন কাফিররা সুযোগের অপেক্ষায় আছে, তোমরা নিজেদের অস্ত্রশস্ত্র ও জিনিস পত্রের দিক থেকে সামান্য গাফেল হলেই তারা তোমাদের ওপর অকস্মাৎ ঝাঁপিয়ে পড়বে৷ তবে যদি তোমরা বৃষ্টির কারণে কষ্ট অনুভব করো অথবা অসুস্থ থাকো, তাহলে অস্ত্র রেখে দিলে কোন ক্ষতি নেই৷ কিন্তু তবুও সর্তক থাকো৷ নিশ্চিতভাবে জেনে রাখো, আল্লাহ কাফিরদের জন্য লাঞ্ছনাকর আযাবের ব্যবস্থা করে রেখেছেন। ১০৩) তারপর তোমরা সলাহ শেষ করার পর দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে সব অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করতে থাকো৷ আর মানসিক প্রশান্তি লাভ করার পর পুরো সলাহ পড়ে নাও৷ আসলে সলাহ নির্ধারিত সময়ে পড়ার জন্য মুমিনদের ওপর ফারদ করা হয়েছে।
 
কুরআনের ভুল ব্যাখ্যা
প্রকাশ তারিখঃ ৬ মার্চ, ২০২১ইং

কুরআনের বাহিরের হাদিসের অপ্রয়োজনিয়তা। প্রমান তিনঃ- সুরহ আরফঃ ৪৩) তাদের মনে পরষ্পরের বিরুদ্ধে যা কিছু গ্লানি থাকবে তা আমি বের করে দেবো৷ তাদের নিম্নদেশে ঝরণাধারা প্রবাহিত হবে এবং তারা বলবেঃ “প্রশংসা সব আল্লাহরই জন্য, যিনি আমাদের কুরআনের পথ দেখিয়েছেন৷ আমরা নিজেরা পথের সন্ধান পেতাম না যদি না আল্লাহ আমাদের পথ দেখাতেন আমাদের রবের পাঠানো রসূলগণ যথার্থ সত্য নিয়েই এসেছিলেন৷” সে সময় আওয়াজ ধ্বনিত হবেঃ “তোমাদেরকে এই যে জান্নাতের উত্তরাধিকারী বানানো হয়েছে, এটা তোমরা লাভ করেছো সেই সমস্ত কাজের প্রতিদানে যেগুলো তোমরা অব্যাহতভাবে করতে৷ সুরহ রুমঃ ৩০) কাজেই ( হে নাবি এবং নাবির অনুসারীবৃন্দ ) একনিষ্ঠ হয়ে নিজের চেহারা এ দীনের দিকে স্থির নিবদ্ধ করে দাও৷ আল্লাহ মানুষকে যে প্রকৃতির ওপর সৃষ্টি করেছেন তাঁর ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাও৷ আল্লাহ তৈরি সৃষ্টি কাঠামো পরিবর্তন করা যেতে পারে না৷ এটিই পুরোপুরি সঠিক ও যথার্থ দীন৷ কিন্তু অধিকাংশ লোক জানে না৷
ব্যাখ্যাঃ প্রথম বাক্যে কুরআন অধ্যয়নের গুরত্ব ও প্রাপ্তি বোঝানো হয়েছে। দিত্বিয় বাক্যে সকল মানবিকতার বইয়ের লেখকগন প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কুরআন থেকে নিতিবাক্য নকল ও চুরি করেছে বলা আছে। যেমন বুখারি, মুসলিম, গাজ্জালি, রবিন্দ্রনাথ, নজরুল, Shakespeare প্রভৃতি। প্রত্যেক মুসলিমকে ৩০ পারা কুরআনের জ্ঞান অর্জন করে তারপর অন্য কোনো বই পড়তে বাধা নেই। কিনতু বাস্তবতা হলো কুরআনের পাঠক নিশ্চিত হবে যে ধর্ম জ্ঞানের জন্য কুরআন ব্যতিত অন্য কোনো বই অধ্যয়ন প্রয়োজন নেই। আবার ধর্ম ও ধর্ম জ্ঞান কাকে বলে তাতেও আমাদের ভুল ধারনা আছে। ব্যক্তির বিশ্বাস ও প্রতিটা মুহুর্তের কাজকেই ধর্ম বলে। যেমন কুরআনে মাছ চাষের নিয়ম বলা হয়নি তাই মাছ চাষ কিভাবে করতে হয় তা অভিজ্ঞ ব্যক্তির কাছে শিক্ষা করতে হবে। মাছ চাষ শিক্ষা করার পদ্ধতিটা ধর্ম জ্ঞান নয়, কিনতু মাছ কে সৃষ্টি করলেন বা মাছ কেন খাচ্ছি, মাছ কেন আমাকে খাচ্ছে না প্রভৃতি কুরআন থেকে শিখতে হবে। এটি হলো ধর্ম জ্ঞান। তাই মুসলিমকে ধর্ম ও ধর্ম জ্ঞানের সমন্বয় কি জিনিস সেটাও জানা থাকতে হবে। তবে কুরআন বিমুখ পাঠকদের Brain Wash করার জন্য কুরআন পাঠকদেরকে কুরআন বিমুখ পাঠকদের বই অধ্যয়ন করা লাগবে। নিচের ভিডিওর আড়াই মিনিট থেকে দেখতে থাকুন। Covid এর ভয়ে এই আলিম ভাই পাচ সময়ের ফারদ সলাহ মাসজিদে আদায় করা জরুরি নয় এবং হাচি কাশিতে হাত দেওয়ার ভিন্ন নিয়ম উল্লেখসহ আরও কিছু বিষয়ে শিক্ষামুলক আলাপ করেছেন। অথচ আলিম ভাইদের কাছেই আমরা গিলেছি মাসজিদে ২৭গুন সাওয়াব, দাড়ি রাখা ওয়াজিব, টাখনুর নিচের অংশ জাহান্নামে যাবে, নারির মাথা ঢাকা ওয়াজিব, আরও কত কিছু। তাই ইসলাম শিখতে আগে কুরআন অধ্যয়ন করুন। তারপর যদি প্রয়োজন হয় আলিম ভাইদের বক্তব্য শুনবেন। অন্যান্য বই পড়বেন। আলিম ভাইদের দায়িত্ব হলো সাধারন মুসলিমদেরকে উপরের দুই বাক্যের মতো করে কুরআনের বাক্যসমুহের সমন্বয় কিভাবে করতে হয় সেটা শিক্ষা দেওয়া। কারন কুরআন বিশাল একটা বই। তাই সবার পক্ষে এই সমন্বয় সম্ভব নয়। এই দুর্বলতার সুযোগে তারা নিজেদের পছন্দের হাদিসকে কুরআনের হাদিস বলে চালিয়ে দেন। এমনকি তারা অহংকারের সাথে দাবি করেন যে তাদের ও তাদের পুর্ব পুরুষ আলিম ব্যতিত ইসলাম ধ্বংস হয়ে যেত। কি সাংঘাতিক কুরআন বিরোধি কথা। অথচ আললাহ বলেছেন, সুরহ হিজরিঃ ৯) আর এ বাণী, একে তো আমিই অবতীর্ণ করেছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষক৷
 
সালামুন আলা মুহাম্মাদকে অনুসরণ করার অর্থ কুরআন অনুসরণ করা
প্রকাশ তারিখঃ ১৮ মার্চ, ২০২১ইং
 
কুরআনের বাহিরের হাদিসের অপ্রয়োজনিয়তা। প্রমান চারঃ
সুরহ আনফালঃ ৩১) যখন তাদেরকে আমার আয়াত শুনানো হতো, তারা বলতো,হ্যাঁ আমরা শুনেছি, আমরা চাইলে এমন কথা আমরাও শুনাতে পারি৷ এতো সেই সব পুরানো কাহিনী, যা আগে থেকে লোকেরা বলে আসছে৷
ব্যাখ্যাঃ কুরআনের কথাকে কোনো নাবি রসুল বা ব্যক্তির নামে চালিয়ে দেওয়া যে অপরাধ সেই শিক্ষা আমরা এই বাক্যে পাই। কারন পৃথিবির প্রথম বই কুরআন, ফুরকন।
সুরহ আত তাগবুনঃ ৮) তাই ঈমান আন আল্লাহ, তাঁর রসূল এবং সেই ‘নূর’ বা আলোর (অর্থাত কুরআন) প্রতি যা আমি নাযিল করেছি৷ আর তোমরা যা কিছু করছো আল্লাহ সে সম্পর্কে পূর্ণরূপে অবহিত৷
ব্যাখ্যাঃ আললাহ কে আমরা কিভাবে অনুসরণ করবো? আললাহ কে দেখা যায় না। সালামুন আলা মুহাম্মাদকে আমরা কিভাবে অনুসরণ করবো? তিনি মৃত ব্যক্তি। তাই আললাহ ও রসুলকে অনুসরণ করার একমাত্র উপায় হলো কুরআন অনুসরণ করা।
 
বিলাসিতা ও ভিক্ষা, উভয়টিই পাপ
প্রকাশ তারিখঃ ২১ মার্চ, ২০২১ইং
 
কুরআনের বাহিরের হাদিসের অপ্রয়োজনিয়তা। প্রমান পাচঃ
বিলাসিতা ও একান্ত প্রয়োজন ছাড়া সাহায্য চাওয়া বা ভিক্ষা করা পাপ
সুরহ বা-করহঃ ২৬৮) শায়তন তোমাদের দারিদ্রের ভয় দেখায় এবং লজ্জাকর কর্মনীতি অবলম্বন করতে প্রলুব্ধ করে কিন্তু আল্লাহ তোমাদেরকে তাঁর ক্ষমা ও অনুগ্রহের আশ্বাস দেন৷ আল্লাহ বড়ই উদারহস্ত ও মহাজ্ঞানী ৷ ২৭৩) বিশেষ করে এমন সব গরীব লোক সাহায্য লাভের অধিকারী, যারা আল্লাহর কাজে এমনভাবে জড়িয়ে পড়েছে , যার ফলে তারা নিজেদের ব্যক্তিগত অর্থোপার্জনের জন্য প্রচেষ্টা চালাতে পারে না এবং তাদের আত্মমর্যাদাবোধ দেখে অজ্ঞ লোকেরা তাদেরকে সচ্ছল বলে মনে করে ৷ তাদের চেহারা দেখেই তুমি তাদের ভেতরের অবস্থা জানতে পারো ৷ মানুষের পেছনে লেগে থেকে কিছু চাইবে, এমন লোক তারা নয় ৷ তাদের সাহায্যার্থে তোমরা যা কিছু অর্থ ব্যয় করবে , তা আল্লাহর দৃষ্টির অগোচরে থাকবে না ৷
সুরহ ইমরনঃ ১৯৬) হে নবী! দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে আল্লাহর নাফরমান লোকদের চলাফেরা যেন তোমাকে ধোঁকায় ফেলে না দেয় ৷ ১৯৭) এটা নিছক কয়েক দিনের জীবনের সামান্য আনন্দ ফূর্তি মাত্র ৷ তারপর এরা সবাই জাহান্নামে চলে যাবে, যা সবচেয়ে খারাপ স্থান৷
সুরহ নিসাঃ ৩২) আর যা কিছু আল্লাহ তোমাদের কাউকে অন্যদের মোকাবিলায় বেশী দিয়েছেন তার আকাংখা করো না৷ যা কিছু পুরুষেরা উপার্জন করেছে তাদের অংশ হবে সেই অনুযায়ী ৷ আর যা কিছু মেয়েরা উপার্জন করেছে তাদের অংশ হবে সেই অনুযায়ী ৷ হাঁ, আললাহ র কাছে তাঁর ফযল ও মেহেরবানীর জন্য দোয়া করতে থাকো৷ নিশ্চিতভাবেই আল্লাহ সমস্ত জিনিসের জ্ঞান রাখেন৷
ব্যাখ্যাঃ আললাহ উপরের এই বাক্য সমুহসহ কুরআনের আরও বহু বাক্যে পরনির্ভরশিলতা ও ভিক্ষা করতে নিষেধ করেছেন। সুরহ বাকরহের ২৭৩ নমবর বাক্য পড়ে মনে হতে পারে এইখানে প্রচলিত হুজুরদেরকে দান করতে বলা হয়েছে। কিনতু তা নয়। এই বাক্যে মুসলিম সাহায্য প্রার্থি হয় না এটাই আসল শিক্ষা। কিনতু আমাদের আলিম ভাইরা এই বাক্যের অপব্যাখ্যা করে বুখারি তুখারি নাম দিয়ে দানের সাওয়াবের অনেক মিথ্যা কুরআনের বাহিরের হাদিস বানিয়েছেন এবং মাসজিদ, মাদরাসায়, ওয়াজ মাহফিল নামক চুটকি মাহফিলে বসে বসে খাচ্ছেন। সুরহ নিসার ৩২ নমবর বাক্যে ওয়াসআলুললাহি মানে কেবল দুআ নয় বরং দুআ ও কর্ম প্রচেষ্টা। এইভাবে পুরো কুরআনেই দুআ মানেই কর্ম প্রচেষ্টা যুক্ত হতে হবে। কারন আললাহ মানুষের জন্য তার চাহিদার সবকিছু দুনইয়াতে সৃষ্টি করে দিয়েছেন। মানুষের দায়িত্ব হলো তার হাত পা মাথা দিয়ে তা অর্জন করা। তাই কুরআনে দানের আইয়াহ যেহেতু বেশি তাই দান করা, ভিক্ষা না করা এবং ইসলাম রাষ্ট্র ব্যবস্থার আইয়াহ সমুহের সমন্বয় না করলে আমরা কুরআনের বাক্য সমুহের অপব্যাখ্যা করতেই থাকবো।
 
মাসজিদ মাদ্রাসা ব্যবসা নয়
প্রকাশ তারিখঃ ২৬ মার্চ, ২০২১ইং
 
কুরআনের বাহিরের হাদিসের অপ্রয়োজনিয়তা,
প্রমান ছয়ঃ মাসজিদ মাদ্রাসা নিয়ে ব্যবসা।
কুরআনের বাহিরের হাদিস দিয়ে আমাদের মিথ্যা বলা হয়, দুনইয়াতে একটা মাসজিদে সাহায্য করলে জান্নাতে একটা ঘড় বা বাড়ি পাওয়া যাবে। অথচ কত মানুষ রাস্তায় জিবন কাটাচ্ছে। আর মাসজিদ সমুহ টাইলস এসি মকমলে কার্পেট ঝাড়বাতি প্রভৃতি বিলাসিতা দিয়ে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। মাক্কা মাদিনা থেকে গ্রাম সব জায়গায় একই অবস্থা। এই জন্য আমরা প্রতিটা মুসলিমই দায়ি। তবে আলিম ভাইরা বেশি দায়ি কারন তারা এই ব্যবসার প্রত্যক্ষ সুবিধাভোগি। সুরহ জুমুআহ এর ১০ নমবর বাক্য মতে আরও একটা মিথ্যা হাদিস হলো বাজার অপেক্ষা মাসজিদ উত্তম। মাসজিদ শব্দটা নিয়েও একটা ভুল ধারনা সৃষ্ঠি করা হয়েছে। মাসজিদ মানে আমরা বুঝি আলাদা একটা ভবন যেখানে কেবল পাচ সময়ের সলাহ সম্মিলিত ভাবে আদায় করা হবে। এই ধারনাটা ভুল। মাসজিদ শব্দটি সুজুদ বা সিজদাহ শব্দের প্রতিশব্দ। যার অর্থ আললাহ র আনুগত্য করা। তাই মুসলিম যতক্ষন আললাহ র আদেশ নিষেধ মেনে চলে এবং যখন যেখানে বাড়ি, অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান প্রভৃতি যেখানেই সে কুরআন অধ্য্যন, পাচ ওয়াক্ত সলাহ আদায় করে বা অন্য কোনো দুআ করে সেটাই তার মাসজিদ। আললাহ র সতর্কবাণি দেখে নেই। এখানে ১৯ নমবর বাক্যটি অধিক শিক্ষামুলক।
সুরহ তাওবাঃ ১০৭) আরো কিছু লোক আছে , যারা একটি মসজিদ নির্মাণ করেছে (সত্যের দাওয়াতকে) ক্ষতিগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে , (আল্লাহর বন্দেগী করার পরিবর্তে) কুফরী কারার জন্য মুমিনদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে এবং (এ বাহ্যিক ইবাদতগাহকে ) এমন এক ব্যক্তির জন্য গোপন ঘাটি বানাবার উদ্দেশ্যে যে ইতিপূর্বে আল্লাহ ও তার রসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিল৷ তারা অবশ্যি কসম খেয়ে বলবে , ভালো ছাড়া আর কোন ইচ্ছাই আমাদের ছিল না৷ কিন্তু আল্লাহ সাক্ষী , তারা একেবারেই মিথ্যেবাদী৷ ১৭) মুশরিক যখন নিজেরাই নিজেদের কুফরীর সাক্ষ দিচ্ছে তখন আল্লাহর মসজিদসমূহের রক্ষণাবেক্ষণকারী ও খাদেম হওয়া তাদের কাজ নয়৷ তাদের সমস্ত আমল বরবাদ হয়ে গেছে এবং তাদেরকে চিরকাল জাহান্নামে থাকতে হবে৷ ১৮) তারাই হতে পারে আল্লাহর মসজিদ আবাদকারী (রক্ষণাবেক্ষণকারী ও সেবক) যারা আল্লাহর ও পরকালকে মানে , নামায কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং আল্লাহ কে ছাড়া আর কাউকে ভয় করেনা৷ তাদেরই ব্যাপারে আশা করা যেতে পারে যে, তারা সঠিক সোজা পথে চলবে৷ ১৯) তোমরা কি হাজীদের পানি পান করানো এবং মসজিদে হারামের রক্ষণাবেক্ষণ করাকে এমন ব্যক্তিদের কাজের সমান মনে করে নিয়েছ যারা ঈমান এনেছে আল্লাহর প্রতি ও পরকালের প্রতি এবং সংগ্রাম -সাধনা করেছে আল্লাহর পথে ? ২০) এ উভয় দল আল্লাহর কাছে সমান নয়৷ আল্লাহ জালেমদের পথ দেখান না৷ আল্লাহর কাছে তো তারাই উচ্চ মর্যাদার অধিকারী , যারা ঈমান এনেছে এবং তার পথে ঘর-বাড়ি ছেড়েছে ও ধন-প্রাণ সমর্পন করে জিহাদ করেছে৷ তারাই সফলকাম ৷
সুরহ আল জিনঃ ১৮) আর মসজিদসমূহ আল্লাহর জন্য৷ তাই তোমরা আল্লাহর সাথে আর কাউকে ডেকো না ৷ ব্যাখ্যাঃ সুরহ জিনের এই বাক্যটির অর্থ এটা নয় যে, আললাহ কে ডাকার জন্য অজস্র মাসজিদ নামক ভবন নির্মান করতে হবে। এটার অর্থ হলো সুরহ ইখলাস মতে অদৃশ্য শক্তি বলতে আমরা যাতে আললাহ ব্যতিত অন্য সব মিথ্যাকে অস্বিকার করি।
 
কুরআনের বাহিরের ইতিহাস প্রয়োজন নেই
প্রকাশ তারিখঃ ১ এপ্রিল, ২০২১ইং

কুরআনের বাহিরের হাদিসে অপ্রয়োজনিয়তা,
প্রমান সাতঃ
সুরহ আরফঃ ১৮৮) হে মুহাম্মাদ ! তাদেরকে বলো,নিজের জন্য লাভ -ক্ষতির কোন ইখতিয়ার আমার নেই৷ একমাত্র আল্লাহই যা কিছু চান তাই হয়৷ আর যদি আমি গায়েবের খবর জানতাম, তাহলে নিজের জন্যে অনেক ফায়দা হাসিল করতে পারতাম এবং কখনো আমার কোন ক্ষতি হতো না৷ আমি তো যারা আমার কথা মেনে নেয় তাদের জন্য নিছক একজন সতর্ককারী ও সুসংবাদদাতা মাত্র৷ ২০৩) হে নবী !যখন তুমি তাদের সামনে কোন নিদর্শন (অর্থাৎ মুজিযা ) পেশ করো না তখন তারা বলে, তুমি নিজের জন্য কোন নিদর্শন বেছে নাওনি কেন? তাদেরকে বলে দাও, আমি তো কেবল সেই অহীরই আনুগত্য করি যা আমার রব আমার কাছে পাঠান৷ এটি তো অন্তরদৃষ্টির আলো তোমাদের রবের পক্ষ থেকে এবং হেদায়াত ও রহমত তাদের জন্য যারা একে গ্রহণ করে৷ ২০৪) যখন কুরআন, তোমাদের সামনে পড়া হয়, তা শোনো মনোযোগ সহকারে এবং নীরব থাকো, হয়তো তোমাদের প্রতিও রহমত বর্ষিত হবে৷ ১৮৫) তারা কি কখনো আকাশ ও পৃথিবীর ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে চিন্তা করেনি এবং আল্লাহর সৃষ্ট কোন জিনিসের দিকে চোখ মেলে তাকায়নি? আর তারা কি এটাও ভেবে দেখেনি যে, সম্ভবত তাদের জীবনের অবকাশেকাল পূর্ণ হবার সময় ঘনিয়ে এসেছে? তাহলে নবীর এ সতর্কীকরণের পর আর এমন কি কথা (হাদিস) থাকতে পারে যার প্রতি তারা ঈমান আনবে?
সুরহ মুরসালাতঃ ৫০) এখন এ কুরআন ছাড়া আর কোন বাণী (হাদিস) এমন হতে পারে যার ওপর এরা ঈমান আনবে?
ব্যাখ্যাঃ উপরের পাচটি বাক্যই কুরআন বুঝে অধ্যয়নের গুরত্ব শিক্ষা দিচ্ছে। ওয়াহি অর্থ কুরআন। কুরআন আললাহ র হাদিস ও সুন্নাহ কিনতু যেহেতু সালামুন আলা মুহাম্মাদের মাধ্যমে আমরা তা পেয়েছি তাই একমাত্র কুরআনই সালামুন আলা মুহাম্মাদের হাদিস ও সুন্নাহ। বুখারি মুসলিম সালামুন আলা মুহাম্মাদের হাদিস নয়। কুরআনে যথেষ্ট এবং আবশ্যক পরিমান ইতিহাস আছে। মানুষের লেখা ইতিহাস অপ্রয়োজনিয় এবং ব্যবসা। যে কারনে মানুষের লেখা ইতিহাসের বড় শিক্ষা হলো পাতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না। তাই কুরআন অধ্যয়ন শেষ না করে কুরআনের বাহিরের বই ও পাতিহাস অধ্যয়ন করবেন না।
কারন জানতে শ্রদ্ধেয় সলিমুল্লাহ খান ভাইয়ের নিচের ভিডিওটা সহায়ক হবে। সম্পুর্ন ভিডিও দেখতে না চাইলে নিচের ভিডিওর ২২ মিনিট ৩০ সেকেন্ড থেকে তিন চার মিনিট দেখুন। 
 
https://youtu.be/qktS-dUzfAM

জাহান্নামের বর্নণা
প্রকাশ তারিখঃ ১১ এপ্রিল, ২০২১ইং

কুরআনের বাহিরের হাদিসের অপ্রয়োজনিয়তা। প্রমান আটঃ
সুরহ ইউনুসঃ ২৭) আর যারা খারাপ কাজ করেছে, তারা তাদের খারাপ কাজ অনুযায়ীই প্রতিফল পাবে। লাঞ্ছনা তাদেরকে আচ্ছন্ন করে ফেলবে। আল্লাহর হাত থেকে তাদেরকে বাঁচাবার কেউ থাকবে না। তাদের চেহারা যেন আঁধার রাতের কালো আবরণে আচ্ছাদিত হবে। তারা আগুনের হাকদার, সেখানে তারা চিরকাল থাকবে।
ব্যাখ্যাঃ ব্যক্তি জান্নাতি নাকি জাহান্নামি তা অনুমান করার জন্য বিভিন্ন সম্ভাব্য তালিকা বিভিন্ন মিথ্যা ইসলামি সাহিত্যে আমরা পেয়ে থাকি। তার মধ্যে একটা হলো, জাহান্নামি ব্যক্তির মৃত্যুর পর তার চেহারা কালো হয়ে যাবে। এই তত্ত্বটি সুরহ ইউনুসের ২৭ নমবর বাক্য দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। কিনতু এই তত্ত্বটি ভুল। কারন চেহারা কালো হওয়ার দৃশ্য বিচার দিবসের আগে অন্যরা দেখতে পারবে না এবং মৃত্যুর পরের পরিনতি দুনইয়াতে থেকে নিশ্চিত হওয়ার সুযোগ নেই। মৃত ব্যক্তি ব্যতিত আর কেউ তা জানতে পারে না। তাই ইসলাম জানবার জন্য কুরআন ছাড়া অন্য কোনো বই পাঠ করা অত্যন্ত বিপদজনক। সুরহ ইউনুসের ১১ থেকে ২০ নমবর বাক্যে যা অত্যন্ত পরিষ্কার করে আললাহ বলে দিয়েছেন।
 
কুরআনের ভুল ব্যাখ্যা
প্রকাশ তারিখঃ ১৪ এপ্রিল, ২০২১ইং

কুরআনের বাহিরের হাদিসের অপ্রয়োজনিয়তা, প্রমান নয়ঃ
সুরহ বা-করহের ১৮৩ থেকে ১৮৭ নমবর বাক্যে রমাদন মাসের সি-ইয়ামের বিস্তারিত আললাহ বলে দিয়েছেন।
সুরহ নাহালঃ (৯৯) যারা ঈমান আনে এবং নিজেদের রবের প্রতি আস্থা রাখে তাদের ওপর ইবলিস শায়তনের কোন আধিপত্য নেই। (১০০) তার আধিপত্য ও প্রতিপত্তি চলে তাদের ওপর যারা তাকে নিজেদের অভিভাবক বানিয়ে নেয় এবং তার প্ররোচনায় শিরক করে।
সুরহ সাবাঃ (২০) তাদের ব্যাপারে ইবলিস তার ধারণা সঠিক পেয়েছে এবং একটি ক্ষুদ্র মু’মিন দল ছাড়া বাকি সবাই তারই অনুসরণ করছে। (২১) তাদের ওপর ইবলিসের কোন কর্তৃত্ব ছিল না। কিন্তু যা কিছু হয়েছে তা এজন্য হয়েছে যে, আমি দেখতে চাচ্ছিলাম কে পরকাল মান্যকারী এবং কে সে ব্যাপারে সন্ধিহান। তোমার রব সব জিনিসের তত্ত্বাবাধায়ক।
সুরহ সদঃ (৭৭) আললাহ বললেন, “ঠিক আছে, তুমি এখান থেকে বের হয়ে যাও, তুমি বিতাড়িত (৭৮) এবং প্রতিদান দিবস পর্যন্ত তোমার প্রতি আমার লানত।” (৭৯) সে বললো, “হে আমার রব! একথাই যদি হয়ে থাকে, তাহলে এদেরকে যখন পুনরায় উঠানো হবে সে সময় পর্যন্ত আমাকে অবকাশ দাও।” (৮০) আললাহ বললেন, ঠিক আছে, তোমাকে সেদিন পর্যন্ত অবকাশ দেয়া হলো (৮১) যার সময় আমি জানি।” (৮২) সে বললো, “তোমার ইজ্জতের শপথ, আমি সকল মানুষকে পথভ্রষ্ট করবোই, (৮৩) তবে একমাত্র যাদেরকে তুমি একনিষ্ঠ করে নিয়েছো তাদেরকে ছাড়া।” বললেন, (৮৪) “তাহলে এটিই সত্য এবং আমি সত্যই বলে থাকি যে, (৮৫) আমি তোমাকে এবং এসব লোকদের মধ্য থেকে যারা তোমার আনুগত্য করবে তাদের সবাইকে দিয়ে জাহান্নাম ভরে দেবো।”
ব্যাখ্যাঃ উপরের উল্লেখিত সুরহ নাহাল, সুরহ সাবা ও সুরহ সদের বাক্যসমুহ থেকে আমরা নিশ্চিত জানতে পারি শায়তন মানুষকে পাপ কাজে বাধ্য করতে পারে না। সুরহ সাবার বিশ নমবর বাক্যে জানতে পারি যে ভবিষ্যতবাণি করা কোনো অলৌকিক কাজ নয়। আরও জানতে সুরহ আরফ, সুরহ তহা, সুরহ কদরি, সুরহ ফালাক, সুরহ নাস অধ্যয়ন করতে হবে। তাই প্রচলিত কুরআনের বাহিরের হাদিস যেখানে বলা হয় যে রমাদন মাসে ইবলিস শায়তনকে এক মাসের জন্য বন্দি করা হয়, তা সত্য নয়। রমাদন মাসকে দশ দিন করে রহমাত, বরকত, মাগফিরাত নামে যে ভাগ করা হয় তাও সত্য নয়। মুসলিমের জন্য সারা বছর প্রতিটা মুহুর্তই আললাহ র রহমাত, বরকত ও ক্ষমা প্রাপ্তির সুযোগ থাকে। রাতের তারবিহ সলাহ ও তাহাজ্জুদ সলাহ সারা বছরের ইবাদাত। কেবল রমাদন মাসে নয়। তারবিহ ও তাহাজ্জুদের মুল উদ্দেশ্যে কুরআন অধ্যয়ন। অতএব রমাদন মাসে সি-ইয়াম অর্থাত রোজা ব্যতিত আর কোনো বাড়তি ইবাদাত নাই।
 
মুসলিমদের ঐক্যবদ্ধ হতে বাধাসমুহ
প্রকাশ তারিখঃ ২৬ এপ্রিল, ২০২১ইং

কুরআনের বাহিরের হাদিসের অপ্রয়োজনিয়তা। প্রমান দশঃ
সুরহ হুদঃ (৮) আর যদি আমি একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তাদের শাস্তি ( ছোট/বড় বিপদ ও মৃত্যু ) পিছিয়ে দেই তাহলে তারা বলতে থাকে, কোন্ জিনিস শাস্তিটাকে আটকে রেখেছে? শোনো! যেদিন সেই শাস্তির সময় এসে যাবে সেদিন কারো ফিরানোর প্রচেষ্টা তাকে ফিরাতে পারবে না এবং যা নিয়ে তারা বিদ্রূপ করছে তা-ই তাদেরকে ঘেরাও করে ফেলবে। (৯) আমি মানুষকে নিজের অনুগ্রহভাজন করার পর আবার কখনো যদি তাকে তা থেকে বঞ্চিত করি তাহলে সে হতাশ হয়ে পড়ে এবং অকৃতজ্ঞতার প্রকাশ ঘটাতে থাকে। (১০) আর যদি তার ওপর যে বিপদ এসেছিল তার পরে আমি তাকে নিয়ামতের স্বাদ আস্বাদন করাই তাহলে সে বলে, আমার সব বিপদ কেটে গেছে। তখন সে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়ে এবং অহংকার করতে থাকে। (১১) এ দোষ থেকে একমাত্র তারাই মুক্ত যারা সবর করে এবং সৎকাজ করে আর তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা এবং বিরাট প্রতিদানও।
(৫২) আর হে আমার কওমের লোকেরা! মাফ চাও তোমাদের রবের কাছে তারপর তাঁর দিকেই ফিরে এসো। তিনি তোমাদের জন্য আকাশের মুখ খুলে দেবেন এবং তোমাদের বর্তমান শক্তির ওপর আরো শক্তি বৃদ্ধি করবেন। অপরাধীদের মতো মুখ ফিরিয়ে নিয়ো না।
(৬১) আর সামূদের কাছে আমি তাদের ভাই সালেহকে পাঠালাম সে বললো, “হে আমার কওমের লোকেরা! আল্লাহর বন্দেগী করো। তিনি ছাড়া তোমাদের আর কোন ইলাহ নেই। তিনিই তোমাদের যমীন থেকে পয়দা করেছেন এবং এখানেই তোমাদের বসবাস করিয়েছেন। কাজেই তোমরা তাঁর কাছে ক্ষমা চাও এবং তাঁর দিকে ফিরে এসো। নিশ্চয়ই আমার রব নিকটে আছেন তিনি ডাকের জবাব দেন।
(৭৬) (অবশেষে আমার মালা-ইকাহ তাঁকে বললঃ (“হে ইবরাহীম! এ থেকে বিরত হও। তোমার রবের হুকুম হয়ে গেছে, কাজেই এখন তাদের ওপর এ আযাব অবধারিত। কেউ ফেরাতে চাইলেই তা ফিরতে পারে না।
(১০৬) হতভাগ্যরা জাহান্নামে যাবে (যেখানে অত্যধিক গরমে ও পিপাসায়) তারা হ্যাঁ,পাতে ও আর্তচীৎকার করতে থাকবে। (১০৭) আর এ অবস্থায় তারা চিরকাল থাকবে যতদিন আকাশ ও পৃথিবী প্রতিষ্ঠিত থাকবে, তবে যদি তোমার রব অন্য কিছু করতে চান। অবশ্যি তোমার রব যা চান তা করার পূর্ণ ইখতিয়ার রাখেন। (১০৮) আর যারা ভাগ্যবান হবে, তারা জান্নাতে যাবে এবং সেখানে চিরকাল থাকবে, যতদিন পৃথিবী ও আকাশ প্রতিষ্ঠিত থাকবে, তবে যদি তোমার রব অন্য কিছু করতে চান। এমন পুরস্কার তারা পাবে যার ধারাবাহিকতা কখনো ছিন্ন হবে না।
(১২০) আর হে মুহাম্মাদ! এ রসূলদের বৃত্তান্ত, যা আমি তোমাকে শোনাচ্ছি, এসব এমন জিনিস যার মাধ্যমে আমি তোমার হৃদয়কে মজবুত করি। এসবের মধ্যে তুমি পেয়েছো সত্যের জ্ঞান এবং মু’মিনরা পেয়েছে উপদেশ ও জাগরণবাণী। (১২১) তবে যারা ঈমান আনে না তাদেরকে বলে দাও তোমরা তোমাদের পদ্ধতিতে কাজ করতে থাকো এবং আমরা আমাদের পদ্ধতিতে কাজ করে যাই। (১২২) কাজের পরিণামের জন্য তোমরা অপেক্ষা করো এবং আমরাও অপেক্ষায় আছি।
ব্যাখ্যাঃ আট থেকে এগারো এবং ৫২ ও ৬১ নমবর বাক্য কোভিড চাইনিস ভাইরাস থেকে মুক্তির উপায় বলা আছে। মাস্ক পরিধান করে আজিবন এই দুনইয়াতে থাকা যাবে না। মানুষ স্বভাবজাত নাকে কোনো দুর্গন্ধ অনুভব করলে নাক ঢাকে। যারা বিজ্ঞান নিয়ে অহংকার করে তারাও মরার ভয়ে মাস্ক কুসংস্কারে পড়লো কেন সেই শিক্ষা আছে। ৭৬ নমবর বাক্যে নাবি রসুলগনের দুআও যে সবসময় কবুল হয়নি তা আমরা জানতে পারি। তাই সালামুন আলা মুহাম্মাদ বা অন্য কোনো ব্যক্তির সুপারিশে জান্নাতে যাওয়ার দিবাস্বপ্ন দেখা থেকে বিরত থাকতে হবে। ১০৬ থেকে ১০৮ নমবর বাক্যে আমরা মানুষ যেমন একসময় অস্তিত্বহিন ছিলাম তেমন পুনরায় একসময় অস্তিত্বহিন হয়ে যাবো সেই ইংগিত আললাহ এখানে দিয়েছেন। অর্থাৎ জান্নাত জাহান্নাম চিরস্থায়ি নয়। ১২০ থেকে ১২২ নমবর বাক্যে কুরআনে বর্নিত ইতিহাস যে যথেষ্ট, সেই শিক্ষা আছে। সব বিষয়ে বেশি জানতে চাওয়া যে ক্ষতিকর এবং সম্ভব নয় তা বলা আছে এবং নিষেধ করা হয়েছে। ব্যক্তি তার শরিরের ভেতরে কি আছে তাই জানে না। অথচ সেই কিনা স্রষ্টা এক আললাহ কে বিশ্বাস করতে চাক্ষুস প্রমান চায়। বেশি বুঝতে গিয়েই মুসলিমরা প্রতিযুগে ছত্রভংগ হয়েছে। ৭৩ নয়, লক্ষ, কোটি দলে বিভক্ত। ইনশাআললাহু আমিনিনা। অর্থঃ আললাহ নিজ দয়ায় আমাদের কল্যান দান করুন। (সুরহ ইউসুফ ৯৯)

Popular posts from this blog

কুরআন থেকে আমাদের স্রষ্টা এক আললাহ র আদেশ নিষেধের জ্ঞান অর্জন করে, বাস্তবায়ন করি

কুরআনই হাদিস

Salah