My Facebook Collections 17-26

সালাম বা দুরুদ নিয়ে বাড়াবাড়ি ও মিথ্যাচার
কুরআনের বাহিরের হাদিসের অপ্রয়োজনিয়তা, প্রমান ছাব্বিশঃ
সুরহ মুহাম্মাদঃ ২) আর যারা ঈমান এনেছে নেক কাজ করেছে এবং মুহাম্মদের প্রতি যা নাযিল করা হয়েছে তা মেনে নিয়েছে- বস্তুত তা তো তাদের রবের পক্ষ থেকে নাযিলকৃত অকাট্য সত্য কথা- আল্লাহ‌ তাদের খারাপ কাজগুলো তাদের থেকে দূর করে দিয়েছেন এবং তাদের অবস্থা শুধরে দিয়েছেন।
সুরহ ইমরনঃ ১৪৪) মুহাম্মাদ একজন রসূল বৈ তো আর কিছুই নয়। তার আগে আরো অনেক রসূলও চলে গেছে। যদি সে মারা যায় বা নিহত হয়, তাহলে তোমরা কি পেছনের দিকে ফিরে যাবে? মনে রেখো, যে পেছনের দিকে ফিরে যাবে সে আল্লাহর কোন ক্ষতি করবে না, তবে যারা আল্লাহর কৃতজ্ঞ বান্দা হয়ে থাকবে তাদেরকে তিনি পুরস্কৃত করবেন।
সুরহ ইয়াসিনঃ ১৬) রসূলরা বললো, আমাদের রব জানেন আমাদের অবশ্যই তোমাদের কাছে রসূল হিসেবে পাঠানো হয়েছে ১৭) এবং সুস্পষ্টভাবে পয়গাম পৌঁছিয়ে দেয়া ছাড়া আমাদের ওপর আর কোন দায়িত্ব নেই।
৫২) ভীত হয়ে বলবে, “আরে কে আমাদেরকে আমাদের নিঁদমহল থেকে উঠিয়ে দাঁড় করালো?” ----“এটা সে জিনিস যার প্রতিশ্রুতি দয়াময় আল্লাহ‌ দিয়েছিলেন এবং রসূলদের কথা সত্য ছিল।
৬৯) আমি এ (নবী)-কে কবিতা শিখাইনি এবং কাব্য চর্চা তার জন্য শোভনীয়ও নয়। এ তো একটি উপদেশ এবং পরিষ্কার পঠনযোগ্য কিতাব, ৭০) যাতে সে প্রত্যেক জীবিত ব্যক্তিকে সতর্ক করে দিতে পারে এবং অস্বীকারকারীদের ওপর প্রমাণ প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়।
সুরহ ফাতিরঃ ২৩) তুমি তো একজন সতর্ককারী মাত্র। ২৪) আমি তোমাকে সত্য সহকারে পাঠিয়েছি সুসংবাদদাতা ও ভীতি প্রদর্শনকারী বানিয়ে। আর এমন কোন সম্প্রদায় অতিক্রান্ত হয়নি যার মধ্যে কোন সতর্ককারী আসেনি।
সুরহ সফফাতঃ ৩৬) এবং বলতো, “আমরা কি একজন উন্মাদ কবির জন্য আমাদের মাবুদদেরকে ত্যাগ করবো? ৩৭) অথচ সে সত্য নিয়ে এসেছিল এবং রসূলদেরকে সত্য বলে মেনে নিয়েছিল।
(১৭১) আমার প্রেরিত বান্দাদেরকে আমি আগেই, প্রতিশ্রুতি দিয়েছি যে, অবশ্যই তাদেরকে সাহায্য করা হবে। (১৭২) অবশ্যই তাদেরকে সাহায্য করা হবে (১৭৩) এবং আমার সেনাদলই বিজয়ী হবে। (১৭৪) কাজেই হে নবী! কিছু সময় পর্যন্ত তাদেরকে তাদের অবস্থার ওপর ছেড়ে দাও। (১৭৫) এবং দেখতে থাকো, শীঘ্রই তারা নিজেরাও দেখে নেবে।
সুরহ আহযাবঃ ২১) আসলে তোমাদের জন্য আল্লাহর রসূলের মধ্যে ছিল একটি উত্তম আদর্শ এমন প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য যে আল্লাহ‌ ও শেষ দিনের আকাঙ্ক্ষী এবং বেশী করে আল্লাহকে স্মরণ করে।
২৯) আর যদি তোমরা আল্লাহ, তাঁর রসূল ও আখেরাতের প্রত্যাশী হও, তাহলে জেনে রাখো তোমাদের মধ্যে যারা সৎকর্মশীল তাদের জন্য আল্লাহ‌ মহা প্রতিদানের ব্যবস্থা করে রেখেছেন।
৩৬) যখন আল্লাহ‌ ও তাঁর রসূল কোন বিষয়ের ফায়সালা দিয়ে দেন তখন কোন মু’মিন পুরুষ ও মু’মিন নারীর সেই ব্যাপারে নিজে ফায়সালা করার কোন অধিকার নেই। আর যে কেউ আল্লাহ‌ ও তাঁর রসূলের নাফরমানী করে সে সুস্পষ্ট গোমরাহীতে লিপ্ত হয়।
৪৫) এবং তাদের জন্য আল্লাহ‌ বড়ই সম্মানজনক প্রতিদানের ব্যবস্থা করে রেখেছেন। হে নবী! আমি তোমাকে পাঠিয়েছি সাক্ষী বানিয়ে, ৪৬) সুসংবাদদাতা ও ভীতি প্রদর্শনকারী করে আল্লাহর অনুমতিক্রমে তাঁর দিকে আহ্বানকারীরূপে এবং উজ্জ্বল প্রদীপ হিসেবে।
ব্যাখ্যাঃ সালামুন আলা মুহাম্মাদের নামের শেষে আমরা যে সালাম (দুরুদ) বলি "সল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম" এই বাক্যটি সুরহ আহযাবের ৫৬ নম্বর হাদিসের শেষ অংশ থেকে আমদানি করা হয়েছে। আমাদের সমাজে সিরাতুন্নাবি আলোচনা হয়ে থাকে। আস সিরত শব্দটি সুরহ ফাতিহা ও সুরহ সদের ২২ নম্বর হাদিসের শেষে আছে। সিরত অর্থ পথ। তাই সিরত কুরআনের বাহিরে আলোচনা হওয়া উচিত নয়। আমরা কুরআন খতম করেছি বলি। খতাম শব্দটা সুরহ বা-ক-রহের সাত নম্বর হাদিসে আছে। খতাম অর্থ কোনো নিয়ম আদেশ বা কাজ চুড়ান্ত করা। দুরুদ নিয়ে আমাদের অনেক ভুল শিক্ষা দেওয়া হয়। প্রতিদিন একশত বার দুরুদ পড়লে নাকি নাবির সুপারিশ নিশ্চিত বা ওনাকে স্বপ্নে দেখা যাবে প্রভৃতি মিথ্যাচার করা হয়। অথচ আললাহ সুরহ যুমারে পরিষ্কার বলে দিয়েছেন যে আললাহ র অনুমতি ছাড়া কেউ সুপারিশ করতে পারবে না। প্রকৃত দুরুদ কুরআন অধ্যয়ন, আনুগত্য এবং কুরআনের দুআ দ্বারা দুরুদ পাঠ করা। তাই প্রচলিত দুরুদে ইবরহিম ও অন্যান্য দুরুদ সঠিক নয়। আললাহ সুরহ সফফাতের ৮৩ থেকে ১১৩ নম্বর হাদিস এবং সুরহ ইবরহিমসহ কুরআনের আরও একাধিক হাদিসে সালামুন আলা ইবরহিমের প্রশংসা করেছেন। এই কারনে কোনো আলিম ভাই এই দুরুদটি বানিয়েছেন। অথচ কুরআন যেহেতু আমরা সালামুন আলা মুহাম্মাদের মাধ্যমে পেয়েছি তাই কুরআন অধ্যয়ন ও অনুশিলন আমরা যত করবো ততই সালামুন আলা মুহাম্মাদ সয়ংক্রিয়ভাবে সাওয়াব পেতে থাকবেন পাশাপাশি আললাহ র সন্তুষ্টি আমরা অর্জন করতে পারবো। সালামুন আলা মুহাম্মাদসহ সকল নাবি রসুলগন জান্নাতি এবং মৃত্যুর পরপরই তারা জান্নাতে চলে গিয়েছেন। তাই প্রকৃত অর্থে আমাদের দুআ ওনাদের প্রয়োজন নাই। কিনতু আমাদের সালাম পাঠাতে বলার উদ্দেশ্য হলো আমরা যাতে আখিরতের জিবনের যত বর্ননা কুরআনে আছে তা জিবন্ত অনুভব করে ইমান বৃদ্ধি করতে পারি। তাই যারা দুরুদ ও মিলাদ পাঠ নিয়ে অপব্যাখ্যা করেন তাদের সাবধান হওয়া উচিত। সুরহ হাশারের দশ নম্বর হাদিস দেখুন। ইনশাআললাহু আমিনিনা।
 
আললাহ র ক্ষমতা ও মর্যাদা
প্রকাশ তারিখঃ দুই অক্টোবর ২০২১ইং
কুরআনের বাহিরের হাদিসের অপ্রয়োজনিয়তা, প্রমান পচিশঃ
সুরহ লুকমানঃ (২) এগুলো জ্ঞানগর্ভ কিতাবের আয়াত। (৩) পথনির্দেশনা ও অনুগ্রহ সৎকর্মশীলদের জন্য (৪) যারা সলাহ কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং আখেরাতে বিশ্বাস করে। (৫) এরাই তাদের রবের পক্ষ থেকে সঠিক পথে রয়েছে এবং এরাই সাফল্য লাভ করবে।
(৩৩) হে মানুষেরা! তোমাদের রবের ক্রোধ থেকে সতর্ক হও এবং সেদিনের ভয় করো যেদিন কোন পিতা নিজের পুত্রের পক্ষ থেকে প্রতিদান দেবে না এবং কোন পুত্রই নিজের পিতার পক্ষ থেকে কোন প্রতিদান দেবে না। প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সত্য। কাজেই এ দুনিয়ার জীবন যেন তোমাদের প্রতারিত না করে এবং প্রতারক যেন তোমাকে আল্লাহর ব্যাপারে প্রতারিত করতে সক্ষম না হয়।
(২৬) আকাশসমূহ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে তা আল্লাহরই। নিঃসন্দেহ আল্লাহ‌ অমুখাপেক্ষী ও নিজে নিজেই প্রশংসিত। (২৭) পৃথিবীতে যত গাছ আছে তা সবই যদি কলম হয়ে যায় এবং সমুদ্র (দোয়াত হয়ে যায়) , তাকে আরো সাতটি সমুদ্র কালি সরবরাহ করে তবুও আল্লাহর কথা (লেখা) শেষ হবে না। অবশ্যই আল্লাহ‌ মহাপরাক্রমশালী ও জ্ঞানী। (২৮) তোমাদের সমগ্র মানবজাতিকে সৃষ্টি করা এবং তারপর পুনর্বার তাদেরকে জীবিত করা (তার জন্য) নিছক একটিমাত্র প্রাণী (সৃষ্টি করা এবং তাকে পুনরুজ্জীবিত) করার মতই ব্যাপার। আসলে আল্লাহ‌ সবকিছুই শোনেন ও দেখেন।
সুরহ হাশারঃ ২১) আমি যদি এই কুরআনকে কোন পাহাড়ের ওপর নাযিল করতাম তাহলে তুমি দেখতে পেতে তা আল্লাহর ভয়ে ধসে পড়ছে এবং ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। আমি মানুষের সামনে এসব উদাহরণ এ জন্য পেশ করি যাতে তারা (নিজেদের অবস্থা সম্পর্কে) ভেবে দেখে।
সুরহ আহযাবঃ ৭২) আমি এ আমানতকে আকাশসমূহ, পৃথিবী ও পর্বতরাজির ওপর পেশ করি, তারা একে বহন করতে রাজি হয়নি এবং তা থেকে ভীত হয়ে পড়ে। কিন্তু মানুষ একে বহন করেছে, নিঃসন্দেহে সে বড় জালেম ও অজ্ঞ।
৭৩) এ আমানতের বোঝা উঠাবার অনির্বায ফল হচ্ছে এই যে, আল্লাহ‌ মুনাফিক পুরুষ ও নারী এবং মুশরিক পুরুষ ও নারীদেরকে সাজা দেবেন এবং মু’মিন পুরুষ ও নারীদের তাওবা কবুল করবেন, আল্লাহ‌ ক্ষমাশীল ও করুণাময়।
সুরহ সাবাঃ ১২) আর সুলাইমানের জন্য আমি বাতাসকে বশীভূত করে দিয়েছি, সকালে তাঁর চলা এক মাসের পথ পর্যন্ত এবং সন্ধ্যায় তাঁর চলা এক মাসের পথ পর্যন্ত। আমি তার জন্য গলিত তামার প্রস্রবণ প্রবাহিত করি। এবং এমন সব জিনকে তাঁর অধীন করে দিয়েছে যারা তাদের রবের হুকুমে তাঁর সামনে কাজ করতো। তাদের মধ্য থেকে যে আমার হুকুম অমান্য করে তাকে আমি আস্বাদনকরাই জলন্ত আগুনের স্বাদ।
৪৫) এদের পূর্বে অতিক্রান্ত লোকেরা মিথ্যা আরোপ করেছিল। যা কিছু আমি তাদেরকে দিয়েছিলাম তার এক-দশমাংশেও এরা পৌঁছুতে পারেনি। কিন্তু যখন তারা আমার রসূলের প্রতি মিথ্যা আরোপ করলো তখন দেখে নাও আমার শাস্তি ছিল কেমন কঠোর।
সুরহ ফাতিরঃ ৪৪) তারা কি পৃথিবীতে কখনো চলাফেরা করেনি, যার ফলে তারা তাদের পূর্বে যারা চলে গেছে এবং যারা তাদের চেয়ে অনেক বেশী শক্তিশালী ছিল তাদের পরিণাম দেখতে পেতো? আকাশমণ্ডলীতে ও পৃথিবীতে আল্লাহকে অক্ষম করে দেবার মতো কোন জিনিস নেই। তিনি সবকিছু জানেন এবং সব জিনিসের ওপর ক্ষমতাশালী।
৪০ নমবর সুরহ মুউমিনুনঃ (২১) এসব লোক কি কখনো পৃথিবীর বুকে ভ্রমণ করেনি তাহলে ইতিপূর্বে যারা অতীত হয়েছে তাদের পরিণাম দেখতে পেতো? তারা এদের চেয়ে বেশী শক্তিশালী ছিল এবং এদের চেয়েও বেশী শক্তিশালী স্মৃতিচিহ্ন পৃথিবীর বুকে রেখে গিয়েছে। কিন্তু গোনাহর কারণে আল্লাহ‌ তাদেরকে পাকড়াও করেছেন। আল্লাহর হাত থেকে তাদের রক্ষাকারী কাউকে পাওয়া যায়নি।
৮২) সুতরাং এরা কি এ পৃথিবীতে বিচরণ করেনি, তাহলে এরা এদের পূর্ববর্তী লোকদের পরিণতি দেখতে পেত? তারা সংখ্যায় এদের চেয়ে বেশী ছিল, এদের চেয়ে অধিক শক্তিশালী ছিল এবং পৃথিবীর বুকে এদের চেয়ে অধিক জাঁকালো নিদর্শন রেখে গেছে। তারা যা অর্জন করেছিল, তা শেষ পর্যন্ত তাদের কাজে লাগেনি।
ব্যাখ্যাঃ সুরহ সাবার ১২ ও ৪৫, ফাতিরের ৪৪ এবং মুউমিনুনের ২১ ও ৮২ নম্বর হাদিসে সালামুন আলা সুলায়মানের যুগেও উড়োজাহাজ, ইন্টারনেট এবং আরও উন্নত প্রযুক্তি ছিল তার ইংগিত আছে। তাই আমরা নিজেদের প্রযুক্তির সর্বোচ্চ যুগে আছি, এই ধারনা ঠিক নয়। সুরহ লুকমানের দুইতিন নম্বর হাদিসসহ উপরের বাকি সকল হাদিসে কুরআনের মর্যাদা বলা হয়েছে। আইয়াত মানে কেবল কুরআনের হাদিস নয়। আললাহ র প্রতিটা সৃষ্টিই আইয়াহ। এটা বুঝতে সুরহ রুমের তিন নম্বর রুকুর ২০ থেকে ২৭ নম্বর হাদিস দেখুন। সুরহ লুকমানের ২৮ নম্বর হাদিসে আললাহ র বিশাল ক্ষমতার বর্ননা আছে। যা আমাদের বুদ্ধি যুক্তি বুঝতে অক্ষম। কিনতু বিশ্বাস করা সম্ভব। কারন আমরা জানি আমাকে আমি সৃষ্টি করিনি। এই নিশ্চিত বিশ্বাস আমাদের আছে। তাই আললাহ কুরআনে যেভাবে আমাদের বিশ্বাস করতে বলেছেন সেটা বুঝতে প্রতিদিন কুরআনের সাথে সম্পর্ক গড়তে হবে। যারা বুখারি মুসলিমকে সালামুন আলা মুহাম্মাদের হাদিস ভাবেন তারা সুরহ সাবার ৩১ থেকে ৩৩ ও ৩৭-৩৮ নম্বর হাদিস অধ্যয়ন করুন।
 
 
প্রকাশ তারিখঃ ১২ সেপ্টম্বর ২০২১ইং
কুরআনের বাহিরের হাদিসের অপ্রয়োজনিয়তা। প্রমান দুই ডজনঃ
সুরহ নুরঃ ৫১) মু’মিনদের কাজই হচ্ছে, যখন তাদেরকে আল্লাহ‌ ও রসূলের দিকে ডাকা হয়, যাতে রসূল তাদের মোকদ্দমার ফায়সালা করেন, তখন তারা বলেন, আমরা শুনলাম ও মেনে নিলাম। এ ধরনের লোকেরাই সফলকাম হবে।
৫২) আর সফলকাম তারাই যারা আল্লাহ‌ ও রসূলের হুকুম মেনে চলে এবং আল্লাহকে ভয় করে এবং তাঁর নাফরমানী করা থেকে দূরে থাকে।
৫৪) বলো, “আল্লাহর অনুগত হও এবং রসূলের হুকুম মেনে চলো। কিন্তু যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও। তাহলো ভালোভাবে জেনে রাখো, রসূলের ওপর যে দায়িত্বের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে সেজন্য রসূলই দায়ী এবং তোমাদের ওপর যে দায়িত্বের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে সেজন্য তোমরাই দায়ী। তাঁর আনুগত্য করলে তোমরা নিজেরাই সৎ পথ পেয়ে যাবে, অন্যথায় পরিষ্কার ও দ্ব্যর্থহীন হুকুম শুনিয়ে দেয়া ছাড়া রসূলের আর কোন দায়িত্ব নেই।”
৫৫) আল্লাহ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তোমাদের মধ্য থেকে যারা ঈমান আনবে ও সৎকাজ করবে তাদেরকে তিনি পৃথিবীতে ঠিক তেমনিভাবে খিলাফত দান করবেন যেমন তাদের পূর্বে অতিক্রান্ত লোকদেরকে দান করেছিলেন, তাদের জন্য তাদের দ্বীনকে মজবুত ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত করে দেবেন, যাকে আল্লাহ তাদের জন্য পছন্দ করেছেন এবং তাদের (বর্তমান) ভয়-ভীতির অবস্থাকে নিরাপত্তায় পরিবর্তিত করে দেবেন। তারা শুধু আমার বন্দেগী করুক এবং আমার সাথে কাউকে যেন শরীক না করে। আর যারা এরপর কুফরী করবে তারাই ফাসেক। ৫৬) সলাহ কায়েম করো, যাকাত দাও এবং রসূলের আনুগত্য করো, আশা করা যায়, তোমাদের প্রতি করুণা করা হবে।
৬২) মু’মিন তো আসলে তারাই যারা অন্তর থেকে আল্লাহ‌ ও তাঁর রসূলকে মানে এবং যখন কোন সামষ্টিক কাজে রসূলের সাথে থাকে তখন তার অনুমতি ছাড়া চলে যায় না। যারা তোমার কাছে অনুমতি চায় তারাই আল্লাহ‌ ও তাঁর রসূলে বিশ্বাসী। কাজেই তারা যখন তাদের কোন কাজের জন্য তোমার কাছে অনুমতি চায় তখন যাকে চাও তুমি অনুমতি দিয়ে দাও এবং এ ধরনের লোকদের জন্য আল্লাহর কাছে মাগফিরাতের দোয়া করো। আল্লাহ অবশ্যই ক্ষমাশীল ও করুণাময়। ৬৩) হে মুসলমানরা! রসূলের আহবানকে তোমাদের মধ্যে পরস্পরের আহবানের মতো মনে করো না। আল্লাহ তাদেরকে ভালো করেই জানেন যারা তোমাদের মধ্যে একে অন্যের আড়ালে চুপিসারে সটকে পড়ে। রসূলের হুকুমের বিরুদ্ধাচারণকারীদের ভয় করা উচিত যেন তারা কোন বিপর্যয়ের শিকার না হয় অথবা তাদের ওপর যন্ত্রণাদায়ক আযাব না এসে পড়ে। ৬৪) সাবধান হয়ে যাও, আকাশে ও পৃথিবীতে যা কিছু সব আল্লাহরই। তোমরা যে নীতিই অবলম্বন করো আল্লাহ‌ তা জানেন। যেদিন লোকেরা তাঁর দিকে ফিরে যাবে সেদিন তিনি তাদের বলে দেবেন তারা কি সব করে এসেছে। তিনি সব জিনিসের জ্ঞান রাখেন।
১) এটি একটি সূরা, আমি এটি নাযিল করেছি এবং একে ফরয করে দিয়েছি আর এর মধ্যে সুস্পষ্ট নির্দেশসমূহ নাযিল করেছি, হয়তো তোমরা শিক্ষা গ্রহণ করবে।
৩৭) যারা ব্যবসায় ও বেচাকেনার ব্যস্ততার মধ্যেও আল্লাহর স্মরণ এবং সলাহ কায়েম ও যাকাত আদায় করা থেকে গাফিল হয়ে যায় না। তারা সেদিনকে ভয় করতে থাকে যেদিন হৃদয় বিপর্যস্ত ও দৃষ্টি পাথর হয়ে যাবার উপক্রম হবে।
ব্যাখ্যাঃ সুরহ নুরের ৫১-৫২-৫৪-৫৫-৫৬-৬২-৬৩ নম্বর হাদিসে সালামুন আলা মুহাম্মাদের মর্যাদা পরিষ্কার বলা হয়েছে। এই হাদিসসমুহের অপব্যাখ্যা করে মুসলিমদেরকে কুরআনের বাহিরের হাদিসকে সালামুন আলা মুহাম্মাদের হাদিস বিশ্বাস করানো হয়েছে। অথচ এই হাদিসসমুহে যতবার রসুলের আনুগত্যের আদেশ করা হয়েছে ততবারই প্রথমে আললাহ র আনুগত্যের আদেশ আছে। তাই এটা পরিষ্কার যে রসুলের আনুগত্য মানে একমাত্র কুরআন। বুখারি মুসলিম বা অন্য কোনো হাদিস নয়। যা কুরআনের বহু হাদিস এবং সুরহ নুরের ১ ও ৩৭, ৬৪ নম্বর হাদিসে স্পষ্ট বলা আছে। যে ব্যক্তি কুরআনে ইসলামের বিস্তারিত পায় না দাবি করে সে মিথ্যাবাদি। সে দেখতে চায় না বলে দেখতে পায় না। আমাদের আলিম সমাজ লক্ষ কোটি টাকার মাসজিদ, মাদ্রাসা, ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় নামক ব্যবসার লোভে ও ফাদে বন্দি। তাই তাদের পক্ষে কুরআনই ইসলাম বলাটা আরও অসম্ভব। ইসলামের দলিল জমির দলিলের মতো চোখে দেখা যায় এমন দলিল নয়। এটা বিশ্বাসের দলিল। আর বিশ্বাসের দলিল যে সবচাইতে বড় ও চুড়ান্ত দলিল তার প্রমান সুরহ বা-ক-রহের তিন নম্বর হাদিসে আললাহ বলে দিয়েছেন। তাই বুখারি মুসলিম ও অন্যান্য হাদিস গ্রন্থে যেভাবে বিভিন্ন সাহাবিদের নাম নিয়ে হাদিস বর্ননা করে সাহিহ যয়িফ দাবি করা হয় তা হাস্যকর ও যুক্তিহিন। এইভাবে ব্যক্তি পুজা করা অন্যায়। যে কারনে সুরহ মা-ইদাহের ১০৫ নম্বর হাদিস উপেক্ষা করে একদল আলি আর এক দল মুয়াবিয়ার অপপ্রচার করে। বুখারি মুসলিম যে ক্ষতিকর ও মানবরচিত তার জন্য একটা প্রমানই যথেষ্ট আর তা হলো অধিকাংশ মুসলিম কুরআন চর্চা করে না। ইনশাআললাহু আমিনিনা।
 
 
প্রকাশ তারিখঃ ছয় সেপ্টেম্বর ২০২১ইং
কুরআনের বাহিরের হাদিসের অপ্রয়োজনিয়তা, প্রমান তেইশঃ
৬১ নম্বর সুরহ সফঃ (১) আসমান ও যমীনে যা কিছু আছে তা সবই আল্লাহর তাসবীহ করেছে। তিনি মহাপরাক্রমশালী ও মহাজ্ঞানী। (২) হে মু’মিনগণ! তোমরা এমন কথা কেন বল যা নিজেরা করো না? (৩) আল্লাহর কাছে এটা অত্যন্ত অপছন্দনীয় কাজ যে, তোমরা এমন কথা বলো যা করো না। (৪) আল্লাহ সেই সব লোকদের ভালবাসেন যারা তাঁর পথে এমনভাবে কাতারবন্দী হয়ে লড়াই করে যেন তারা সীসা গলিয়ে ঢালাই করা এক মজবুত দেয়াল। (৭) সেই ব্যক্তির চেয়ে বড় জালেম আর কে হবে যে আল্লাহর বিরুদ্ধে মিথ্যা বানিয়ে বলে। অথচ তাকে শুধু ইসলামের (আল্লাহর আনুগত্য করার) দিকে আহ্বান করা হচ্ছে। আল্লাহ এ রকম জালেমদের হিদায়াত দেন না।
ব্যাখ্যাঃ আহলি হাদিস ভাইরা জামাতের সলাহতে কাতার সোজা করার যে হাদিস বলেন সেটা এই সুরহ সফের চার নম্বর হাদিস দিয়ে গঠন করা হয়েছে। এই নির্দেশ জিবনের প্রতিটা লেনদেনেই বাস্তবায়ন করতে হবে। কেবল পাচ সময়ের সলাহতে এই নির্দেশ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে চলবে না। এখানে সলাহতে পায়ে পা লাগানোর নির্দেশ দেওয়া হয়নি। কাতার পায়ে পা না লাগিয়েও সোজা রাখা সম্ভব। তবে যারা পায়ে পা লাগিয়ে দাড়াতে ইচ্ছুক তাদের সে স্বাধিনতা আছে। সাত নম্বর হাদিসে কুরআনের বাহিরের হাদিস যে সালামুন আলা মুহাম্মাদের হাদিস নয় তার প্রমান আছে।
 
 
প্রকাশ তারিখঃ ২৯ আগস্ট ২০২১ইং
কুরআনের বাহিরের হাদিসের অপ্রয়োজনিয়তা, প্রমান বাইশঃ
সুরহ তা-গবুনঃ (৮) তাই ঈমান আনো আল্লাহ, তাঁর রসূল এবং সেই ‘নূর’ বা আলোর প্রতি যা আমি নাযিল করেছি। আর তোমরা যা কিছু করছো আল্লাহ‌ সে সম্পর্কে পূর্ণরূপে অবহিত। (৯) (এ বিষয়ে তোমরা টের পাবে সেইদিন। যখন একত্র করার দিন তোমাদের সবাইকে তিনি একত্র করবেন। সেদিনটি হবে তোমাদের পরস্পরের হার-জিতের দিন। যে আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছে এবং নেক আমল করে আল্লাহ তা’আলা তার গোনাহ মুছে ফেলবেন আর তাকে এমন জান্নাতে প্রবেশ করাবেন যার পাদদেশ দিয়ে ঝরণা বইতে থাকবে। এসব লোক চিরস্থায়ীভাবে সেখানে থাকবে। এটাই বড় সফলতা (১০) আর যারা কুফরী করেছে এবং আয়াতসমুহকে মিথ্যা বলেছে তারাই দোযখের বাসিন্দা হবে। তারা চিরস্থায়ীভাবে সেখানে থাকবে। তা অত্যন্ত নিকৃষ্ট স্থান। (১১) আল্লাহর অনুমোদন ছাড়া কখনো কোন মুসিবত আসে না। যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি ঈমান পোষণ করে আল্লাহ‌ তার দিলকে হিদায়াত দান করেন। আল্লাহ সব কিছু জানেন। (১২) আল্লাহর আনুগত্য করো এবং রসূলের আনুগত্য করো। কিন্তু তোমরা যদি আনুগত্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নাও তাহলে সত্যকে স্পষ্টভাবে পৌঁছিয়ে দেয়া ছাড়া আমার রসুলের আর কোন দায়িত্ব নেই। (১৩) তিনিই আল্লাহ‌ যিনি ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই। ঈমানদারদের আল্লাহ‌র ওপরেই ভরসা করা উচিত। (১৪) হে সেই সব লোক যারা ঈমান এনেছো, তোমাদের স্ত্রী ও সন্তানদের মধ্যে কেউ কেউ তোমাদের শত্রু। তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাক। আর যদি তোমরা ক্ষমা ও সহনশীলতার আচরণ করো এবং ক্ষমা করে দাও তাহলে আল্লাহ‌ অতীব ক্ষমাশীল, অতীব দয়ালু। (১৫) তোমাদের অর্থ-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি একটি পরীক্ষা। আর কেবলমাত্র আল্লাহর কাছে আছে বিরাট প্রতিদান। (১৬) তাই যথাসাধ্য আল্লাহকে ভয় করে চলো। শোন, আনুগত্য করো এবং নিজেদের সম্পদ ব্যয় করো। এটা তোমাদের জন্যই ভালো। যে মনের সংকীর্ণতা থেকে মুক্ত থাকলো সেই সফলতা লাভ করবে।
ব্যাখ্যাঃ যারা সালামুন আলা মুহাম্মাদ মাটির তৈরি নন বলতে বলতে গলা শুকিয়ে ফেলছেন তাদের জন্য আট নম্বর হাদিসে শিক্ষা আছে। এগারো নম্বর হাদিসে যে কোনো বিপদে আললাহ র নিকট সাহায্য ও ক্ষমা চাওয়ার শিক্ষা আছে। কারন সকল বিপদ আমাদের পাপের কারনে পরিক্ষা হিসাবে আসে। আললাহ দেখতে চান বিপদে মোকাবিলায় আমরা আললাহ র কৃতজ্ঞ হই নাকি আরও বেশি কুফরি, অস্বিকার ও অকৃতজ্ঞ হই। বারোতেরো নম্বর হাদিসে কুরআনই যে সালামুন আলা মুহাম্মাদের হাদিস তার প্রমান আছে। কিনতু উল্টো এই হাদিসকেই অধিকাংশ মুসলিম বুখারি মুসলিমকে তার হাদিস প্রমানের ব্যর্থ চেষ্টা করে। ব্যর্থতার প্রমান হলো অধিকাংশ মুসলিম কুরআন অধ্যয়ন করে না। প্রত্যেক মুসলিম কুরআন সঠিকভাবে অধ্যয়ন করলে বুখারি মুসলিম ও আলিম, পির, শায়খ, রাজনিতিক নেতা নামক ব্যক্তিপুজা থেকে আমরা বিরত থাকতে পারতাম। চৌদ্দপনেরো নম্বর হাদিসে পরিবারকে কুরআনের জ্ঞান দেওয়ার গুরত্ব বলা আছে। নয়তো পরিবারই আমাদের ধ্বংসে কারন হবে। কিনতু আমরা কুরআন থেকে মুসলিমদেরকে দুরে রাখার জন্য এবং এই হাদিস দুইটির শিক্ষা না নেওয়ার খারাপ উদ্দেশ্যে কোটি কোটি টাকা খরচ করে গানের হাদিস বানিয়েছি। নিচের গানটি দেখুন। সর্বশেষ ষোল নম্বর হাদিসে দান অপেক্ষা অর্থনৈতিক বৈষম্য দুর করা যে বেশি গুরত্বপুর্ন তার শিক্ষা আছে। অথচ আমরা দানশিলতা প্রকাশের উদ্দেশ্যে মানুষকে শোষন করি। তার প্রমান আমাদের সরকারি বেসরকারি এবং সামাজিক বেতন কাঠামো দেখলেই বোঝা যায়। সামাজিক বলতে বুঝাচ্ছি বুয়া, দাড়োয়ান, নানাভিদ শ্রমিক। আমরা ভুলে যায় আললাহ র সাথে চালাকি ভন্ডামি চলে না। শায়খ বা শায়খুন শব্দটা সুরহ কসসের ২৩ নম্বর হাদিসে আছে। শায়খ অর্থ জ্ঞানি, অভিজ্ঞ, বৃদ্ধ। ইনশাআললাহু আমিনিনা। 
 
 
প্রকাশ তারিখঃ ২১ আগস্ট ২০২১ইং
কুরআনের বাহিরের হাদিসের অপ্রয়োজনিয়তা। প্রমান একুশঃ
সুরহ নামালঃ (১) ত্বা-সীন। এগুলো কুরআনের ও এক সুস্পষ্ট কিতাবের আয়াত, (২) পথনির্দেশ ও সুসংবাদ এমন মু’মিনদের জন্য (৩) যারা সলাহ কায়েম করে ও যাকাত দেয় এবং তারা এমন লোক যারা আখেরাতে পুরোপুরি বিশ্বাস করে (৪) আসলে যারা আখেরাত বিশ্বাস করে না তাদের জন্য আমি তাদের কৃতকর্মকে সুদৃশ্য করে দিয়েছি, ফলে তারা দিশেহারা হয়ে ঘুরে বেড়ায়। (৫) এদের জন্য রয়েছে নিকৃষ্ট শাস্তি এবং আখেরাতে এরাই হবে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত। (৬) আর (সালামুন আলা মুহাম্মাদ) নিঃসন্দেহে তুমি এ কুরআন লাভ করছো এক প্রাজ্ঞ ও সর্বজ্ঞ সত্তার পক্ষ থেকে। (৯১)(তাই তুমি বলো) আমাকে তো হুকুম দেয়া হয়েছে, আমি এ শহরের রবের বন্দেগী করবো, যিনি একে হারামে পরিণত করেছেন এবং যিনি সব জিনিসের মালিক। আমাকে মুসলিম হয়ে থাকার (৯২) এবং এই কুরআন পড়ে শুনাবার হুকুম দেয়া হয়েছে।” এখন যে হেদায়াত অবলম্বন করবে সে নিজেরই ভালোর জন্য হেদায়েত অবলম্বন করবে এবং যে গোমরাহ হবে তাকে বলে দাও, আমি তো কেবলমাত্র একজন সতর্ককারী। (৯৩) তাদেরকে বলো, প্রসংশা আল্লাহরই জন্য, শিগগির তিনি তোমাদেরকে তাঁর নির্দশনাবলী দেখিয়ে দেবেন এবং তোমরা তা চিনে নেবে। আর তোমরা যেসব কাজ করো তা থেকে তোমার রব বেখবর নন।
ব্যাখ্যাঃ এই নয়টি হাদিসের মধ্যে ৯২ নমবর হাদিসটি অধিক শিক্ষনিয়। এখানে আললাহ সালামুন আলা মুহাম্মাদকে কুরআন শুনাতে বলেছেন। অথচ আমরা প্রচার করি কুরআন বুঝতে হলে বুখারি মুসলিমসহ আরও হাদিস লাগবে। যার ফলে প্রতিটা মুসলিম দল তার পছন্দের হাদিসকে সাহিহ হাদিস বলে চালিয়ে দেয়। ইসলাম প্রচার করতে অধিকাংশ মুসলিম কুরআনের বাহিরের হাদিস উল্লেখ করেন অথচ দাবি করেন কুরআনই আললাহ র কিতাব। কুরআনের হাদিসকে মানুষের হাদিস বললে শিরকের পাপ হবে। কারন সুরহ আল হাক্কহ এর ৪০ নমবর হাদিস মতে কুরআনই সালামুন আলা মুহাম্মাদের হাদিস। আবার সালামুন আলা মুহাম্মাদ যেহেতু মালাইকাহ হতে কুরআন শুনেছেন তাই ৮১ নমবর সুরহ কুওউইরতের ১৯ নমবর হাদিস মতে এটা মালাইকাহ জিব্রিলের হাদিস এবং মালাইকাহ যেহেতু আললাহ র আদেশ পালন করেছেন তাই সুরহ হাক্কহের ৪৩ নমবর হাদিস মতে এটা আললাহ র হাদিস। অতএব মুসলিমদের ঐক্য গড়তে হলে এক আললাহ র এক কুরআন ব্যতিত বাকি সকল হাদিস বর্জন করতে হবে।
সুরহ কুওউইরতঃ (২৬) কাজেই তোমরা কোথায় চলে যাচ্ছো? (২৭) এটা তো সারা জাহানের অধিবাসীদের জন্য একটা উপদেশ। (২৮) তোমাদের মধ্য থেকে এমন প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য, যে সত্য সরল পথে চলতে চায়। (২৯) আর তোমাদের চাইলেই কিছু হয় না, যতক্ষণ না আল্লাহ রব আল আমিন তাহা চান।

 
 
প্রকাশ তারিখঃ এক আগস্ট ২০২১ইং
কুরআনের বাহিরের হাদিসের অপ্রয়োজনিয়তা, প্রমান বিশঃ
সুরহ আরফঃ ১৮৭) তারা তোমাকে জিজ্ঞেস করছে, কিয়ামত কবে ও কখন হবে? বলে দাও, “একমাত্র আমার রবই এর জ্ঞান রাখেন। সঠিক সময়ে তিনিই তা প্রকাশ করবেন। আকাশ ও পৃথিবীতে তা হবে ভয়ংকর কঠিন সময়। সহসাই তা তোমাদের ওপর এসে পড়বে।” তারা তোমার কাছে এ ব্যাপারে এমনভাবে জিজ্ঞেস করছে যেন তুমি তার সন্ধানে ঘুরে বেড়াচ্ছ? বলে দাও, “একমাত্র আল্লাহই এর জ্ঞান রাখেন। কিন্তু অধিকাংশ লোক এ সত্যটি জানে না।”
সুরহ নাহালঃ ৭৭) আর আকাশ ও পৃথিবীর যাবতীয় গোপন সত্যের জ্ঞান একমাত্র আল্লাহরই আছে এবং কিয়ামত সংঘটিত হবার ব্যাপারটি মোটেই দেরী হবে না, চোখের পলকেই ঘটে যাবে বরং তার চেয়েও কম সময়ে। আসলে আল্লাহ‌ সবকিছুই করতে পারেন।
৪১ নমবর সুরহ ফুসসিলাতঃ ৪৭) সেই সময়ের জ্ঞান আল্লাহ‌র কাছেই ফিরে যায় এবং সেসব ফল সম্পর্কেও তিনিই অবহিত যা সবে মাত্র তার কুঁড়ি থেকে বের হয়। তিনিই জানেন কোন্‌ মাদি গর্ভধারণ করেছে এবং কে বাচ্চা প্রসব করেছে। যে দিন তিনি এসব লোকদের ডেকে বলবেন, “আমার সেই সব শরীকরা কোথায়?” তারা বলবেঃ আমরা তো বলেছি, আজ আমাদের কেউ-ই এ সাক্ষ্য দিবে না।
৪২ নমবর সুরহ শুরঃ ১৭) এই কিতাব ও মিযান যথাযথভাবে আল্লাহই নাযিল করেছেন। তুমি তো জানো না, চূড়ান্ত ফায়সালার সময় হয়তো অতি নিকটবর্তী হয়ে পড়েছে। ১৮) যারা তা আসবে বলে বিশ্বাস করে না তারাই তার জন্য তাড়াহুড়া করে। কিন্তু যারা তা বিশ্বাস করে তারা তাকে ভয় করে। তারা জানে, অবশ্যই তা আসবে। ভাল করে শুনে নাও, যারা সেই সময়ের আগমনের ব্যাপারে সন্দেহ সৃষ্টি করার জন্য বিতর্ক করে তারা গোমরাহীর মধ্যে বহুদূর অগ্রসর হয়েছে।
সুরহ যুখরুফঃ ৬০) আমি চাইলে তোমাদের পরিবর্তে মালাইকাহ সৃষ্টি করে দিতে পারি যারা পৃথিবীতে তোমাদের স্থলাভিষিক্ত হবে। ৬১) আর প্রকৃতপক্ষে সে তো কিয়ামতের একটি নিদর্শন। অতএব সে ব্যাপারে তোমরা সন্দেহ পোষণ করো না এবং আমার কথা মেনে নাও। এটাই সরল-সোজা পথ।
সুরহ মুলকঃ ২৪) এদেরকে বলো, আল্লাহই সেই সত্তা যিনি তোমাদের পৃথিবী ব্যাপী ছড়িয়ে দিয়েছেন। আর তাঁরই কাছে তোমাদের সমবেত করা হবে। ২৫) এরা বলে, তোমরা যদি সত্যবাদী হও তাহলে বলো এ ওয়াদা কবে বাস্তবায়িত হবে? ২৬) বলো, এ বিষয়ে জ্ঞান আছে শুধু আল্লাহর নিকট। আমি স্পষ্ট সতর্ককারী মাত্র।
সুরহ নাবাঃ (১) এরা কি সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করছে? (২) সেই বড় খবরটা সম্পর্কে কি, (৩) যে ব্যাপারে এরা নানান ধরনের কথা বলে ও ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে ফিরছে? (৪) কখখনো না, শীঘ্রই এরা জানতে পারবে। (৫) হ্যাঁ, কখখনো না, শীঘ্রই এরা জানতে পারবে।
সুরহ নাযিআতঃ (৪২) এরা তোমাকে জিজ্ঞেস করছে, সেই সময়টি (কিয়ামত) কখন আসবে? (৪৩) সেই সময়টি বলার সাথে তোমার সম্পর্ক কি? (৪৪) এর জ্ঞান তো আল্লাহ‌ পর্যন্তই শেষ। (৪৫) তাঁর ভয়ে ভীত এমন প্রত্যেক ব্যক্তিকে সতর্ক করাই শুধুমাত্র তোমার দায়িত্ব। (৪৬) যেদিন এরা তা দেখে নেবে সেদিন এরা অনুভব করবে যেন (এরা দুনিয়ায় অথবা মৃত অবস্থায়) একদিন বিকালে বা সকালে অবস্থান করেছে মাত্র।
সুরহ আবাসাঃ (৩৩) অবশেষে যখন সেই কান ফাটানো আওয়াজ আসবে (৩৪) সেদিন মানুষ পালাতে থাকবে ---(৩৫) নিজের ভাই, বোন, (৩৬) মা, বাপ, স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েদের থেকে। (৩৭) তাদের প্রত্যেকে সেদিন এমন কঠিন সময়ের মুখোমুখি হবে যে, নিজের ছাড়া আর কারোর কথা তার মনে থাকবে না। (৩৮) সেদিন কতক চেহারা উজ্জ্বল হয়ে উঠবে, (৩৯) হাসিমুখ ও খুশীতে ডগবগ করবে। (৪০) আবার কতক চেহারা হবে সেদিন ধূলিমলিন, (৪১) কালিমাখা। (৪২) তারাই হবে কাফের ও পাপী।
ব্যাখ্যাঃ কিইয়ামাতে আলামত নিয়ে ব্যস্ত না হয়ে মৃত্যুর পরের জিবনের প্রস্তূতি নেওয়া মুসলিমের দায়িত্ব। আললাহ এই শিক্ষায় উপরের হাদিসসমুহে আমাদেরকে দিয়েছেন। অথচ কুরআনের বাহিরের হাদিসে কিইয়ামাতের আলামত নিয়ে গবেষনার শেষ নাই।
 
 
প্রকাশ তারিখঃ ১৮ জুলাই ২০২১ইং
কুরআনের বাহিরের হাদিসের অপ্রয়োজনিয়তা, প্রমান উনিশঃ
সুরহ হাজঃ ৭১) তারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে এমন কিছুর ইবাদাত করে যাদের জন্য না তিনি কোন প্রমাণ পত্র অবতীর্ণ করেছেন আর না তারা নিজেরাই তাদের ব্যাপারে কোন জ্ঞান রাখে। এ জালেমদের জন্য কোনো সাহায্যকারী নেই। ৭২) আর যখন তাদেরকে আমার পরিষ্কার আয়াত শুনিয়ে দেয়া হয় তখন তোমরা দেখো সত্য অস্বীকারকারীদের চেহারা বিকৃত হয়ে যাচ্ছে এবং মনে হতে থাকে এ-ই বুঝি যারা তাদেরকে আমার আয়াত শুনায় তাদের ওপর তারা ঝাঁপিয়ে পড়বে। তাদেরকে বলো, “আমি কি তোমাদের বলবো, এর চেয়ে খারাপ জিনিস কি? আগুন। আল্লাহ এরই প্রতিশ্রুতি তাদের জন্য দিয়ে রেখেছেন, যারা সত্য গ্রহণ করতে অস্বীকার করে এবং তা বড়ই খারাপ আবাস।
৪১ নমবর সুরহ ফুসসিলাতঃ (২) এটা পরম দয়ালু ও মেহেরবান আল্লাহ‌র পক্ষ থেকে নাযিলকৃত জিনিস। (৩) এটি এমন এক গ্রন্থ যার আয়াতসমূহ সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে। আরবী ভাষার কুরআন। সেই সব লোকদের জন্য যারা জ্ঞানের অধিকারী, (৪) সুসংবাদ দানকারী ও সতর্ককারী। কিন্তু তাদের অধিকাংশ লোকই তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, তারা শুনতেই পায় না। (৫) তারা বলেঃ তুমি আমাদের যে জিনিসের দিকে আহবান জানাচ্ছো সে জিনিসের ব্যাপারে আমাদের মনের ওপর পর্দা পড়ে আছে, আমাদের কান বধির হয়ে আছে এবং তোমার ও আমাদের মাঝে একটি পর্দা আড়াল করে আছে। তুমি তোমার কাজ করতে থাকো আমরাও আমাদের কাজ করে যাবো।
সুরহ কাহাফঃ ১০) যখন ক’জন যুবক গূহায় আশ্রয় নিলো এবং তারা বললোঃ হে আমাদের রব! আপনার বিশেষ রহমতের ধারায় আমাদের প্লাবিত করুন এবং আমাদের সকল সমস্যার সমাধান করে দিন।
ব্যাখ্যাঃ যারা কুরআনের বাহিরের হাদিস দিয়ে ইসলাম প্রচার করে এবং দাবি করে বুখারি মুসলিম ছাড়া কুরআন বুঝা সম্ভন নয় তাদেরকে উপরে উল্লেখিত সুরহ হাজ ও সুরহ ফুসসিলাতের হাদিসসমুহে সতর্ক করা হয়েছে। কুরআনের বাহিরের দুআর পরিবর্তে কুরআনের অন্যান্য দুআর হাদিস বা সুরহ কাহাফের ১০ নমবর হাদিসের দুআটি ঈদের দিন একে অপরের সাক্ষাতে সালাম বিনিময়ের পাশাপাশি পাঠ করতে হবে।

 

 

কুরআন থেকে দুআ শিখতে হবে

প্রকাশ তারিখঃ এক জুলাই, ২০২১ইং

কুরআনের বাহিরের হাদিসের অপ্রয়োজনিয়তা, প্রমান আঠারোঃ
সুরহ বা-করহঃ ৭০) আবার তারা বললো, তোমার রবের কাছ থেকে এবার পরিষ্কার ভাবে জেনে নাও, তিনি কেমন ধরনের গাভী চান? গাভীটি নির্ধারণ করার ব্যাপারে আমরা সন্দিগ্ধ হয়ে পড়েছি। আল্লাহ‌ চাইলে আমরা অবশ্যি এটি বের করে ফেলবো।
সুরহ কাহাফঃ ২৩) আর দেখো, কোন জিনিসের ব্যাপারে কখনো একথা বলো না, আমি কাল এ কাজটি করবো। ২৪) (তোমরা কিছুই করতে পারো না) তবে যদি আল্লাহ চান। যদি ভুলে এমন কথা মুখ থেকে বেরিয়ে যায় তাহলে সঙ্গে সঙ্গেই নিজের রবকে স্মরণ করো এবং বলো, “আশা করা যায়, আমার রব এ ব্যাপারে সত্যের নিকটতর কথার দিকে আমাকে পথ দেখিয়ে দেবেন।
৩৯) আর যখন তুমি নিজের বাগানে প্রবেশ করছিলে তখন তুমি কেন বললে না, “আল্লাহ যা চান তাই হয়, তাঁর প্রদত্ত শক্তি ছাড়া আর কোন শক্তি নেই?” যদি তুমি সম্পদ ও সন্তানের দিক দিয়ে আমাকে তোমার চেয়ে কম পেয়ে থাকো ৪০) তাহলে অসম্ভব নয় আমার রব আমাকে তোমার বাগানের চেয়ে ভাল কিছু দেবেন এবং তোমার বাগানের ওপর আকাশ থেকে কোন আপদ পাঠাবেন যার ফলে তা বৃক্ষলতাহীন প্রান্তরে পরিণত হবে।
ব্যাখ্যাঃ আললাহ সুরহ কাহাফের ২৩-২৪ ও সুরহ বাকরহের ৭০ নমবর হাদিসের সমম্বয়ে আমাদেরকে ইনশাআললাহ বলা শিক্ষা দিয়েছেন। কুরআনের ব্যাখ্যা কুরআন নিজেই এটাই তার প্রমান।
সুরহ কাহাফের ৩৯-৪০ নমবর হাদিস দ্বারা আললাহ আমাদেরকে দুআ শিক্ষা দিয়েছেন। যেটা বুখারিতে মুসা আশআরি বর্ননা দাবি করে 'লা হাওলা আলা কুও ওয়াতে ইল্লা বিল্লাহি পড়তে বলা হয়। যা সঠিক নয়। আমরা আললাহ র শিক্ষা দেওয়া ব্যাকরন পদ্ধতিতে মাশা আললাহু লা কুও ওয়াতা ইল্লা বিল্লাহি পড়বো। ( অর্থঃ “আল্লাহ যা চান তাই হয়, তাঁর প্রদত্ত শক্তি ছাড়া আর কোন শক্তি নেই?” ) এটাই লা ইলাহা ইল্লা আল্লাহ কালিমার দাবি। যারা এটা মানতে রাজি নন তাদের নিচের হাদিসসমুহ আরেকবার অধ্যয়ন করতে হবে।
সুরহ সদঃ (১) সা-দ। উপদেশপূর্ণ কুরআনের শপথ। (২) বরং এরাই, যারা মেনে নিতে অস্বীকার করেছে, প্রচণ্ড অহংকার ও জিদে লিপ্ত হয়েছে। (৩) এদের পূর্বে আমি এমনি আরো কত জাতিকে ধ্বংস করেছি (এবং যখন তাদের সর্বনাশ এসে গেছে) তারা চিৎকার করে উঠেছে, কিন্তু সেটি রক্ষা পাওয়ার সময় নয়। (৪) এরা একথা শুনে বড়ই অবাক হয়েছে যে, এদের নিজেদের মধ্য থেকেই একজন ভীতি প্রদর্শনকারী এসে গেছে। অস্বীকারকারীরা বলতে থাকে, “এ হচ্ছে যাদুকর, বড়ই মিথ্যুক, (৫) সকল স্রষ্টার বদলে সে কি মাত্র একজনকেই স্রষ্টা বানিয়ে নিয়েছে? এতো বড় বিস্ময়কর কথা!”

সালামুন আলা মুহাম্মাদসহ নাবি রসুলগনের মর্যাদা
প্রকাশ তারিখঃ ২১ জুন, ২০২১ইং


কুরআনের বাহিরের হাদিসের অপ্রয়োজনিয়তা। প্রমান সতেরোঃ
সুরহ ইমরনঃ ১৪৪) মুহাম্মাদ একজন রসূল বৈ তো আর কিছুই নয়। তার আগে আরো অনেক রসূলও চলে গেছে। যদি সে মারা যায় বা নিহত হয়, তাহলে তোমরা কি পেছনের দিকে ফিরে যাবে? মনে রেখো, যে পেছনের দিকে ফিরে যাবে সে আল্লাহর কোন ক্ষতি করবে না, তবে যারা আল্লাহর কৃতজ্ঞ বান্দা হয়ে থাকবে তাদেরকে তিনি পুরস্কৃত করবেন।
সুরহ হুজুরতঃ (১) হে মু’মিনগণ! আল্লাহ‌ ও তাঁর রসূলের চেয়ে অগ্রগামী হয়ো না। আল্লাহকে ভয় করো। আল্লাহ‌ সবকিছু শোনেন ও জানেন। (২) হে মু’মিনগণ! নিজেদের আওয়ায রসূলের আওয়াযের চেয়ে উঁচু করো না এবং উচ্চস্বরে নবীর সাথে কথা বলো না, যেমন তোমরা নিজেরা পরস্পর বলে থাকো। এমন যেন না হয় যে, তোমাদের অজান্তেই তোমাদের সব কাজ-কর্ম ধ্বংস হয়ে যায়। (৩) যারা আল্লাহর রসূলের সামনে তাদের কণ্ঠ নিচু রাখে তারাই সেসব লোক, আল্লাহ‌ যাদের অন্তরকে তাকওয়ার জন্য বাছাই করে নিয়েছেন। তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও বড় পুরস্কার। (৪) হে নবী! যারা তোমাকে গৃহের বাইরে থেকে ডাকাডাকি করতে থাকে তাদের অধিকাংশই নির্বোধ। (৫) যদি তারা তোমার বেরিয়ে আসা পর্যন্ত ধৈর্য ধারণ করতো তাহলে তাদের জন্য ভাল হতো।৬ আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়ালু।
সুরহ আহযাবঃ (৬) নিঃসন্দেহে নবী ঈমানদারদের কাছে তাদের নিজেদের তুলনায় অগ্রাধিকারী, আর নবীদের স্ত্রীগণ তাদের মা। কিন্তু আল্লাহর কিতাবের দৃষ্টিতে সাধারণ মু’মিন ও মুহাজিরদের তুলনায় আত্মীয়রা পরস্পরের বেশি হকদার। তবে নিজেদের বন্ধু-বান্ধবদের সাথে কোন সদ্ব্যবহার (করতে চাইলে তা) তোমরা করতে পারো। আল্লাহর কিতাবে এ বিধান লেখা আছে। (৭) আর হে নবী! স্মরণ করো সেই অঙ্গীকারের কথা যা আমি নিয়েছি সকল নবীর কাছ থেকে, তোমার কাছ থেকে এবং নূহ, ইবরাহীম, মূসা ও মারয়াম পুত্র ঈসার কাছ থেকেও। সবার কাছ থেকে আমি নিয়েছি পাকাপোক্ত অলংঘনীয় অঙ্গীকার। ( সুরহ ইমরনের ৮১-৮৬ নমবর হাদিস, সুরহ আরফের ১৭১ থেকে ১৭৪ নমবর হাদিস এবং সুরহ বা-করহের ৮১ থেকে ৮৫ নমবর হাদিসে অংগিকারের বর্ননা আছে )
(৫৩) হে ঈমানদারগণ! নবী গৃহে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করো না, খাবার সময়ের অপেক্ষায়ও থেকো না। হ্যাঁ, যদি তোমাদের খাবার জন্য ডাকা হয়, তাহলে অবশ্যই এসো কিন্তু খাওয়া হয়ে গেলে চলে যাও, কথাবার্তায় মশগুল হয়ে পড়ো না। তোমাদের এসব আচরণ নবীকে কষ্ট দেয় কিন্তু তিনি লজ্জায় কিছু বলেন না এবং আল্লাহ‌ হককথা বলতে লজ্জা করেন না। নবীর স্ত্রীদের কাছে যদি তোমাদের কিছু চাইতে হয় তাহলে পর্দার পেছন থেকে চাও। এটা তোমাদের এবং তাদের মনের পবিত্রতার জন্য বেশী উপযোগী। তোমাদের জন্য আল্লাহর রসূলকে কষ্ট দেয়া মোটেই জায়েয নয় এবং তাঁর পরে তাঁর স্ত্রীদেরকে বিয়ে করাও জায়েয নয়, এটা আল্লাহর দৃষ্টিতে মস্তবড় গোনাহ।
(৫৭) যারা আল্লাহ‌ ও তাঁর রসূলকে কষ্ট দেয় তাদেরকে আল্লাহ‌ দুনিয়ায় ও আখেরাতে অভিশপ্ত করেছেন এবং তাদের জন্য লাঞ্ছনাদায়ক আযাবের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
সুরহ সফঃ (৬) আর স্মরণ করো ঈসা ইবনে মারয়ামের সেই কথা যা তিনি বলেছিলেনঃ হে বনী ইসরাঈল, আমি তোমাদের কাছে আল্লাহর প্রেরিত রসূল। আমি সেই তাওরাতের সত্যতা প্রতিপাদনকারী যা আমার পূর্বে এসেছে এবং একজন রসূলের সুসংবাদদাতা যিনি আমার পরে আসবেন, যার নাম আহমাদ। কিন্তু যখন তিনি তাদের কাছে সুস্পষ্ট প্রমাণ পেশ করলেন তখন তারা বললঃ এটা তো স্পষ্ট প্রতারণা।
সুরহ তলাকঃ (৮) কত জনপদ তাদের রব ও তাঁর রসূলদের নির্দেশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল। আমি তাদের কড়া হিসেব নিয়েছিলাম এবং কঠোর শাস্তি দিয়েছিলাম। (৯) তারা তাদের কৃতকর্মের শাস্তি ভোগ করেছে। তাদের কৃতকর্মের পরিণাম ছিল শুধু ক্ষতি আর ক্ষতি। (১০) আল্লাহ (আখেরাতে) তাদের জন্য কঠিন শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছেন। অতএব, হে ঐসব জ্ঞানীরা যারা ঈমান এনেছো, আল্লাহকে ভয় করো। আল্লাহ‌ তোমাদের কাছে এক নসীহত নাযিল করেছেন, (১১) এমন এক রসূল, যিনি তোমাদেরকে আল্লাহর আয়াত পড়ে শোনান, যা তোমাদের সুস্পষ্ট হিদায়াত দান করে। যাতে তিনি ঈমান গ্রহণকারী ও সৎকর্মশীলদের অন্ধকার থেকে বের করে আলোতে নিয়ে আসেন। যে ব্যক্তিই আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে এবং নেককাজ করবে আল্লাহ‌ তাকে এমন সব জান্নাতে প্রবেশ করাবেন যার নীচ দিয়ে ঝর্ণা বয়ে চলবে। এসব লোক সেখানে চিরদিন থাকবে। এসব লোকের জন্য আল্লাহ‌ সর্বোত্তম রিযিক রেখেছেন। (১২) আল্লাহ সেই সত্তা যিনি সাত আসমান বানিয়েছেন এবং যমীনের শ্রেণী থেকেও ঐগুলোর অনুরূপ। ঐগুলোর মধ্যে হুকুম নাযিল হতে থাকে। (এ কথা তোমাদের এজন্য বলা হচ্ছে) যাতে তোমরা জানতে পারো, আল্লাহ‌ সব কিছুর ওপরে ক্ষমতা রাখেন এবং আল্লাহর জ্ঞান সব কিছুকে পরিব্যপ্ত করে আছে।
সুরহ আরফঃ ১৮৮) হে মুহাম্মাদ! তাদেরকে বলো, নিজের জন্য লাভ-ক্ষতির কোন ইখতিয়ার আমার নেই। একমাত্র আল্লাহই যা কিছু চান তাই হয়। আর যদি আমি গায়েবের খবর জানতাম, তাহলে নিজের জন্য অনেক ফায়দা হাসিল করতে পারতাম এবং কখনো আমার কোন ক্ষতি হতো না। আমি তো যারা আমার কথা মেনে নেয় তাদের জন্য নিছক একজন সতর্ককারী ও সুসংবাদদাতা মাত্র। ( ১৮২ থেকে ২০৬ নমবর হাদিস অধ্যয়ন করতে হবে। )
সুরহ বানি ইসরঈলঃ (৫৫) তোমার রব পৃথিবী ও আকাশের সৃষ্টিসমূহকে বেশী জানেন। আমি কতক নবীকে কতক নবীর ওপর মর্যাদা দিয়েছি এবং আমি দাউদকে যাবুর দিয়েছিলাম। (৫৬) এদেরকে বলো, ডাক দিয়ে দেখো তোমাদের সেই মাবুদদেরকে, যাদেরকে তোমরা আল্লাহ ছাড়া (নিজেদের কার্যোদ্ধারকারী) মনে করো, তারা তোমাদের কোন কষ্ট দূর করতে পারবে না এবং তা পরিবর্তন করতেও পারবে না। (৫৭) এরা যাদেরকে ডাকে তারা তো নিজেরাই নিজেদের রবের নৈকট্য লাভের উপায় খুঁজে বেড়াচ্ছে যে, কে তাঁর নিকটতর হয়ে যাবে এবং এরা তাঁর রহমতের প্রত্যাশী এবং তাঁর শাস্তির ভয়ে ভীত। আসলে তোমার রবের শাস্তি ভয় করার মতো।
(৭৩) হে মুহাম্মাদ! তোমার কাছে আমি যে অহী পাঠিয়েছি তা থেকে তোমাকে ফিরিয়ে রাখার জন্য এ লোকেরা তোমাকে বিভ্রাটের মধ্যে ঠেলে দেবার প্রচেষ্টায় কসুর করেনি, যাতে তুমি আমার নামে নিজের পক্ষ থেকে কোন কথা তৈরি করো। যদি তুমি এমনটি করতে তাহলে তারা তোমাকে নিজেদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করতো। (৭৪) আর যদি আমি তোমাকে মজবুত না রাখতাম তাহলে তোমার পক্ষে তাদের দিকে কিছু না কিছু ঝুঁকে পড়া অসম্ভব ব্যাপার ছিল না। (৭৫) কিন্তু যদি তুমি এমনটি করতে তাহলে আমি এ দুনিয়ায় তোমাকে দ্বিগুণ শাস্তির মজা টের পাইয়ে দিতাম এবং আখেরাতেও, তারপর আমার মোকাবিলায় তুমি কোন সাহায্যকারী পেতে না। (৭৬) আর এরা এ দেশ থেকে তোমাকে উৎখাত করার এবং এখান থেকে তোমাকে বের করে দেবার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়েছিল। কিন্তু যদি এরা এমনটি করে তাহলে তোমার পর এরা নিজেরাই এখানে বেশীক্ষণ থাকতে পারবে না। (৭৭) এটি আমার স্থায়ী কর্মপদ্ধতি। তোমার পূর্বে আমি যেসব রসূল পাঠিয়েছিলাম তাদের সবার ব্যাপারে এ কর্মপদ্ধতি আরোপ করেছিলাম। আর আমার কর্মপদ্ধতিতে তুমি কোন পরিবর্তন দেখতে পাবে না।
(৮৪) হে নবী! এদেরকে বলে দাও, “প্রত্যেকে নিজ নিজ পথে কাজ করছে, এখন একমাত্র তোমাদের রবই ভাল জানেন কে আছে সরল-সঠিক পথে।”
(৮৬) আর হে মুহাম্মাদ! আমি চাইলে তোমার কাছ থেকে সবকিছুই ছিনিয়ে নিতে পারতাম, যা আমি অহীর মাধ্যমে তোমাকে দিয়েছি, তারপর তুমি আমার মোকাবিলায় কোন সহায়ক পাবে না, যে তা ফিরিয়ে আনতে পারে। (৮৭) এই যে যা কিছু তুমি লাভ করেছো, এসব তোমার রবের হুকুম, আসলে তাঁর অনুগ্রহ তোমার প্রতি অনেক বড়।
সুরহ তাহরিমঃ (১) হে নবী, আল্লাহ‌ যে জিনিস হালাল করেছেন তা তুমি হারাম করছো কেন? (তা কি এজন্য যে, ) তুমি তোমার স্ত্রীদের সন্তুষ্টি চাও? আল্লাহ ক্ষমাশীল এবং দয়ালু।
(৬) হে লোকজন যারা ঈমান এনেছো, তোমরা নিজেদেরকে এবং নিজেদের পরিবার ও সন্তান-সন্ততিকে সেই আগুন থেকে রক্ষা করো মানুষ এবং পাথর হবে যার জ্বালানী। সেখানে রুঢ় স্বভাব ও কঠোর হৃদয় ফেরেশতারা নিয়োজিত থাকবে যারা কখনো আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করে না এবং তাদেরকে যে নির্দেশ দেয়া হয় তাই পালন করে।
সুরহ আনআমঃ ৫০) হে মুহাম্মাদ! তাদেরকে বলো, “আমি তোমাদের একথা বলি না যে, আমার কাছে আল্লাহর ধনভাণ্ডার আছে, আমি গায়েবের জ্ঞানও রাখি না এবং তোমাদের একথাও বলি না যে, আমি ফেরেশতা। আমি তো কেবলমাত্র সে অহীর অনুসরণ করি, যা আমার প্রতি নাযিল করা হয়।” তারপর তাদেরকে জিজ্ঞেস করো, অন্ধ ও চক্ষুষ্মান কি সমান হতে পারে? তোমরা কি চিন্তা-ভাবনা করো না?
সুরহ নামালঃ ৯১) (“হে মুহাম্মাদ! তাদেরকে বলো) আমাকে তো হুকুম দেয়া হয়েছে, আমি এ শহরের রবের বন্দেগী করবো, যিনি একে হারামে পরিণত করেছেন এবং যিনি সব জিনিসের মালিক। আমাকে মুসলিম হয়ে থাকার ৯২) এবং এ কুরআন পড়ে শুনাবার হুকুম দেয়া হয়েছে।” এখন যে হেদায়াত অবলম্বন করবে সে নিজেরই ভালোর জন্য হেদায়েত অলম্বন করবে এবং যে গোমরাহ হবে তাকে বলে দাও, আমি তো কেবলমাত্র একজন লোকজন সতর্ককারী।
সুরহ কসসঃ (১৬) তারপর সে বলতে লাগলো, “হে আমার রব! আমি নিজের ওপর জুলুম করেছি, আমাকে ক্ষমা করে দাও? “ তখন আল্লাহ‌ তাঁকে ক্ষমা করে দিলেন তিনি ক্ষমাশীল মেহেরবান। (১৭) মূসা শপথ করলো, “হে আমার রব! তুমি আমার প্রতি এই যে অনুগ্রহ করেছো এরপর আমি আর অপরাধীদের সাহায্যকারী হবো না।
(৪৪) (হে মুহাম্মাদ!) তুমি সে সময় পশ্চিম প্রান্তে উপস্থিত ছিলে না। যখন আমি মূসাকে এ শরীয়াত দান করেছিলাম এবং তুমি সাক্ষীদের অন্তর্ভুক্তও ছিল না। (৪৫) বরং এরপর (তোমার যুগ পর্যন্ত) আমি বহু প্রজন্মের উদ্ভব ঘটিয়েছি এবং তাদের ওপর অনেক যুগ অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। তুমি মাদয়ানবাসীদের মধ্যেও উপস্থিত ছিলে না, যাতে তাদেরকে আমার আয়াত শুনাতে পারতে কিন্তু আমি সে সময়কার এসব তথ্য জানাচ্ছি। (৪৬) আর তুমি তূর পাহাড়ের পাশেও তখন উপস্থিত ছিলে না যখন আমি (মূসাকে প্রথমবার) ডেকেছিলাম। কিন্তু এটা তোমার রবের অনুগ্রহ (যার ফলে তোমাকে এসব তথ্য দেয়া হচ্ছে) যাতে তুমি তাদেরকে সতর্ক করো যাদের কাছে তোমার পূর্বে কোন সতর্ককারী আসেনি, হয়তো তারা সচেতন হয়ে যাবে। (৪৭) (আর আমি এজন্য করেছি যাতে) এমনটি যেন না হয় যে, তাদের নিজেদের কৃতকর্মের বদৌলতে কোন বিপদ তাদের ওপর এসে যায়, আর তারা বলে, “হে আমাদের রব! তুমি কেন আমাদের কাছে কোন রসূল পাঠাওনি? তাহলে তো আমরা তোমার আয়াত মেনে চলতাম এবং ঈমানদারদের অন্তর্ভুক্ত হতাম।
(৫৬) হে নবী! তুমি যাকে চাও তাকে হিদায়াত দান করতে পারো না কিন্তু আল্লাহ‌ যাকে চান তাকে হিদায়াত দান করেন এবং যারা হিদায়াত গ্রহণ করে তাদেরকে তিনি খুব ভাল করেই জানেন।
(৮৫) হে নবী! নিশ্চিত জেনো, যিনি এ কুরআন তোমার ওপর ন্যস্ত করেছেন তিনি তোমাকে একটি উত্তম পরিণতিতে পৌঁছিয়ে দেবেন। তাদেরকে বলে দাও, “আমার রব ভালো করেই জানেন কে হিদায়াত নিয়ে এসেছে এবং কে প্রকাশ্য গোমরাহীতে লিপ্ত রয়েছে।” (৮৬) তুমি মোটেই আশা করোনি যে, তোমার প্রতি কিতাব নাযিল করা হবে। এতো নিছক তোমার রবের মেহেরবানী (তোমার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে) কাজেই তুমি কাফেরদের সাহায্যকারী হয়ো না। (৮৭) আর এমনটি যেন কখনো না হয় যে, আল্লাহর আয়াত যখন তোমার প্রতি অবতীর্ণ হয় তখন কাফেররা তোমাকে তা থেকে বিরত রাখে। নিজের রবের দিকে দাওয়াত দাও এবং কখনো মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না (৮৮) এবং আল্লাহর সাথে অন্য মাবুদদেরকে ডেকো না। তিনি ছাড়া আর কোন মাবুদ নেই। সব জিনিসই ধ্বংস হবে কেবলমাত্র তাঁর সত্ত্বা ছাড়া। শাসন কর্তৃত্ব একমাত্র তাঁরই এবং তাঁরই দিকে তোমাদের সবাইকে ফিরে যেতে হবে।
সুরহ হাককহঃ (৪০) এটা একজন সম্মানিত রসূলের বাণী (৪১) কোন কবির কাব্য নয়। তোমরা খুব কমই ঈমান পোষণ করে থাকো। (৪২) আর এটা কোন গণকের গণনাও নয়। তোমরা খুব কমই চিন্তা-ভাবনা করে থাকো। (৪৩) এ বাণী বিশ্ব-জাহানের রবের পক্ষ থেকে নাযিলকৃত। (৪৪) যদি এ নবী নিজে কোন কথা বানিয়ে আমার কথা বলে চালিয়ে দিতো (৪৫) তাহলে আমি তার ডান হাত ধরে ফেলতাম (৪৬) এবং ঘাড়ের রগ কেটে দিতাম। (৪৭) তোমাদের কেউ-ই (আমাকে) এ কাজ থেকে বিরত রাখতে পারতো না। (৪৮) আসলে এটি আল্লাহভীরু লোকদের জন্য একটি নসীহত।
সুরহ জিনঃ (২০) হে নবী, বলো “আমি শুধু আমার রবকেই ডাকি এবং তাঁর সাথে কাউকে শরীক করি না। (২১) বলো, “আমি তোমাদের কোন ক্ষতি করারও ক্ষমতা রাখি না, উপকার করারও না। (২২) বলো, আল্লাহর পাকড়াও থেকে কেউ আমাকে বাঁচাতে সক্ষম নয় এবং তাঁর কাছে কোন আশ্রয়ও আমি পাব না। (২৩) আল্লাহর বাণী ও হুকুম-আহকাম পৌঁছিয়ে দেয়া ছাড়া আমার কাজ আর কিছুই নয়। এরপর যারাই আল্লাহ‌ ও তাঁর রসূলের কথা অমান্য করবে তার জন্য রয়েছে জাহান্নামের আগুন। এ ধরনের লোকেরা চিরকাল সেখানে থাকবে।
ব্যাখ্যাঃ নাবি রসুলগন যে নিষ্পাপ নন সুরহ কসসের ১৬ নমবর হাদিসে তার প্রমান আছে। আললাহ তাদেরকে নাবি রসুল নির্বাচিত করেছেন এটাই তাদের মর্যাদা। সালামুন আলা মুহাম্মাদসহ কোনো ব্যক্তিই জাহান্নাম থেকে মানুষকে মুক্ত করতে পারবে না। সুপারিশ অর্থ দুআ করা। যা আললাহ র অনুমতি ছাড়া কেউ করতে পারবে না। উপরের হাদিস সমুহ সঠিকভাবে অধ্যয়ন করলে আমরা তা নিশ্চিত বুঝতে পারবো। আরও বুঝতে সুরহ যুমার ও ৮২ নমবর সুরহ আন ফাতরতের ১৯ নমবর হাদিস দেখুন। সুরহ নিসার ৫৯ নমবর হাদিসের ভুল ব্যাখ্যা করে আমাদেরকে বুখারি মুসলিমকে সালামুন আলা মুহাম্মাদের হাদিস প্রমান করার চেষ্টা করা হয়। যা সত্য নয়। কারন সালামুন আলা মুহাম্মাদ এখন মৃত ব্যক্তি তাই তার অনুসরণ সম্ভব নয়। তাই সুরহ নিসার ৫৯ নমবর হাদিসকে সুরহ ইমরনের ৭৯-৮০ নমবর হাদিস এবং সুরহ মা-ইদাহের ১৭, ১১৬-১২০ নমবর হাদিসের সাথে মিলিয়ে বুঝতে হবে। তাহলে আমরা বুঝতে পারবো কুরআনই সালামুন আলা মুহাম্মাদের সুন্নাহ ও হাদিস। মানুষ আললাহ র আবদ হবে এটাই নাবিরসুলগনের উদ্দেশ্য ছিল। যা নিচের হাদিস দুইটিসহ সুরহ নিসার ১৭২ থেকে ১৭৫ নমবর হাদিসে বলা আছে।
সুরহ ফুরকনঃ ৫৬) হে মুহাম্মাদ। তোমাকে তো আমি শুধুমাত্র একজন সুসংবাদ দানকারী ও সতর্ককারী করে পাঠিয়েছি। ৫৭) এদের বলে দাও “এ কাজের জন্য আমি তোমাদের কাছ থেকে কোন প্রতিদান চাই না, যে চায় সে তার নিজের রবের পথ অবলম্বন করুক, এটিই আমার প্রতিদান।

Popular posts from this blog

কুরআন থেকে আমাদের স্রষ্টা এক আললাহ র আদেশ নিষেধের জ্ঞান অর্জন করে, বাস্তবায়ন করি

কুরআনই হাদিস

Salah