My Facebook Collections 11 to 16

কুরআনের মর্যাদা

প্রকাশ তারিখঃ ১১ জুন, ২০২১ইং


কুরআনের বাহিরের হাদিসের অপ্রয়োজনিয়তা, প্রমান ষোলোঃ

সুরহ বানি ইসরঈলঃ ৮৮) বলে দাও, যদি মানুষ ও জিন সবাই মিলে কুরআনের মতো কোন একটি জিনিস আনার চেষ্টা করে তাহলে তারা আনতে পারবে না, তারা পরস্পরের সাহায্যকারী হয়ে গেলেও।
৮৯) আমি এ কুরআনে লোকদেরকে নানাভাবে বুঝিয়েছি কিন্তু অধিকাংশ লোক অস্বীকার করার ওপরই অবিচল থাকে।
৯৪) লোকদের কাছে যখনই কোন পথনির্দেশ আসে তখন তাদের একটা কথাই তাদের ঈমান আনার পথ রুদ্ধ করে দেয়। কথাটা এই যে, “আল্লাহ কি মানুষকে রসূল বানিয়ে পাঠিয়েছেন?
৪৫) যখন তুমি কুরআন পড়ো তখন আমি তোমার ও যারা আখেরাতের প্রতি ঈমান আনে না তাদের মাঝখানে একটি পর্দা ঝুলিয়ে দেই।
৪৬) এবং তাদের মনের ওপর এমন আবরণ চড়িয়ে দেই যেন তারা কিছুই বুঝে না এবং তাদের কানে তালা লাগিয়ে দেই। আর যখন তুমি কুরআনে নিজের একমাত্র রবের কথা পড়ো তখন তারা ঘৃণায় মুখ ফিরিয়ে নেয়।
সুরহ ইউনুসঃ ৫৮) হে নাবি, বলো, “এ জিনিসটি যে, তিনি পাঠিয়েছেন এটি আল্লাহর অনুগ্রহ এবং তার মেহেরবানী। এ জন্য তো লোকদের আনন্দিত হওয়া উচিত। তারা যা কিছু জমা করছে সে সবের চেয়ে এটি অনেক ভাল।”
ব্যাখ্যাঃ সুরহ বানি ইসরঈলের ৮৮ নমবর হাদিসে আললাহ বলছেন কুরআনের মতো হাদিস আনতে পারবে না। অথচ আমরা সুরহ আনকাবুতের প্রথম ১৩টি হাদিসের সাবধান বাণি উপেক্ষা করে বুখারি মুসলিমসহ শতশত বইকে সালামুন আলা মুহাম্মাদের হাদিস বলে চালিয়ে যাচ্ছি। আরও বুঝতে সুরহ ইউনুসের ৩৭ থেকে ৬৪ নমবর হাদিস দেখুন।
৪৫, ৪৬ ও ৯৪ নমবর হাদিস এবং ৯২ নমবর সুরহ আল লাইলির ১২ নমবর হাদিসে আমরা জানতে পারি অদৃশ্য ও নৈতিক শিক্ষা দেওয়া আললাহ র দায়িত্ব। এটা মানুষের কাজ নয়। এটা ইচ্ছাকৃতভাবে না বুঝার কারনেই আমরা ব্যক্তি পুজা করি। নিচের ভিডিওটিতে শ্রদ্ধেয় আলিম ভাই কুরআনের মর্যাদা বলেছিলেন। তবে তিনি সারাজিবন বস্তাপচা কুরআনের বাহিরের হাদিস অধ্যয়নের কারনে এবং সুরহ নাহালের ৪৪ নমবর হাদিসের ভুল ব্যাখ্যা বোঝার কারনে এবং ১০২ নমবর বাক্যের সাথে সমন্বয় না করার কারনে কুরআনের বাহিরের হাদিসের অপ্রয়োজনিয়তা ঘোষনা করা থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে বিরত থেকেছিলেন। অবশ্য তিনি চাইলেও অন্যদের বুঝাতে পারতেন না। কারন দুনইয়ার লোভে আহলি কুরআনসহ প্রতিটা মুসলিম দলই কুরআনের অপব্যাখ্যা করে। কিনতু লাভ নেই। পরিনতি জানতে আবারও সুরহ আল আনকাবুত/মাকরসা অধ্যয়ন করতে হবে।
সুরহ কাহাফঃ ১১০) হে মুহাম্মাদ! বলো, আমি তো একজন মানুষ তোমাদেরই মতো, আমার প্রতি অহী করা হয় এ মর্মে যে, এক আল্লাহ‌ তোমাদের ইলাহ, কাজেই যে তার রবের সাক্ষাতের প্রত্যাশী তার সৎকাজ করা উচিত এবং বন্দেগীর ক্ষেত্রে নিজের রবের সাথে কাউকে শরীক করা উচিত নয়।


কুরআনই সালামুন আলা মুহাম্মাদের হাদিস ও সুন্নাহ
প্রকাশ তারিখঃ ৩১ মে, ২০২১ইং

কুরআনের বাহিরের হাদিসের অপ্রয়োজনিয়তা। প্রমান পনেরোঃ
সুরহ ইমরনঃ ৭৯) কোন ব্যক্তিকে আল্লাহ‌ কিতাব, হিকমত ও নবুওয়াত দান করবেন আর সে লোকদের বলে বেড়াবে, তোমরা আল্লাহ‌র পরিবর্তে আমার দাস হয়ে যাও, এটা তার জন্য শোভনীয় নয়। সে তো একথাই বলবে, তোমরা খাঁটি রব্বানী হয়ে যাও, যেমন এই কিতাবের দাবী, যা তোমরা পড়ো এবং অন্যদের পড়াও। ৮০) তারা তোমাদের কখনো বলবে না, মালা-ইকাহ বা নাবিদেরকে তোমাদের রব হিসেবে গ্রহণ করো। তোমরা যখন মুসলিম তখন তোমাদেরকে কুফরীর হুকুম দেয়া একজন নবীর পক্ষে কি সম্ভব?
১৮৯) আল্লাহ পৃথিবী ও আকাশের মালিক এবং তাঁর শক্তি সবকিছুকে পরিবেষ্টন করে রেখেছে। ১৯০) পৃথিবী ও আকাশের সৃষ্টি এবং রাত ও দিনের পালাক্রমে যাওয়া আসার মধ্যে ১৯১) যে সমস্ত বুদ্ধিমান লোক উঠতে, বসতে ও শয়নে সব অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে এবং আকাশ ও পৃথিবীর গঠনাকৃতি নিয়ে চিন্তা- ভাবনা করে, তাদের জন্য রয়েছে বহুতর নিদর্শন। (তারা আপনা আপনি বলে ওঠেঃ) “হে আমাদের রব! এসব আপনি অনর্থক ও উদ্দেশ্যবিহীন ভাবে সৃষ্টি করেননি। বাজে ও নিরর্থক কাজ করা থেকে আপনি পাক-পবিত্র ও মুক্ত। কাজেই হে প্রভু! জাহান্নামের আযাব থেকে আমাদের রক্ষা করুন।
ব্যাখ্যাঃ ৭৯ ও ৮০ নমবর হাদিসে কুরআনই যে সালামুন আলা মুহাম্মাদের হাদিস ও সুন্নাহ তার প্রমান আছে। আললাহ রব্বিল আলআমিন ১৯১ নমবর হাদিসের শেষ অংশ থেকে ১৯৪ নমবর হাদিস পর্যন্ত আমাদেরকে দুআ শিক্ষা দিয়েছেন। ১৮৯ থেকে ১৯১ নমবর হাদিস থেকে বানিয়ে বলা হয় প্রত্যেক ফারদ সলাহতে পরে অথবা দিনে রাতে অথবা ঘুমাতে যাওয়ার পুর্বে ৩৩ বার করে সুবহান আললাহ, আলহামদুলিললাহ, আললাহু আকবার পাঠ করতে হবে। যা সত্য নয়। আললাহ আমাদেরকে কোনো সংখ্যা চাপিয়ে দেননি। আললাহ র আদেশ নিষেধের আনুগত্যের পাশাপাশি সুরহ নাহালের ১০ থেকে ২১ নমবর হাদিসের দিকে খেয়াল রেখে দিনে যতবার ইচ্ছা অর্থ বুঝে ধিরস্থির ও আন্তরিকভাবে এই তাসবিহসমুহ এবং কুরআনের দুআসমুহ পড়া যাবে। অংক করার দরকার নেই। কারন আললাহ যেহেতু বলেননি তাই এটা অযৌক্তিক। উদাহারনস্বরুপ বলা যায় যেমন কেউ যদি বউকে খুশি করার জন্য প্রতিবার শারিরিক সম্পর্কের শেষে ৩৩ বার করে ডান, বাম গালে ও ঠোটে এবং একশত পুর্ণ করার জন্য কপালে একটা চুম্বন করে। তাহলে তার বউ তাকে কয়েকদিন পরে পাবনা বা ঢাকার মানসিক হাসপাতালে নিয়ে যাবে। সুরহ নিসার ২৬-২৮ এবং সুরহ নাহালের ৬৮, ৭৮ ও ৮৬-৮৭ নমবর হাদিস দেখুন। তাই সব বিষয়ে মানুষকে ইসলামের নামে চাপিয়ে দেওয়া ভয়ংকর অন্যায়। যে কারনে নিচের ভিডিওটির মতো হাস্যকর অযথা প্রশ্ন মানুষ করে। আর আমাদের জ্ঞানপাপি আলিম ভাইরা তালি বাজায় আর বলে দেখো বাথরুমে ও বাসর রাতে কি করতে হবে তাও এরা জানে না, জিজ্ঞাসা করে।



নাফাল সি-ইয়াম
প্রকাশ তারিখঃ ২১ মে, ২০২১ইং

কুরআনের বাহিরের হাদিসের অপ্রয়োজনিয়তা, প্রমান চৌদ্দগুষ্টিঃ
সুরহ আনআমঃ ১৬০) যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে হাযির হবে সৎকাজ নিয়ে তার জন্য রয়েছে দশগুণ প্রতিফল আর যে ব্যক্তি অসৎকাজ নিয়ে আসবে সে ততটুকু প্রতিফল পাবে যতটুকু অপরাধ সে করেছে এবং কারোর ওপর জুলুম করা হবে না।
সুরহ নিসাঃ ৪০) আল্লাহ কারো ওপর এক অণু পরিমাণও জুলুম করেন না। যদি কেউ একটি সৎকাজ করে, তাহলে আল্লাহ‌ তাকে দ্বিগুণ করে দেন এবং নিজের পক্ষ থেকে তাকে মহাপুরস্কার প্রদান করেন।
ব্যাখ্যাঃ আমাদেরকে গিলানো হয়, কেউ যদি রমাদনের ৩০টি সিইয়ামের সাথে শাওয়াল মাসে ছয়টি নাফাল সিইয়াম রাখে তাহলে সে সারা বছর সিইয়াম রাখার সাওয়াব পাবে। এই মিথ্যা হাদিসটি সুরহ আনআমের ১৬০ নমবর হাদিস দিয়ে গঠন করা হয়েছে। এই হাদিসে আললাহ দশগুন সাওয়াবের ঘোষনা দিয়েছেন। তাই এটার অংক করা হয়েছে। ৩৬X১০=৩৬০। অপরদিকে সুরহ নিসার চল্লিশ নমবর হাদিসে দিগুন সাওয়াবের ঘোষনা আছে এবং যেহেতু আললাহ সাওয়াব দেওয়ার মালিক তাই তিনি কাউকে দিগুন কাউকে দশগুন অথবা আরও বেশি দিবেন। এইভাবেই কুরআনের বাহিরের হাদিস মানুষের উপর এমন অনেক কিছু চাপিয়ে দিয়েছে যা আললাহ আদেশ বা নিষেধ করেননি এবং সালামুন আলা মুহাম্মাদ বলেননি। মাআযাললাহি। অর্থঃ আললাহ র আশ্রয় নিচ্ছি। সুরহ ইউসুফের ২৩ নমবর হাদিস।


আললাহ র মর্যাদা
প্রকাশ তারিখঃ ১৩ মে, ২০২১ইং

কুরআনের বাহিরের হাদিসের অপ্রয়োজনিয়তা। প্রমান তেরোঃ
সুরহ যুমারঃ ৬৬) অতএব, তুমি শুধু আল্লাহরই বন্দেগী করো এবং তাঁর কৃতজ্ঞ বান্দা হয়ে যাও। (৬৭) আল্লাহকে যে মর্যাদা ও মূল্য দেয়া দরকার এসব লোক তা দেয়নি। (তাঁর অসীম ক্ষমতার অবস্থা এই যে, ) কিয়ামতের দিন গোটা পৃথিবী তাঁর মুঠির মধ্যে থাকবে আর আসমান তাঁর ডান হাতে পেঁচানো থাকবে। এসব লোক যে শিরক করছে তিনি তা থেকে পবিত্র ও অনেক উর্ধ্বে।
সুরহ আল মুউমিনুনাঃ ৮৪) তাদেরকে জিজ্ঞেস করোঃ যদি তোমরা জানো তাহলে বলো এ পৃথিবী এবং এর মধ্যে যারা বাস করে তারা কারা?
সুরহ ইয়াসিনঃ ৭৬) হ্যাঁ, এদের তৈরী কথা যেন তোমাকে মর্মাহত না করে এদের গোপন ও প্রকাশ্য সব কথাই আমি জানি। ৭৮) এখন সে আমার ওপর উপমা প্রয়োগ করে এবং নিজের সৃষ্টির কথা ভুলে যায়, আর বলে, "এ হাড়গুলো যখন পচে গলে গেছে এতে আবার প্রাণ সঞ্চার করবে কে?
ব্যাখ্যাঃ আললাহ র নির্দেশ মতো আললাহ কে না দেখে বিশ্বাস করা সহজ কাজ নয়। সালামুন আলা মুসা আললাহ কে দেখতে চেয়েছিলেন। কিনতু আললাহ তার দুআ কবুল করেননি। সুরহ বানি ইসরঈলের প্রথম বাক্য মতে সালামুন আলা মুহাম্মাদ অনেক অদৃশ্য দেখলেও আললাহ কে দেখেননি। কারন মানুষের পরিক্ষা এটাই যে সে তার স্রষ্টা এক আললাহ কে না দেখেই বিশ্বাস করতে হবে। কুরআন আললাহ র আদেশ নিষেধ। যা সালামুন আলা মুহাম্মাদ বাস্তব জিবনে প্রতিষ্টা করেছেন। তাই কুরআনই সালামুন আলা মুহাম্মাদের সুন্নাহ ও হাদিস বা পদ্ধতি ও কথা। এইজন্যই সুরহ আসরিসহ কুরআনের বহু বাক্যে কথা ও কাজের সমন্বয়কে ইমান বলা হয়েছে। যেমন গনতন্ত্র হারম কারন গনতন্ত্র অর্থ ব্যক্তির মত। মুসলিমের মত ও কাজ কুরআনের বাহিরে যাওয়া বিপদজনক। ইসলামি রাষ্ট্রে অমুসলিমরা তাদের স্বাধিনতা ভোগ করবে তাতে কোনো বাধা নেই। কিনতু একজন মুসলিম কুরআনের জ্ঞান অর্জন এবং অনুসরণ করবে। ইসলামি রাষ্ট্রের দায়িত্ব হলো সেই পরিবেশ তৈরি করা যাতে মুসলিমদের জন্য কুরআনের চরিত্র ব্যক্তি জিবনে প্রতিষ্টা করা সহজ হয় এবং ব্যক্তি খারাপ কাজ করতে লজ্জা পায়। তাই রাষ্ট্রের কথা ও কাজ যদি কুরআনমুখি হয় তাহলে সেই রাষ্ট্রের নাম গনতন্ত্র রাজতন্ত্র সমাজতন্ত্র হলেও সমস্যা নেই কারন সেই গনতন্ত্র রাজতন্ত্র সমাজতন্ত্র হলো কুরআনের আলোতে প্রতিষ্টিত। ফলে আললাহ র নিকট সেই তন্ত্রই ইসলামি রাষ্ট্র বিবেচিত হবে। তবে আমরা জানি আমাদের গনতন্ত্র কুরআনবিরোধি তাই সংশোধন করতে হবে। কুরআন বিরোধি কারন আমরা ক্ষমতালোভি, একে অপরের ক্ষতি করি, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য মারামারি করি, অর্থ সম্পদ অপচয়, বিলাসিতা প্রভৃতি পাপ করছি। সমাধান হলো শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রতিটা মুসলিমকে কুরআনের জ্ঞান অর্জন বাধ্যতামুলক করতে হবে। তারপর যদি বুখারি মুসলিম প্রয়োজন মনে হয় তাহলে অবশ্যই পড়া যাবে। কিনতু তাই বলে বুখারি মুসলিম সালামুন আলা মুহাম্মাদের হাদিস ও সুন্নাহ এই মিথ্যা প্রচার করে কুরআন থেকে দূরে থাকা শায়তনি কাজ ও বিপদজনক।
সুরহ মা-ইদাহের ১১৪ নমবর বাক্যে ঈদ বা আনন্দমেলা শব্দটি আছে। সালাম বিনিময়, সুরহ ইবরহিমের ৪০-৪১, সুরহ নুহের শেষ বাক্য, সুরহ বাকরহের ২০১ নমবর বাক্য ঈদের দিন একে অপরের সাথে সাক্ষাতে পড়া যাবে। কিনতু কুরআনের বাহিরের দুআ সমুহকে সালামুন আলা মুহাম্মাদ ও সাহাবিদের সুন্নাহ বলে মিথ্যা প্রচার করা বিপদজনক। সুরহ যুমারের ৬৭ নমবর বাক্যই তার প্রমান।

কুরআনের দুআ
প্রকাশ তারিখঃ ৯ মে, ২০২১ইং

কুরআনের বাহিরের হাদিসের অপ্রয়োজনিয়তা। প্রমান বারোঃ
সুরহ আম্বিইয়াঃ ৮৩) আর (এ একই বুদ্ধিমত্তা, প্রজ্ঞা ও জ্ঞান) আমি আইয়ুবকে দিয়েছিলাম। স্মরণ করো, যখন সে তাঁর রবকে ডাকলো, “আমি রোগগ্রস্ত হয়ে গেছি এবং আপনি করুণাকারীদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ করুণাকারী।
সুরহ সদঃ ৪১) আর স্মরণ করো আমার বান্দা আইয়ূবের কথা যখন সে তাঁর রবকে ডাকলো এই বলে যে, শায়তন আমাকে কঠিন যন্ত্রণা ও কষ্টের মধ্যে ফেলে দিয়েছে।
সুরহ আশ শুআরহঃ (৭৭) এরা তো সবাই আমার দুশমন একমাত্র রব্বুল আলামীন ছাড়া, (৭৮) যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন, তারপর তিনিই আমাকে পথ দেখিয়েছেন। (৭৯) তিনি আমাকে খাওয়ান ও পান করান (৮০) এবং রোগাক্রান্ত হলে তিনিই আমাকে রোগমুক্ত করেন। (৮১) তিনি আমাকে মৃত্যু দান করবেন এবং পুনর্বার আমাকে জীবন দান করবেন। (৮২) তাঁর কাছে আমি আশা করি, প্রতিদান দিবসে তিনি আমার অপরাধ ক্ষমা করবেন।” (৮৩) (এরপর ইবরাহীম দুআ করলোঃ) “হে আমার রব! আমাকে প্রজ্ঞা দান করুন এবং আমাকে সৎকর্মশীলদের সাথে শামিল করুন। (৮৪) আর পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে আমার সত্যিকার খ্যাতি ছড়িয়ে দিন (৮৫) এবং আমাকে নিয়ামতে পরিপূর্ণ জান্নাতের অধিকারীদের অন্তর্ভুক্ত করুন।
ব্যাখ্যাঃ আললাহ আমাদেরকে রোগমুক্তির জন্য উপরের তিনটি সুরহতে দুআ শিক্ষা দিয়েছেন। এছাড়াও সুরহ ফালাক নাসসহ কুরআনে অসংখ দুআ আছে।

কুরআনই হাদিস ও সুন্নাহ
প্রকাশ তারিখঃ ৪ মে, ২০২১ইং

কুরআনের বাহিরের হাদিসের অপ্রয়োজনিয়তা। প্রমান এগারোঃ
৬১ নমবর সুরহ সফঃ ৭) সেই ব্যক্তির চেয়ে বড় জালেম আর কে হবে যে আল্লাহর বিরুদ্ধে মিথ্যা বানিয়ে বলে। অথচ তাকে শুধু ইসলামের (আল্লাহর আনুগত্য করার) দিকে আহ্বান করা হচ্ছে। আল্লাহ এ রকম জালেমদের হিদায়াত দেন না। ৮) এরা তাদের মুখের ফুঁ দিয়ে আল্লাহর নূরকে নিভিয়ে দিতে চায়। অথচ আল্লাহর ফায়সালা হলো তিনি তার নূরকে পূর্ণরূপে বিকশিত করবেন। কাফেররা তা যতই অপছন্দ করুক না কেন। ৯) তিনিই সেই মহান সত্তা যিনি তাঁর রসূলকে হিদায়াত এবং ‘দ্বীনে হক’ দিয়ে পাঠিয়েছেন যাতে তিনি এ দ্বীনকে অন্য সকল দ্বীনের ওপর বিজয়ী করেন, চাই তা মুশরিকদের কাছে যতই অসহনীয় হোক না কেন।
ব্যাখ্যাঃ কুরআনের বাহিরের তথ্যসুত্র দিয়ে সুরহ সফের সাত নমবর বাক্যটির মতো একটা হাদিস প্রচার করা হয়। সেটি হলো সালামুন আলা মুহাম্মাদ নাকি বলেছেন "যে ব্যক্তি আমার নামে মিথ্যা প্রচার করে তার ঠিকানা জাহান্নাম।" ( আবার তারাই বুখারি মুসলিমসহ অসংখ বইয়ের কথাকে হাদিস বলে দাবি করেন ) অথচ এটি কুরআনের বাক্য। অধিকাংশ মুসলিম আললাহ ও তার সৃষ্টি নাবি রসুলগনের পার্থক্য ইচ্ছাকৃতভাবে গুরত্ব না দেয়ার উদ্দেশ্যে বলে থাকে "আমি তো আললাহ র হাদিসই বলছি তাই তথ্যসুত্র সমস্যা নয়।" যা সত্য নয়। কারন চাচাকে পিতা বলা যায় না। আট নমবর বাক্যে আললাহ কুরআনকে নুর বা আলো বলেছেন। কারন কুরআন মানুষকে জান্নাতের পথ দেখায়। হাশালিললাহি। অর্থঃ আললাহ রক্ষাকারি, নিষেধকারি, আশ্রয়দানকারি। সুরহ ইউসুফ, ৫১ নমবর বাক্য।

Popular posts from this blog

কুরআন থেকে আমাদের স্রষ্টা এক আললাহ র আদেশ নিষেধের জ্ঞান অর্জন করে, বাস্তবায়ন করি

কুরআনই হাদিস

Salah