My Facebook Collections 27 to 29

কুরআনের বাহিরের হাদিসের অপ্রয়োজনিয়তা। প্রমান তিরিশঃ


সুরহ আত তুরঃ فَلۡيَاۡتُوۡا بِحَدِيۡثٍ مِّثۡلِهٖۤ اِنۡ كَانُوۡا صٰدِقِيۡنَؕ‏

(১) তূরের শপথ (২) এবং এমন একখানা খোলা গ্রন্থের শপথ (৩) যা সূক্ষ্ম চামড়ার ওপর লিখিত।
(৩৩) তারা কি বলে যে, এ ব্যক্তি নিজেই কুরআন রচনা করে নিয়েছে? প্রকৃত ব্যাপার হচ্ছে তারা ঈমান গ্রহণ করতে চায় না। (৩৪) তাদের একথার ব্যাপারে তারা যদি সত্যবাদী হয় তাহলে এ বাণীর মত একটি বাণী তৈরি করে আনুক। (৩৫) কোন সৃষ্টিকর্তা ছাড়া এরা কি নিজেরাই সৃষ্টি হয়েছে? না কি এরা নিজেরাই নিজেদের সৃষ্টিকর্তা? (৩৬) না কি পৃথিবী ও আসমানকে এরাই সৃষ্টি করেছে? প্রকৃত ব্যাপার হলো, তারা বিশ্বাস পোষণ করে না। (৩৭) তোমার রবের ভাণ্ডারসমূহ কি এদের অধিকারে? নাকি ঐ সবের ওপর তাদের কর্তৃত্ব চলে? (৩৮) তাদের কাছে কি কোন সিঁড়ি আছে, যাতে আরোহণ করে তারা ঊর্ধ্বজগতের কথা শুনে নেয়? এদের মধ্যে যে শুনেছে সে পেশ করুক কোন সুস্পষ্ট প্রমাণ।
(১১) ধ্বংস রয়েছে সেদিন সেসব অস্বীকারকারীদের জন্য (১২) যারা আজ, তামাসাচ্ছলে নিজেদের যুক্তি-প্রমাণ উপস্থাপনে ব্যস্ত আছে।
সুরহ ওয়াকিআহঃ (৭৫) অতএব না, আমি শপথ করছি তারকাসমূহের ভ্রমণ পথের। (৭৬) এটা এক অতি বড় শপথ যদি তোমরা বুঝতে পার। (৭৭) এ তো মহা সম্মানিত কুরআন। (৭৮) একখানা সুরক্ষিত গ্রন্থে লিপিবদ্ধ। (৭৯) পবিত্র সত্তাগণ ছাড়া আর কেউ তা স্পর্শ করতে পারে না। (৮০) এটা বিশ্ব-জাহানের রবের নাযিলকৃত। (৮১) এরপরও কি তোমরা এ বাণীর প্রতি উপেক্ষার ভাব প্রদর্শন করছো? (৮২) এ নিয়ামতে তোমরা নিজেদের অংশ রেখেছো এই যে, তোমরা তা অস্বীকার করছো?
সুরহ আর রহমানঃ (১) পরম দয়ালু (আল্লাহ) (২) এ কুরআনের শিক্ষা দিয়েছেন। (৩) তিনিই মানুষকে সৃষ্টি করেছেন (৪) এবং তাকে কথা শিখিয়েছেন। (৫) সূর্য ও চন্দ্র একটি হিসেবের অনুসরণ করছে (৬) এবং তারকারাজি ও গাছপালা সব সিজদাবনত। (৭) আসমানকে তিনিই সুউচ্চ করেছেন এবং দাড়িপাল্লা কায়েম করেছেন। (৮) এর দাবী হলো তোমরা দাড়িপাল্লায় বিশৃংখলা সৃষ্টি করো না। (৯) ইনসাফের সাথে সঠিকভাবে ওজন করো এবং ওজনে কম দিও না। (১০) পৃথিবীকে তিনি সমস্ত সৃষ্টির জন্য বানিয়েছেন।
সুরহ নাজমিঃ (১) তারকারাজির শপথ যখন তা অস্তমিত হলো। (২) তোমাদের বন্ধু (সালামুন আলা মুহাম্মাদ) পথভ্রষ্ট হয়নি বা বিপথগামীও হয়নি। (৩) সে নিজের খেয়ালখুশী মতো কথা বলে না। (৪) যা তার কাছে নাযিল করা হয় তা অহী ছাড়া আর কিছুই নয়। (৫) তাকে মহাশক্তির অধিকারী একজন শিক্ষা দিয়েছে, যে অত্যন্ত জ্ঞানী।
(১৮) সে তার রবের বড় বড় নিদর্শনসমূহ দেখেছে।
২২) তাহলে এটা অত্যন্ত প্রতারণামূলক বন্টন। (২৩) প্রকৃতপক্ষে এসব তোমাদের বাপ-দাদাদের রাখা নাম ছাড়া আর কিছুই না। এজন্য আল্লাহ‌ কোন সনদপত্র নাযিল করেননি। প্রকৃত ব্যাপার হচ্ছে, মানুষ শুধু ধারণা ও প্রবৃত্তির বাসনার দাস হয়ে আছে। অথচ তাদের রবের পক্ষ থেকে তাদের কাছে হিদায়াত এসেছে। (২৪) মানুষ যা চায় তাই কি তার জন্য ঠিক? (২৫) দুনিয়া ও আখেরাতের মালিক তো একমাত্র আল্লাহ‌।
ব্যাখ্যাঃ আললাহ সুরহ তুরের ৩৩ ও ৩৪ নমবর এবং সুরহ নাজমির ৩ নমবর হাদিসসহ উপরের প্রতিটা হাদিসে স্পষ্ট বলে দিয়েছেন যে সালামুন আলা মুহাম্মাদ কুরআনের বাহিরে কোনো কথা বলেন না এবং কুরআনের বাহিরে তার কোনো হাদিস সংরক্ষনের প্রয়োজন নেই। তাই বুখারি মুসলিম বা অন্য কোনো মানুষের লেখা হাদিসকে সালামুন আলা মুহাম্মাদের হাদিস বিশ্বাস করলে সুরহ তুরের ৩৪ ও ৩৮ নমবর হাদিসকে অস্বিকার করা হবে।

কুরআনের বাহিরের হাদিসের অপ্রয়োজনিয়তা, 
প্রমান উনতিরিশঃ 

 
সুরহ ফাতাহঃ (১) হে নাবি আমি তোমাকে সুস্পষ্ট বিজয় দান করেছি (২) যাতে আল্লাহ‌ তোমার আগের ও পরের সব ত্রুটি-বিচ্যুতি মাফ করে দেন, তোমার জন্য তাঁর নিয়ামতকে পূর্ণতা দান করেন, (৩) তোমাকে সরল সহজ পথ দেখিয়ে দেন এবং অত্যন্ত বলিষ্ঠভাবে সাহায্য করেন।
(৮) হে নাবি, আমি তোমাকে সাক্ষ্যদানকারী, সুসংবাদ দানকারী এবং সতর্ককারী হিসেবে পাঠিয়েছি- (৯) যাতে হে মানুষ, তোমরা আল্লাহ‌ ও তাঁর রসূলের প্রতি ঈমান আন, তাঁকে সাহায্য কর, তাঁর প্রতি সম্মান ও মর্যাদা দেখাও এবং সকাল ও সন্ধ্যায় তাঁর পবিত্রতা বর্ণনা কর।
সুরহ মুহাম্মাদঃ ১৯) অতএব, হে নাবি, ভাল করে জেনে নাও, আল্লাহ‌ ছাড়া আর কেউ ইবাদাতের যোগ্য নয়। নিজের ত্রুটির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করো এবং মু’মিন নারী ও পুরুষদের জন্যও। আল্লাহ তোমাদের তৎপরতা সম্পর্কে অবহিত এবং তোমাদের ঠিকানা সম্পর্কেও অবহিত।
২৪) তারা কি কুরআন নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করেনি, নাকি তাদের মনের ওপর তালা লাগানো আছে? ২৫) প্রকৃত ব্যাপার হলো, হিদায়াত সুস্পষ্ট হওয়ার পরও যারা তা থেকে ফিরে গেল শয়তান তাদের জন্য এরূপ আচরণ সহজ বানিয়ে দিয়েছে এবং মিথ্যা আশাবাদকে দীর্ঘায়িত করে রেখেছেন।
সুরহ আহকফঃ (৮) তারা কি বলতে চায় যে রসূল নিজেই এসব রচনা করেছেন? তাদের বলে দাওঃ “আমি নিজেই যদি তা রচনা করে থাকি তাহলে কোন কিছু আমাকে আল্লাহর পাকড়াও থেকে রক্ষা করতে পারবে না। যেসব কথা তোমরা তৈরী করছো আল্লাহ তা ভাল করেই জানেন। আমার ও তোমাদের ব্যাপারে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য তিনিই যথেষ্ট। তিনি অতীব ক্ষমাশীল ও দয়ালু। (৯) এদের বলো,
‘আমি কোন অভিনব রসূল নই। আগামিকাল তোমাদের সাথে কী আচরণ করা হবে এবং আমার সাথেই বা কী আচরণ করা হবে তা আমি জানি না। আমি তো কেবল সেই অহীর অনুসরণ করি যা আমার কাছে পাঠানো হয় এবং আমি সুস্পষ্ট সাবধানকারী ছাড়া আর কিছুই নই। (১০) তাদের বলো, তোমরা কি কখনো একথা ভেবে দেখেছো, যদি এই বাণী আল্লাহর পক্ষ থেকেই এসে থাকে আর তোমরা তা প্রত্যাখ্যান করো (তাহলে তোমাদের পরিণাম কী হবে)? এ রকম একটি বাণী সম্পর্কে তো বনী ইসরাঈলদের একজন সাক্ষী সাক্ষ্যও দিয়েছে। সে ঈমান এনেছে। কিন্তু তোমরা আত্মম্ভরিতায় ডুবে আছো। এ রকম জালেমদের আল্লাহ‌ হিদায়াত দান করেন না’।
সুরহ জাসিইয়াহঃ (১৮) অতঃপর হে নাবি, আমি দ্বীনের ব্যাপারে তোমাকে একটি সুস্পষ্ট রাজপথের (শরীয়তের) ওপর প্রতিষ্ঠিত করেছি। সুতরাং তুমি তার ওপরেই চলো এবং যারা জানে না তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করো না। (১৯) আল্লাহর মোকাবিলায় তারা তোমরা কোন কাজেই আসতে পারে না। জালেমরা একে অপরের বন্ধু এবং মুত্তাকীনদের বন্ধু আল্লাহ। (২০) এটা সব মানুষের জন্য দূরদৃষ্টির আলো এবং যারা দৃঢ় বিশ্বাস পোষণ করে তাদের জন্য হিদায়াত ও রহমত।
ব্যাখ্যাঃ সুরহ ফাতাহ এর এক থেকে তিন ও সুরহ মুহাম্মাদের ১৯ নম্বর হাদিস থেকে আমরা জানতে পারি নাবি রসুলগনও আললাহর ক্ষমা ও দয়ার কারনে জান্নাতি হবেন তাই তাদেরকে নিজগুনে নিষ্পাপ বিশ্বাস করা পাপ হবে। তারাও পাপ করতেন কিনতু সেটা সাধারন মানুষের মতো নিয়মিত ইচ্ছাকৃত ছিল না। কারন তারা আললাহ র নির্বাচিত আবদ ছিলেন। ফলে স্রষ্টা আললাহ সম্পর্কে তাদের জ্ঞানের গভিরতা উচ্চ পর্যায়ের ছিল। আললাহ একমাত্র নিষ্পাপ স্বত্তা। তিনি জাহান্নামে তার সৃষ্টিকে শাস্তি দিবেন বলে অত্যাচারি নন। কারন তিনি স্রষ্টা। তিনি জান্নাতও সৃষ্টি করেছেন। তাই স্রষ্টার মর্যাদা আর মানুষের মর্যাদা মিশিনো থেকে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। সুরহ ফাতাহ এর আট নয়, চব্বিশ পচিশ ও সুরহ আহকফের আট থেকে দশ এবং সুরহ আহকফের ১৮ থেকে ২০ নম্বর হাদিস মতে বুখারি মুসলিম সালামুন আলা মুহাম্মাদের হাদিস নয়। একমাত্র কুরআন আললাহ ও সালামুন আলা মুহাম্মাদের হাদিস। এইজন্যই যেখানেই আললাহ রসুলকে অনুসরণ করতে বলেছেন সেখানে প্রথমে আললাহ কে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। এক আললাহ এক কিতাব। এই সহজ বিষয়টি বুঝতে হবে। ইনশাআললাহু আমিনিনা।
 
কুরআনের বাহিরের হাদিসের অপ্রয়োজনিয়তা, 
প্রমান আঠাশঃ
৪১ নমবর সুরহ ফুসসিলাতঃ (২) এটা পরম দয়ালু ও মেহেরবান আল্লাহ‌র পক্ষ থেকে নাযিলকৃত জিনিস। (৩) এটি এমন এক গ্রন্থ যার আয়াতসমূহ সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে। আরবী ভাষার কুরআন। সেই সব লোকদের জন্য যারা জ্ঞানের অধিকারী, (৪) সুসংবাদ দানকারী ও সতর্ককারী। কিন্তু তাদের অধিকাংশ লোকই তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, তারা শুনতেই পায় না। (৫) তারা বলেঃ তুমি আমাদের যে জিনিসের দিকে আহবান জানাচ্ছো সে জিনিসের ব্যাপারে আমাদের মনের ওপর পর্দা পড়ে আছে, আমাদের কান বধির হয়ে আছে এবং তোমার ও আমাদের মাঝে একটি পর্দা আড়াল করে আছে। তুমি তোমার কাজ করতে থাকো আমরাও আমাদের কাজ করে যাবো। (৬) হে নবী, এদের বলে দাও, আমি তো তোমাদের মতই একজন মানুষ। আমাকে অহীর মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয় যে, একজনই মাত্র তোমাদের ইলাহ কাজেই সোজা তাঁর প্রতি নিবিষ্ট হও এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো। মুশরিকদের জন্য ধ্বংস, (৭) যারা যাকাত দেয় না। এবং আখেরাত অস্বীকার করে। (৮) যারা ঈমান এনেছে এবং নেক কাজ করেছে, নিশ্চিতভাবে তাদের জন্য এমন পুরস্কার রয়েছে যার ধারাবাহিকতা কখনো ছিন্ন হবে না।
(১৫) তাদের অবস্থা ছিল এই যে, পৃথিবীতে তারা অন্যায়ভাবে নিজেদেরকে বড় মনে করে বসেছিলো এবং বলতে শুরু করেছিলঃ আমাদের চেয়ে অধিক শক্তিশালী আর কে আছে? তারা একথা বুঝলো না যে, যে আল্লাহ‌ তাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, তিনি তাদের অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী। তারা আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকারই করে চললো।
(২৬) এসব কাফেররা বলে, এ কুরআন তোমরা কখনো শুনবে না। আর যখন তা শুনানো হবে তখন হট্টগোল বাধিয়ে দেবে। হয়তো এভাবে তোমরা বিজয়ী হবে। (২৭) আমি এসব কাফেরদের কঠিন শাস্তির মজা চাখাবো এবং যে জঘন্যতম তৎপরতা তারা চালিয়ে যাচ্ছে তার পুরো বদলা তাদের দেবো। (২৮) প্রতিদানে
আল্লাহ‌র দুশমনরা যা লাভ করবে তা হচ্ছে দোযখ। সেখানেই হবে তাদের চিরদিনের বাসস্থান। তারা আমার আয়াতসমূহ অস্বীকার করতো। এটা তাদের সেই অপরাধের শাস্তি।
(৪৪) আমি যদি একে আজমী কুরআন বানিয়ে পাঠাতাম তাহলে এসব লোক বলতো, এর আয়াতসমূহ সুস্পষ্ট করে বর্ণনা করা হয়নি কেন? কি আশ্চর্য কথা, আজমী বাণীর শ্রোতা আরবী ভাষাভাষী এদের বলো, এ কুরআন মু'মিনদের জন্য হিদায়াত ও রোগমুক্তি বটে। কিন্তু যারা ঈমান আনে না এটা তাদের জন্য পর্দা ও চোখের আবরণ। তাদের অবস্থা হচ্ছে এমন যেন দূর থেকে তাদেরকে ডাকা হচ্ছে। (৪৫) এর আগে আমি মূসাকে কিতাব দিয়েছিলাম। সে কিতাব নিয়েও এই মতানৈক্য হয়েছিলো তোমার রব যদি পূর্বেই একটি বিষয় ফায়সালা না করে থাকতেন তাহলে এই মতানৈক্যকারীদের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কার্যকরী করা হতো। প্রকৃত ব্যাপার হলো, এসব লোক সে ব্যাপারে চরম অস্বস্তিকর সন্দেহে নিপতিত। (৪৬) যে নেক কাজ করবে সে নিজের জন্যই কল্যাণ করবে। আর যে দুষ্কর্ম করবে তার মন্দ পরিণাম তাকেই ভোগ করতে হবে। তোমার রব বান্দাদের জন্য জালেম নন।
(৫২) হে নবী, এদের বলে দাও, তোমরা কি কখনো একথা ভেবে দেখেছো যে, সত্যিই এ কুরআন যদি আল্লাহ‌র পক্ষ থেকে এসে থাকে আর তোমরা তা অস্বীকার করতে থাকো তাহলে সেই ব্যক্তির চেয়ে অধিক পথভ্রষ্ট আর কে হবে যে এর বিরোধিতায় বহুদূর অগ্রসর হয়েছে।
৪৩ নমবর সুরহ যুখরুফঃ (২) এই সুস্পষ্ট কিতাবের শপথ। (৩) আমি একে আরবী ভাষার কুরআন বানিয়েছি যাতে তোমরা তা বুঝতে পারো। (৪) প্রকৃতপক্ষে এটা মূল কিতাবে লিপিবদ্ধ আছে যা আমার কাছে অত্যন্ত উচুঁ মর্যাদা সম্পন্ন ও জ্ঞানে ভরা কিতাব। (৫) তোমরা সীমালংঘনকারী, শুধু এ কারণে কি আমি তোমাদের
প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে উপদেশমূলক শিক্ষা পাঠানো পরিত্যাগ করবো? (৬) পূর্ববর্তী জাতিসমূহের মধ্যেও আমি বার বার নবী পাঠিয়েছি। (৭) এমন কখনো ঘটেনি যে তাদের কাছে কোন নবী এসেছে। কিন্তু তাকে বিদ্রূপ করা হয়নি। (৮) যারা এদের চাইতে বহুগুণে শক্তিশালী ছিল তাদেরকে আমি ধ্বংস করে দিয়েছি। পূর্ববর্তী জাতিসমূহের উদাহরণ অতীত হয়ে গিয়েছে।
(২০) এরা বলেঃ “দয়াময় আল্লাহ‌ যদি চাইতেন (যে আমরা তাদের ইবাদত না করি) তাহলে আমরা কখনো পূজা করতাম না। এ বিষয়ে প্রকৃত সত্য এরা আদৌ জানে না, কেবলই অনুমানে কথা বলে। (২১) আমি কি এর আগে এদেরকে কোন কিতাব দিয়েছিলাম (নিজেদের এই মালাক পূজার সপক্ষে) এরা যার সনদ নিজেদের কাছে সংরক্ষন করছে? (২২) তা নয়, বরং এরা বলে, আমরা আমাদের বাপ-দাদাকে একটি পন্থার ওপর পেয়েছি, আমরা তাদেরই পদাঙ্ক অনুসরণ করে চলছি।
৪২ নমবর সুরহ আশ শু-রঃ ১৩) তিনি তোমাদের জন্য দ্বীনের সেই সব নিয়ম-কানুন নির্ধারিত করেছেন যার নির্দেশ তিনি নূহকে দিয়েছিলেন এবং (হে মুহাম্মাদ) যা এখন আমি তোমার কাছে অহীর মাধ্যমে পাঠিয়েছি। আর যার আদেশ দিয়েছিলাম আমি ইবরাহীম (আ), মূসা (আ) ও ঈসাকে (আ) । তার সাথে তাগিদ করেছিলাম এই বলে যে, এ দ্বীনকে কায়েম করো এবং এ ব্যাপারে পরস্পর ভিন্ন হয়ো না। (হে মুহাম্মাদ) এই কথাটিই এসব মুশরিকের কাছে অত্যন্ত অপছন্দনীয় যার দিকে তুমি তাদের আহবান জানাচ্ছো। আল্লাহ‌ যাকে ইচ্ছা আপন করে নেন এবং তিনি তাদেরকেই নিজের কাছে আসার পথ দেখান যারা তাঁর প্রতি রুজু করে।
১৭) এই কিতাব ও মিযান যথাযথভাবে আল্লাহই নাযিল করেছেন। তুমি তো জানো না, চূড়ান্ত ফায়সালার সময় হয়তো অতি নিকটবর্তী হয়ে পড়েছে। ১৮) যারা তা আসবে বলে বিশ্বাস করে না তারাই তার জন্য তাড়াহুড়া করে। কিন্তু যারা তা বিশ্বাস করে তারা তাকে ভয় করে। তারা জানে, অবশ্যই তা আসবে। ভাল করে
শুনে নাও, যারা সেই সময়ের আগমনের ব্যাপারে সন্দেহ সৃষ্টি করার জন্য বিতর্ক করে তারা গোমরাহীর মধ্যে বহুদূর অগ্রসর হয়েছে।
ব্যাখ্যাঃ ফুসসিলাত অর্থ বিস্তারিত। তাই কুরআনের ব্যাখ্যা কুরআন নিজেই করে। যার প্রমান উপরে উল্লেখিত সকল হাদিস এবং বিশেষ করে সুরহ শু-র, র ১৩ নমবর হাদিসের সাথে সুরহ যুখরুফের ২০ থেকে ২২ নমবর হাদিস মিলিয়ে পড়লে সহজেই বোঝা যাবে এবং এই সংক্রান্ত আরও হাদিস কুরআনে আছে। সুরহ ফুসসিলাতের ৩৭ থেকে ৪২ নমবর হাদিসসমুহ অধ্যয়ন করলে আমরা জানতে পারবো যে কেবল কুরআনের বাক্যসমুহ নয় বরং আললাহ র সমস্ত সৃষ্টিই আইয়াহ। ইনশাআললাহু আমিনিনা।
 

কুরআনের বাহিরের হাদিসের অপ্রয়োজনিয়তা, 

প্রমান সাতাশ (এ রমাদনঃ

সুরহ ফাতাহঃ ২৩) এটা আল্লাহর সুন্নাহ যা পূর্ব থেকেই চলে আসছে। তুমি আল্লাহর সুন্নাতে কোন পরিবর্তন পাবে না।
সুরহ আহযাবঃ ৩৮) নাবির জন্য এমন কোন কাজে কোন বাঁধা নেই যা আল্লাহ‌ তার জন্য নির্ধারণ করেছেন ইতিপূর্বে যেসব নাবি অতীত হয়ে গেছেন তাদের ব্যাপারে এটিই ছিল আল্লাহর সুন্নাহ, আর আল্লাহর হুকুম হয় একটি চূড়ান্ত স্থিরীকৃত সিদ্ধান্ত।
৬২) এটিই আল্লাহর সুন্নাত, এ ধরনের লোকদের ব্যাপারে পূর্ব থেকে এটিই চলে আসছে এবং তুমি আল্লাহর সুন্নাতে কোন পরিবর্তন পাবে না।
সুরহ ফাতিরঃ ৪৩) তারা পৃথিবীতে আরো বেশী অহংকার করতে থাকে এবং দুষ্ট চাল চালতে থাকে, অথচ দুষ্ট চাল তার উদ্যোক্তাদেরকেই ঘিরে ফেলে। এখন তারা কি পূর্বের জাতিদের সাথে আল্লাহ‌ যে পদ্ধতি অবলম্বন করেছিলেন তাদের সাথে অনুরূপ পদ্ধতিরই অপেক্ষা করছে? যদি একথাই হয়ে থাকে তাহলে তুমি আল্লাহর পদ্ধতিতে (সুন্নাহ) কখখনো কোন পরিবর্তন পাবে না এবং কখখনো আল্লাহর বিধানকে তার নির্ধারিত পথ থেকে হটে যেতেও তুমি দেখবে না।
৪০ নমবর সুরহ মুউমিনুনঃ ৮৫) কিন্তু আমার আযাব দেখার পর তাদের ঈমান গ্রহণ কোন উপকারে আসার নয়। কারণ, এটাই আল্লাহর সুনির্ধারিত বিধান (সুন্নাহ) যা সবসময় তাঁর বান্দাদের মধ্যে চালু ছিল। সেসময় কাফেররা ক্ষতির মধ্যে পড়ে গেল।
ব্যাখ্যাঃ উপরের পাচটি হাদিস থেকে আমরা নিশ্চিত হতে পারি আললাহ র সুন্নাতকেই সালামুন আলা মুহাম্মাদের সুন্নাহ বলে। অথচ হাদিস ও সুন্নাহ শব্দ দুইটির অপব্যাখ্যা করে আমাদের অনেক ভুল জ্ঞান শিক্ষা দেওয়া হয়েছে, হচ্ছে। যেমন নিচের আলিম দাবিদার ব্যক্তি বুখারি মুসলিমকে সত্য প্রমান করতে গিয়ে কুরআনের উপর কি ভয়ানক অপবাদ ও মিথ্যাচার করেছেন। তিনি বললেন ইমানের সংজ্ঞাও নাকি কুরআনে নাই। অথচ কুরআনের প্রতিটা সুরহতেই ইমান, শাহাদাত আছে। যেমন সুরহ তাগবুনের ১৩ নমবর, সুরহ বা-ক-রহের ১৩৬, ২৫৫, ২৮৫, সুরহ আনআমের ১৬২-১৬৩ নমবর হাদিস। আসলে সালামুন আলা মুহাম্মাদের নাম না থাকার কারনেই তিনি এই মিথ্যাচার করেছেন। অথচ আললাহ কুরআনে ব্যক্তিপুজা শিক্ষা দেননি বলেই সালামুন আলা মুহাম্মাদ নামটি তিন চারবারের বেশি নেননি। অপরদিকে একাধিক নাবিরসুলের নাম অনেকবার আসায় সালামুন আলা মুহাম্মাদ পুজারিরা এই মিথ্যাচার করেন। অথচ এটা মুর্খতা। যা আমি ছাব্বিশতম প্রমানে উল্লেখ করেছি। তিনি আরও বলেছেন বিবাহের কবুল নাকি কুরআনে নাই। সুরহ বাকরহের ২৩২ থেকে ২৪২ নমবর হাদিস দেখুন। কতটা কান্ডজ্ঞানহিন, বিবেকহিন ও মিথ্যাবাদি হলে এইরকম বলা সম্ভব? আললাহ মানুষকে জ্ঞান দিয়েছেন তাই সবকিছু ব্যাখ্যা করতে হয় না। সুরহ রুম অধ্যয়ন করুন। সুরহ যুমার অর্থ দলে দলে। এই সুরহতের ৭১ নমবর হাদিসে এই শব্দটি জাহান্নামিদের জন্য এবং ৭৩ নমবর হাদিসে জান্নাতিদের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। এইভাবে কুরআনের ব্যাখ্যা কুরআনেই আছে। আমাদের আলিমভাইরা যেহেতু আরবি ভাষা জানেন তাই কথায় কথায় তাদের আরবির আওয়াজ শুনে আমরা ভাবি তারাই জ্ঞানি ও সঠিক বলছেন। কিনতু এটা সঠিক নয়। যারা প্রতিদিন কুরআন অধ্যয়নের পাশাপাশি আলিমদের চাপাবাজি শুনবেন তারা বুঝবেন আমাদের আলিমভাইরা ইচ্ছাকৃতভাবে কতো মিথ্যাচার করেন। নিচের ভিডিওতে আলিম ভাইয়ের প্রতিপক্ষ আহলি কুরআন যিনি ছিলেন তিনি আরবি ভাষা ও কুরআনে দক্ষ না হওয়ায় সঠিক তথ্য দিতে পারেননি। তাছাড়া আহলি কুরআনরাও কুরআনের বহু অপব্যাখ্যা করে। তাই আমাদের মুসলিম সব দলকেই নিজেদের ভুলগুলো সংশোধনে সচেতন হতে হবে। একে অপরকে সম্মান করতে শিখতে হবে। সব বিষয়ে একমত হওয়া জরুরি নয়। কারন সুরহ যুমারঃ (৪৬) বলো, হে আল্লাহ, আসমান ও যমীনের সৃষ্টিকর্তা, দৃশ্য ও অদৃশ্য সম্পর্কে জ্ঞানের অধিকারী, তোমার আবদরা যেসব বিষয়ে মতানৈক্য পোষণ করে আসছে তুমিই সে বিষয়ে ফায়সালা করবে।

Popular posts from this blog

কুরআন থেকে আমাদের স্রষ্টা এক আললাহ র আদেশ নিষেধের জ্ঞান অর্জন করে, বাস্তবায়ন করি

কুরআনই হাদিস

Salah