My Facebook Collections 30 to 32

কুরআনের বাহিরের হাদিসের অপ্রয়োজনিয়তা, প্রমান ৩২ঃ

সুরহ বাকরহঃ ৮০) তারা বলে, জাহান্নামের আগুন আমাদের কখনো স্পর্শ করবে না, তবে কয়েক দিনের শাস্তি হলেও হয়ে যেতে পারে। এদেরকে জিজ্ঞেস করো, তোমরা কি আল্লাহর কাছ থেকে কোন অঙ্গীকার নিয়েছো, যার বিরুদ্ধাচারণ তিনি করতে পারেন না? অথবা তোমরা আল্লাহর ওপর চাপিয়ে দিয়ে এমন কথা বলছো যে কথা তিনি নিজের ওপর চাপিয়ে নিয়েছেন বলে তোমাদের জানা নেই? আচ্ছা জাহান্নামের আগুন তোমাদেরকে স্পর্শ করবে না কেন?
সুরহ ইমরনঃ ২৪) তাদের এ কর্মপদ্ধতির কারণ হচ্ছে এই যে, তারা বলেঃ “জাহান্নামের আগুন তো আমাদের স্পর্শও করবে না। আর যদি জাহান্নামের শাস্তি আমরা পাই তাহলে তা হবে মাত্র কয়েক দিনের।” তাদের মনগড়া বিশ্বাস নিজেদের দ্বীনের ব্যাপারে তাদেরকে বড়ই ভুল ধারণার মধ্যে নিক্ষেপ করেছে।
৭৮) তাদের মধ্যে কিছু লোক আছে, তারা কিতাব পড়ার সময় এমনভাবে জিভ ওলট পালট করে যে, তোমরা মনে করতে থাকো, তারা কিতাবেরই ইবারত পড়ছে, অথচ তা কিতাবের ইবারত নয়। তারা বলে, যা কিছু আমরা পড়ছি, তা আল্লাহ‌র কাছ থেকেই পাওয়া অথচ তা আল্লাহ‌র কাছ থেকে পাওয়া নয়, তারা জেনে বুঝে আল্লাহ‌র ওপর মিথ্যা আরোপ করে।
৯৪) এরপরও যারা নিজেদের মিথ্যা মনগড়া কথা আল্লাহ‌র প্রতি আরোপ করতে থাকবে তারাই আসলে জালেম।
১০৫) তোমরা যেন তাদের মতো হয়ে যেয়ো না, যারা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে গেছে এবং সুস্পষ্ট ও প্রকাশ্য হিদায়াত পাওয়ার পরও মতবিরোধে লিপ্ত হয়েছে। যারা এ নীতি অবলম্বন করেছে তারা সেদিন কঠিন শাস্তি পাবে।
১৩০) হে ঈমানদারগণ! এ চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খাওয়া বন্ধ করো এবং আল্লাহকে ভয় করো, আশা করা যায় তোমরা সফলকাম হবে। (১৩১) সেই আগুন থেকে দূরে থাকো, যা কাফেরদের জন্য তৈরী করা হয়েছে (১৩২) এবং আল্লাহ‌ ও রসূলের হুকুম মেনে নাও, আশা করা যায় তোমাদের ওপর রহম করা হবে। (১৩৩) দৌঁড়ে চলো তোমাদের রবের ক্ষমার পথে এবং সেই পথে যা পৃথিবী ও আকাশের সমান প্রশস্ত জান্নাতের দিকে চলে গেছে, যা এমন সব আল্লাহভীরু লোকদের জন্য তৈরী করা হয়েছে, (১৩৪) যারা সচ্ছল ও অসচ্ছল সব অবস্থায়ই অর্থ-সম্পদ ব্যয় করে এবং যারা ক্রোধ দমন করে ও অন্যের দোষ–ত্রুটি মাফ করে দেয়। এ ধরনের সৎলোকদের আল্লাহ‌ অত্যন্ত ভালোবাসেন। (১৩৫) আর যারা কখনো কোন অশ্লীল কাজ করে ফেললে অথবা কোন গোনাহের কাজ করে নিজেদের ওপর জুলুম করে বসলে আবার সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহর কথা স্মরণ হয়ে তাঁর কাছে নিজেদের গোনাহ খাতার জন্য মাফ চায় – কারণ আল্লাহ‌ ছাড়া আর কে গোনাহ মাফ করতে পারেন – এবং জেনে বুঝে নিজেদের কৃতকর্মের ওপর জোর দেয় না, (১৩৬) এ ধরনের লোকদের যে প্রতিদান তাদের রবের কাছে আছে তা হচ্ছে এই যে, তিনি তাদের মাফ করে দেবেন এবং এমন বাগীচায় তাদের প্রবেশ করাবেন যার পাদদেশে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত হবে, সেখানে তারা চিরকাল থাকবে। সৎকাজ যারা করে তাদের জন্য কেমন চমৎকার প্রতিদান! (১৩৭) তোমাদের আগে অনেক যুগ অতিক্রান্ত হয়েছে। পৃথিবীতে ঘোরাফেরা করে দেখে নাও যারা (আল্লাহর বিধান ও হিদায়াতকে) মিথ্যা বলেছে তাদের পরিণাম কি হয়েছে।
১৩৮) এই কুরআন মানব জাতির জন্য একটি সুস্পষ্ট সতর্কবাণী এবং যারা আল্লাহকে ভয় করে তাদের জন্য পথনির্দেশ ও উপদেশ।
১৬৪) আসলে ঈমানদারদের মধ্যে তাদেরই মধ্য থেকে একজন নবী পাঠিয়ে আল্লাহ‌ মুমিনদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন। সে তাঁর আয়াত তাদেরকে শোনায়, তাদের জীবনকে পরিশুদ্ধ ও সুবিন্যস্ত করে এবং তাদেরকে কিতাব ও জ্ঞান শিক্ষা দেয়। অথচ এর আগে এই লোকেরাই সুস্পষ্ট গোমরাহীতে লিপ্ত ছিল।
১৭৬) যারা আজ কুফরীর পথে খুব বেশী দৌড়াদৌড়ি করছে তাদের তৎপরতা যেন তোমাকে মলিন বদন না করে। এরা আল্লাহর কোন ক্ষতি করতে পারবে না। আল্লাহ‌ আখেরাতে এদের কোন অংশ দিতে চান না। আর সবশেষে তারা কঠোর শাস্তি পাবে।
ব্যাখ্যাঃ সুরহ বাকরহের ৮০ নমবর হাদিসের সাথে সুরহ ইমরনের ২৪ হাদিসের মিল আছে। এই দুই হাদিস থেকে আমরা জানতে পারি জাহান্নামি ব্যক্তি কখনই জান্নাতি হবে না। তাই যে জান্নাতি হবে সে মৃত্যুর মুহুর্ত থেকেই হবে। সুরহ ইমরনের ১৩0 থেকে ১৩৭ নমবর হাদিসে মানুষের জান্নাতি হওয়ার গুনাবলি বলা আছে। পাশাপাশি এই আট হাদিসে সুদের সংজ্ঞাও আছে। ১৩২ নমবর হাদিসের আতিউ আললাহ ওয়ার রসুল অর্থ কুরআন। বাকি হাদিসসমুহ একজন মুসলিমের জন্য কুরআন যথেষ্ট প্রমান করে।
সুবহান আললাহ।

কুরআনের বাহিরের হাদিসের অপ্রয়োজনিয়তা, প্রমান একতিরিশঃ

সুরহ ওয়াকিআহঃ ৮১) এরপরও কি তোমরা এই হাদিসের প্রতি উপেক্ষার ভাব প্রদর্শন করছো?
সুরহ বা-ক-রহঃ (২) এটি আল্লাহর কিতাব, এর মধ্যে কোন সন্দেহ নেই। এটি হিদায়াত সেই ‘মুত্তাকী’দের জন্য (৩) যারা অদৃশ্যে বিশ্বাস করে, সলাহ প্রতিষ্টা করে এবং যে রিযিক আমি তাদেরকে দিয়েছি তা থেকে খরচ করে। (৪) আর যে কিতাব তোমাদের ওপর নাযিল করা হয়েছে (অর্থাৎ কুরআন) এবং তোমার আগে যেসব কিতাব নাযিল করা হয়েছিল সে সবগুলোর ওপর ঈমান আনে আর আখেরাতের ওপর একীন রাখে। (৫) এ ধরনের লোকেরা তাদের রবের পক্ষ থেকে সরল সত্য পথের ওপর প্রতিষ্ঠিত এবং তারা কল্যাণ লাভের অধিকারী।
(৭৫) হে মুসলমানরা! তোমরা কি তাদের থেকে আশা করো তারা তোমাদের দাওয়াতের ওপর ঈমান আনবে? অথচ তাদের একটি দলের চিরাচরিত রীতি এই চলে আসছে যে, আল্লাহর কালাম শুনার পর খুব ভালো করে জেনে বুঝে সজ্ঞানে তার মধ্যে ‘তাহরীফ’ বা বিকৃতি সাধন করেছে।
(৭৯) কাজেই তাদের জন্য ধ্বংস অবধারিত যারা স্বহস্তে শরীয়াতের লিখন লেখে তারপর লোকদের বলে এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে এসেছে। এভাবে তারা এর বিনিময়ে সামান্য স্বার্থ লাভ করে। তাদের হাতের এই লিখন তাদের ধ্বংসের কারণ এবং তাদের এই উপার্জনও তাদের ধ্বংসের উপকরণ। (৮০) তারা বলে, জাহান্নামের আগুন আমাদের কখনো স্পর্শ করবে না, তবে কয়েক দিনের শাস্তি হলেও হয়ে যেতে পারে। এদেরকে জিজ্ঞেস করো, তোমরা কি আল্লাহর কাছ থেকে কোন অঙ্গীকার নিয়েছো, যার বিরুদ্ধাচারণ তিনি করতে পারেন না? অথবা তোমরা আল্লাহর ওপর চাপিয়ে দিয়ে এমন কথা বলছো যে কথা তিনি নিজের ওপর চাপিয়ে নিয়েছেন বলে তোমাদের জানা নেই? আচ্ছা জাহান্নামের আগুন তোমাদেরকে স্পর্শ করবে না কেন? (৮১) যে ব্যক্তিই পাপ করবে এবং পাপের জালে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে পড়বে সে-ই জাহান্নামী হবে এবং জাহান্নামের আগুনে পুড়তে থাকবে চিরকাল।
(৯৯) আমি তোমার প্রতি এমন সব আয়াত নাযিল করেছি যেগুলো দ্ব্যর্থহীন সত্যের প্রকাশে সমুজ্জ্বল। একমাত্র ফাসেক গোষ্ঠী ছাড়া আর কেউ তার অনুগামিতায় অস্বীকৃতি জানায়নি।
১২১) যাদেরকে আমি কিতাব দিয়েছি তারা তাকে যথাযথভাবে তিলাওয়াত, পাঠ করে। তারা তার ওপর সাচ্চা দিলে ঈমান আনে। আর যারা তার সাথে কুফরীর নীতি অবলম্বন করে তারাই আসলে ক্ষতিগ্রস্ত।
(১৫৯) যারা আমার অবতীর্ণ কুরআনের উজ্জ্বল শিক্ষাবলী ও বিধানসমূহ গোপন করে, অথচ সমগ্র মানবতাকে পথের সন্ধান দেবার জন্য আমি সেগুলো আমার কিতাবে বর্ণনা করে দিয়েছি, নিশ্চিতভাবে জেনে রাখো, আল্লাহ‌ তাদের ওপর অভিশাপ বর্ষণ করেন এবং সকল অভিশাপ বর্ষণকারীরাও তাদের ওপর অভিশাপ বর্ষণ করে। (১৬০) তবে যারা এই নীতি পরিহার করে, নিজেদের কর্মনীতি সংশোধন করে নেয় এবং যা কিছু গোপন করে যাচ্ছিল সেগুলো বিবৃত করতে থাকে, তাদেরকে আমি ক্ষমা করে দেবো আর আসলে আমি বড়ই ক্ষমাশীল ও করুণাময়।
(১৬৮) হে মানব জাতি! পৃথিবীতে যে সমস্ত হালাল ও পাক জিনিস রয়েছে সেগুলো খাও এবং শয়তানের দেখানো পথে চলো না। সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। (১৬৯) সে তোমাদের অসৎকাজ ও অনাচারের নির্দেশ দেয় আর একথাও শেখায় যে, তোমরা আল্লাহ‌র নামে এমন সব কথা বলো যেগুলো আল্লাহ‌ বলেছেন বলে তোমাদের জানা নেই। (১৭০) তাদের যখন বলা হয়, আল্লাহ‌ যে বিধান নাযিল করেছেন তা মেনে চলো, জবাবে তারা বলে, আমাদের বাপ-দাদাদের যে পথের অনুসারী পেয়েছি আমরা তো সে পথে চলবো। আচ্ছা, তাদের বাপ-দাদারা যদি একটুও বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ না করে থেকে থাকে এবং সত্য-সঠিক পথের সন্ধান না পেয়ে থাকে তাহলেও কি তারা তাদের অনুসরণ করে যেতে থাকবে?
(১৭৪) মূলতঃ আল্লাহ‌ তাঁর কিতাবে যে সমস্ত বিধান অবতীর্ণ করেছেন সেগুলো যারা গোপন করে এবং সামান্য পার্থিব স্বার্থের বেদীমূলে সেগুলো বিসর্জন দেয় তারা আসলে আগুন দিয়ে নিজেদের পেট ভর্তি করছে। কিয়ামতের দিন আল্লাহ‌ তাদের সাথে কথাই বলবেন না, তাদের পত্রিতার ঘোষণাও দেবেন না এবং তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। (১৭৫) এরাই হিদায়াতের বিনিময়ে ভ্রষ্টতা কিনে নিয়েছে এবং ক্ষমার বিনিময়ে কিনেছে শাস্তি। এদের কী সাহস দেখো। জাহান্নামের আযাব বরদাস্ত করার জন্য এরা প্রস্তুত হয়ে গেছে।
সুরহ নাজমিঃ (১) তারকারাজির শপথ যখন তা অস্তমিত হলো। (২) তোমাদের বন্ধু পথভ্রষ্ট হয়নি বা বিপথগামীও হয়নি। (৩) সে নিজের খেয়ালখুশী মতো কথা বলে না। (৪) যা তার কাছে নাযিল করা হয় তা অহী ছাড়া আর কিছুই নয়।
সুরহ লুকমানঃ ৬) আর মানুষদের মধ্যে এমনও আছে, যারা জ্ঞান ছাড়াই আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করার জন্য মনোমুগ্ধকর হাদিস বানিয়ে লোকদের নিকট প্রচার করে এবং এ পথের আহ্বানকে হাসি-ঠাট্টা করে উড়িয়ে দেয়। এ ধরনের লোকদের জন্য রয়েছে লাঞ্ছনাকর আযাব।





কুরআনের বাহিরের হাদিসের অপ্রয়োজনিয়তা। প্রমান তিরিশঃ

সুরহ আত তুরঃ فَلۡيَاۡتُوۡا بِحَدِيۡثٍ مِّثۡلِهٖۤ اِنۡ كَانُوۡا صٰدِقِيۡنَؕ‏
(১) তূরের শপথ (২) এবং এমন একখানা খোলা গ্রন্থের শপথ (৩) যা সূক্ষ্ম চামড়ার ওপর লিখিত।
(৩৩) তারা কি বলে যে, এ ব্যক্তি নিজেই কুরআন রচনা করে নিয়েছে? প্রকৃত ব্যাপার হচ্ছে তারা ঈমান গ্রহণ করতে চায় না। (৩৪) তাদের একথার ব্যাপারে তারা যদি সত্যবাদী হয় তাহলে এ বাণীর মত একটি বাণী তৈরি করে আনুক। (৩৫) কোন সৃষ্টিকর্তা ছাড়া এরা কি নিজেরাই সৃষ্টি হয়েছে? না কি এরা নিজেরাই নিজেদের সৃষ্টিকর্তা? (৩৬) না কি পৃথিবী ও আসমানকে এরাই সৃষ্টি করেছে? প্রকৃত ব্যাপার হলো, তারা বিশ্বাস পোষণ করে না। (৩৭) তোমার রবের ভাণ্ডারসমূহ কি এদের অধিকারে? নাকি ঐ সবের ওপর তাদের কর্তৃত্ব চলে? (৩৮) তাদের কাছে কি কোন সিঁড়ি আছে, যাতে আরোহণ করে তারা ঊর্ধ্বজগতের কথা শুনে নেয়? এদের মধ্যে যে শুনেছে সে পেশ করুক কোন সুস্পষ্ট প্রমাণ।
(১১) ধ্বংস রয়েছে সেদিন সেসব অস্বীকারকারীদের জন্য (১২) যারা আজ, তামাসাচ্ছলে নিজেদের যুক্তি-প্রমাণ উপস্থাপনে ব্যস্ত আছে।
সুরহ ওয়াকিআহঃ (৭৫) অতএব না, আমি শপথ করছি তারকাসমূহের ভ্রমণ পথের। (৭৬) এটা এক অতি বড় শপথ যদি তোমরা বুঝতে পার। (৭৭) এ তো মহা সম্মানিত কুরআন। (৭৮) একখানা সুরক্ষিত গ্রন্থে লিপিবদ্ধ। (৭৯) পবিত্র সত্তাগণ ছাড়া আর কেউ তা স্পর্শ করতে পারে না। (৮০) এটা বিশ্ব-জাহানের রবের নাযিলকৃত। (৮১) এরপরও কি তোমরা এ বাণীর প্রতি উপেক্ষার ভাব প্রদর্শন করছো? (৮২) এ নিয়ামতে তোমরা নিজেদের অংশ রেখেছো এই যে, তোমরা তা অস্বীকার করছো?
সুরহ আর রহমানঃ (১) পরম দয়ালু (আল্লাহ) (২) এ কুরআনের শিক্ষা দিয়েছেন। (৩) তিনিই মানুষকে সৃষ্টি করেছেন (৪) এবং তাকে কথা শিখিয়েছেন। (৫) সূর্য ও চন্দ্র একটি হিসেবের অনুসরণ করছে (৬) এবং তারকারাজি ও গাছপালা সব সিজদাবনত। (৭) আসমানকে তিনিই সুউচ্চ করেছেন এবং দাড়িপাল্লা কায়েম করেছেন। (৮) এর দাবী হলো তোমরা দাড়িপাল্লায় বিশৃংখলা সৃষ্টি করো না। (৯) ইনসাফের সাথে সঠিকভাবে ওজন করো এবং ওজনে কম দিও না। (১০) পৃথিবীকে তিনি সমস্ত সৃষ্টির জন্য বানিয়েছেন।
সুরহ নাজমিঃ (১) তারকারাজির শপথ যখন তা অস্তমিত হলো। (২) তোমাদের বন্ধু (সালামুন আলা মুহাম্মাদ) পথভ্রষ্ট হয়নি বা বিপথগামীও হয়নি। (৩) সে নিজের খেয়ালখুশী মতো কথা বলে না। (৪) যা তার কাছে নাযিল করা হয় তা অহী ছাড়া আর কিছুই নয়। (৫) তাকে মহাশক্তির অধিকারী একজন শিক্ষা দিয়েছে, যে অত্যন্ত জ্ঞানী।
(১৮) সে তার রবের বড় বড় নিদর্শনসমূহ দেখেছে।
২২) তাহলে এটা অত্যন্ত প্রতারণামূলক বন্টন। (২৩) প্রকৃতপক্ষে এসব তোমাদের বাপ-দাদাদের রাখা নাম ছাড়া আর কিছুই না। এজন্য আল্লাহ‌ কোন সনদপত্র নাযিল করেননি। প্রকৃত ব্যাপার হচ্ছে, মানুষ শুধু ধারণা ও প্রবৃত্তির বাসনার দাস হয়ে আছে। অথচ তাদের রবের পক্ষ থেকে তাদের কাছে হিদায়াত এসেছে। (২৪) মানুষ যা চায় তাই কি তার জন্য ঠিক? (২৫) দুনিয়া ও আখেরাতের মালিক তো একমাত্র আল্লাহ‌।
ব্যাখ্যাঃ আললাহ সুরহ তুরের ৩৩ ও ৩৪ নমবর এবং সুরহ নাজমির ৩ নমবর হাদিসসহ উপরের প্রতিটা হাদিসে স্পষ্ট বলে দিয়েছেন যে সালামুন আলা মুহাম্মাদ কুরআনের বাহিরে কোনো কথা বলেন না এবং কুরআনের বাহিরে তার কোনো হাদিস সংরক্ষনের প্রয়োজন নেই। তাই বুখারি মুসলিম বা অন্য কোনো মানুষের লেখা হাদিসকে সালামুন আলা মুহাম্মাদের হাদিস বিশ্বাস করলে সুরহ তুরের ৩৪ ও ৩৮ নমবর হাদিসকে অস্বিকার করা হবে। মাআযা আললাহি। অর্থ আললাহ র নিকট সকলপ্রকার ক্ষতি থেকে আশ্রয় চাচ্ছি।


Popular posts from this blog

কুরআন থেকে আমাদের স্রষ্টা এক আললাহ র আদেশ নিষেধের জ্ঞান অর্জন করে, বাস্তবায়ন করি

কুরআনই হাদিস

Salah