My Facebook Collections 33-39

কুরআনের বাহিরের হাদিসের অপ্রয়োজনিয়তা, প্রমান ৩৯ঃ
সুরহ আল মুউমিনুনঃ (৩৩) তার সম্প্রদায়ের যেসব সরদার ঈমান আনতে অস্বীকার করেছিল এবং আখেরাতের সাক্ষাতকারকে মিথ্যা বলেছিল, যাদেরকে আমি দুনিয়ার জীবনে প্রাচুর্য দান করেছিলাম, তারা বলতে লাগলো, “এ ব্যক্তি তোমাদেরই মতো একজন মানুষ ছাড়া আর কিছুই নয়। তোমরা যা কিছু খাও তা-ই সে খায় এবং তোমরা যা কিছু পান করো তা-ই সে পান করে। (৩৪) এখন যদি তোমরা নিজেদেরই মতো একজন মানু্ষের আনুগত্য করো তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। (৩৫) সে কি তোমাদেরকে একথা জানায় যে, যখন তোমরা সবার পরে মাটিতে মিশে যাবে এবং হাড়গোড়ে পরিণত হবে তখন তোমাদেরকে (কবর থেকে) বের করা হবে? (৩৬) অসম্ভব, তোমাদের সাথে এই যে অঙ্গীকার করা হচ্ছে এটা একেবারেই অসম্ভব। (৩৭) জীবন কিছুই নয়, ব্যস এ পার্থিব জীবনটি ছাড়া, এখানেই আমরা মরি-বাঁচি এবং আমাদের কখ্‌খনো পুরুজ্জীবিত করা হবে না। (৩৮) এ ব্যক্তি আল্লাহর নামে নিছক মিথ্যা তৈরী করছে এবং আমরা কখনো তার কথা মেনে নিতে প্রস্তুত নই।”
সুরহ বা-ক-রহঃ ২৮) তোমরা আল্লাহর সাথে কেমন করে কুফরীর আচরণ করতে পারো। অথচ তোমরা ছিলে প্রাণহীন, তিনি তোমাদের জীবন দান করেছেন। অতঃপর তিনি তোমাদের প্রাণ হরণ করবেন এবং অতঃপর তিনি তোমাদের জীবন দান করবেন। তরাপর তাঁরই দিকে তোমাদের ফিরেযেতে হবে।
সুরহ তহাঃ ৫৫) এ মাটি থেকেই আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি, এরই মধ্যে আমি তোমাদেরকে ফিরিয়ে নিয়ে যাবো এবং এ থেকেই আবার তোমাদেরকে বের করবো।
সুরহ হাজঃ ৬৬) তিনিই তোমাদের জীবন দান করেছেন, তিনিই তোমাদের মৃত্যু দান করেন এবং তিনিই আবার তোমাদের জীবিত করবেন; সত্য বলতে কি, মানুষ বড়ই সত্য অস্বীকারকারী।
সুরহ নুরঃ ৬) আর যারা নিজেদের স্ত্রীদেরকে অভিযোগ দেয় এবং তাদের কাছে তারা নিজেরা ছাড়া আর দ্বিতীয় কোন সাক্ষী থাকে না, তাদের মধ্য থেকে এক ব্যক্তির সাক্ষ্য হচ্ছে (এই যে, সে) চার বার আল্লাহর নামে কসম খেয়ে সাক্ষ্য দেবে যে, সে (নিজের অভিযোগে) সত্যবাদী
৮) আর স্ত্রীর শাস্তি এভাবে রহিত হতে পারে যদি সে চার বার আল্লাহ‌র নামে কসম খেয়ে সাক্ষ্য দেয় যে, এ ব্যক্তি (তার অভিযোগে) মিথ্যাবাদী।
কুরআনের সৈয়দ ইস্তিগফারঃ
সুরহ ইউসুফঃ ১০১) হে আমার রব! তুমি আমাকে দুনইয়ার জিবন দান করেছো এবং আমাকে কথার গভীরে প্রবেশ করা শিখিয়েছো। হে আকাশ ও পৃথিবীর স্রষ্টা! দুনিয়ায় ও আখেরাতে তুমিই আমার অভিভাবক। ইসলামের ওপর আমাকে মৃত্যু দান করো এবং পরিণামে আমাকে সৎকর্মপরায়ণদের অন্তর্ভুক্ত করো।”
সুরহ কসসঃ “হে আমার প্রতিপালক! যে কল্যাণই তুমি আমার প্রতি নাযিল করবে আমি তার মুখাপেক্ষী।” ( ২৪ নমবর হাদিসের শেষ অংশ )
সুরহ আহকফঃ হে আমার রব, তুমি আমাকে ও আমার পিতা-মাতাকে যেসব নিয়ামত দান করেছো আমাকে তার শুকরিয়া আদায় করার তাওফীক দাও। আর এমন সৎ কাজ করার তাওফীক দাও যা তুমি পছন্দ করো। আমার সন্তানদেরকে সৎ বানিয়ে আমাকে সুখ দাও। আমি তোমার কাছে তাওবা করছি। আমি নির্দেশের অনুগত (মুসলিম) বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত।” ( ১৫ নমবর হাদিসের শেষ অংশ )
সুরহ আল মুউমিনুনঃ ১১৮) আমি চাই “হে আমার রব! ক্ষমা করো ও করুণা করো এবং তুমি সকল করুণাশীলের চাইতে বড় করুণাশীল।”
ব্যাখ্যাঃ সুরহ আল মুউমিনুনের ৩৩ থেকে ৩৮ নমবরে উল্লেখিত প্রত্যেক মানুষের স্বভাবজাত উদাসিন জটিল প্রশ্নবোধক হাদিসের উত্তর সুরহ বাকরহ ২৮, সুরহ তহা ৫৫, সুরহ হাজের ৬৬ নমবর হাদিসসহ কুরআনের আরও একাধিক হাদিসে দেওয়া হয়েছে। এটাই প্রমান করে কুরআন পরিপুর্ন এবং কুরআন বুঝতে হলে পুরো কুরআনকে সামনে রাখতে হয়। তাই নিয়মিত পুরো কুরআন অধ্যয়ন করতেই হবে।
আমরা পাচ ওয়াক্তে সলাহতে চার রকাআত সলাহ পড়ে থাকি। এই নিয়মটা সুরহ নুরের ৬ থেকে ৯ নমবর হাদিসের আদেশ থেকে তৈরি করা হয়েছে। দুই রকাআত নিয়মটা সুরহ নিসার ১০২ নমবর হাদিস এবং তিন রকাআত নিয়মটা সুরহ মারইয়ামের ১০ নমবর হাদিস থেকে নেওয়া হয়েছে।
সুরহ ইউসুফের ১০১ নমবর আইয়াহতে হাদিস শব্দটি আছে। সুরহ ইউসুফের ১০১, সুরহ কসসের ২৪, সুরহ আহকফের ১৫ নমবর হাদিস এবং সুরহ আল মুউমিনুনের শেষ হাদিসের দুআ। এই চারটি দুআ প্রচলিত মানুষের বানানো মিথ্যা সৈয়দ ইসতিগফারের বদলে পাঠ করা উচিত। প্রচলিত সৈয়দ ইস্তিগফার পড়তে সমস্যা নাই। কিনতু এটাকে সৈয়দ ইসতিগফার বিশ্বাস করলে পাপ হবে কারন এতে কুরআনের দুআ ও ক্ষমার হাদিসসমুহকে অবজ্ঞা করা হয় এবং মানুষের লেখা হাদিসকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। সালামুন।


কুরআনের বাহিরের হাদিসের অপ্রয়োজনিয়তা, প্রমান ৩৮ঃ
সুরহ আমবিইয়াঃ (১০৯) যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় তাহলে বলে দাও, “আমি সোচ্চার কণ্ঠে তোমাদের জানিয়ে দিয়েছি। এখন আমি জানি না, তোমাদের সাথে যে বিষয়ের ওয়াদা করা হচ্ছে তা আসন্ন, না দূরবর্তী। (১১০) আল্লাহ সে কথাও জানেন যা সোচ্চার কণ্ঠে বলা হয় এবং তাও যা তোমরা গোপনে করো। (১১১) আমিতো মনে করি, হয়তো এটা (বিলম্ব) তোমাদের জন্য এটা পরীক্ষা এবং একটা বিশেষ সময় পর্যন্ত তোমাদের জীবন উপভোগ করার সুযোগ দেয়া হচ্ছে।
সুরহ হাজঃ ৩) কতক লোক এমন আছে যারা জ্ঞান ছাড়াই আল্লাহর ব্যাপারে বিতর্ক করে এবং প্রত্যেক বিদ্রোহী শয়তানের অনুসরণ করতে থাকে। ৮) আরো কিছু লোক এমন আছে যারা কোন জ্ঞান, পথনির্দেশনা ও আলো বিকিরণকারী কিতাব ছাড়াই ঘাড় শক্ত করে ৯) আল্লাহর ব্যাপারে বিতর্ক করে, যাতে লোকদেরকে আল্লাহর পথ থেকে ভ্রষ্ট করা যায়। এমন ব্যক্তির জন্য রয়েছে দুনিয়ায় লাঞ্ছনা এবং কিয়ামতের দিন আমি তাকে আগুনের আযাবের জ্বালা আস্বাদন করাবো।
৩৪) প্রত্যেক উম্মতের জন্য আমি কুরবানীর একটি নিয়ম ঠিক করে দিয়েছি, যাতে (সে উম্মতের) লোকেরা সে পশুদের ওপর আল্লাহর নাম নেয় যেগুলো তিনি তাদেরকে দিয়েছেন। কাজেই তোমাদের ইলাহও সে একজনই এবং তোমরা তাঁরই ফরমানের অনুগত হয়ে যাও। আর হে নবী! সুসংবাদ দিয়ে দাও বিনয়ের নীতি অবলম্বনকারীদেরকে, ৩৫) যাদের অবস্থা এই যে, আল্লাহর নাম স্মরণ করা হলে তাদের হৃদয় কেঁপে ওঠে, যে বিপদই তাদের ওপর আসে তার ওপর তারা সবর করে, সলাহ কায়েম করে এবং যা কিছু রিযিক তাদেরকে আমি দিয়েছি তা থেকে খরচ করে।
ব্যাখ্যাঃ সালামুন আলা মুহাম্মাদ যে কিইয়ামতের সময় জানতেন না, তা সুরহ আমবিইয়ার ১০৯ নমবর হাদিসেও আছে। ১১০/১১১ নমবর হাদিসে আমাদের সাবধান করা হয়েছে যে আললাহ জানেন যা কিছু আমরা অল্প আওয়াজে বা গোপনে বা মোবাইল নেটওয়ার্ক বা অন্তরে করি। সুরহ হাজের ৩/৮/৯ নমবর হাদিসে মানুষকের কুরআন থেকে দূরে রাখার জন্য বুখারি মুসলিম ও ইসলামি সাহিত্যের বোঝা ধরিয়ে দেওয়ার পরিনতি উল্লেখ আছে। ৩৪/৩৫ নমবর হাদিসে মুসলিমের চরিত্র কেমন হতে হবে সে আদেশ আছে। ইনশাআললাহু আমিনিনা।




কুরআনের বাহিরের হাদিসের অপ্রয়োজনিয়তা, প্রমান ৩৭ঃ

সুরহ ইউসুফঃ ৪) এটা সেই সময়ের কথা, যখন ইউসুফ তাঁর বাপকে বললোঃ “আব্বাজান! আমি স্বপ্ন দেখেছি, এগারটি তারকা এবং সূর্য ও চাঁদ আমাকে সিজদা করছে।”
৫২) (ইউসুফ বললোঃ) “এ থেকে আমার উদ্দেশ্য এই ছিল যে, আযীয জানতে পারুক, আমি তার অবর্তমানে তার প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করিনি এবং আল্লাহ‌ বিশ্বাসঘাতকতাকারীদের চক্রান্ত সফল করেন না।
৫৩) আমি নিজের নফ্‌সকে দোষমুক্ত করছি না। নফ্‌স তো খারাপ কাজ করতে প্ররোচিত করে, তবে যদি কারোর প্রতি আমার রবের অনুগ্রহ হয় সে ছাড়া। অবশ্যি আমার রব বড়ই ক্ষমাশীল ও মেহেরবান।”
সুরহ মাইদাহঃ ৭৭) বলে দাও, হে আহলি কিতাব! নিজেদের দ্বীনের ব্যাপারে অন্যায় বাড়াবাড়ি করো না এবং তাদের খেয়ালখুশীর অনুসরণ করো না যারা তোমাদের পূর্বে নিজেরাই পথভ্রষ্ট হয়েছে এবং আরো অনেককে পথভ্রষ্ট করেছে আর সাওয়া-উস-সাবীল থেকে বিচ্যুত হয়েছে।
৮১) যদি এ লোকেরা প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ, নবী এবং নবীর ওপর যা নাযিল হয়েছিল তা মেনে নিতো তাহলে কখনো (ঈমানদারদের মোকাবিলায়) কাফেরদেরকে নিজেদের অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করতো না। কিন্তু তাদের অধিকাংশ আল্লাহর আনুগত্য ত্যাগ করেছে।
সুরহ নাহালঃ ৪৪) আগের রসূলদেরকেও আমি উজ্জ্বল নিদর্শন ও কিতাব দিয়ে পাঠিয়েছিলাম এবং এখন এ বাণী তোমার প্রতি নাযিল করেছি, যাতে তুমি লোকদের সামনে সেই শিক্ষার ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করে যেতে থাকো। যা তাদের জন্য অবতীর্ণ করা হয়েছে এবং যাতে লোকেরা (নিজেরাও) চিন্তা-ভাবনা করে।
সুরহ বানি ইসরঈলঃ ১১১) আর বলো, সেই আল্লাহর প্রশংসা, যিনি কোন পুত্রও গ্রহণ করেননি। তাঁর বাদশাহীতে কেউ শরীকও হয়নি এবং তিনি এমন অক্ষমও নন যে, কেউ তাঁর সাহায্যকারী ও নির্ভর হবে।” আর তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনা করো, চূড়ান্ত পর্যায়ের শ্রেষ্ঠত্ব।
ব্যাখ্যাঃ আহাদা আশার অর্থ এগারো। পির পুজারিদের একটা বিরাট অংশ প্রত্যেক আরবি মাসের ১১ তারিখ ১১ শরিফ নামে পালন করে। যা সুরহ ইউসুফের ৪ নমবর হাদিস দিয়ে অপব্যাখ্যা করা হয়েছে। ৫৩ নমবর হাদিসে নাফসের সংজ্ঞা আছে এবং নাফসকে নিয়ন্ত্রন করার জন্য কুরআন অধ্যয়ন, সলাহ, যিকির অপরিহার্য। এই কারনে সুরহ বানি ইসরঈলের ১১১ নমবর হাদিসের কালিমা তৈইবাহতে সলাহ ও যিকিরের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সুরহ নামালের ৪৪ নমবর হাদিস ও সুরহ বনি ইসরঈলের ৯, ৪১, ৮২, ৮৮, ৮৯, ১০৬ নমবর হাদিসে কুরআনই যে আললাহ ও সালামুন আলা মুহাম্মাদের হাদিস এবং পুর্নাংগ ও বিস্তারিত তার প্রমান আছে। সুরহ মা-ইদাহের ৭৭ ও ৮১ নমবর হাদিসে কুরআন প্রচার করা মুসলিম আলিমদের দায়িত্ব বলা আছে।


কুরআনের বাহিরের হাদিসের অপ্রয়োজনিয়তা, প্রমান ৩৬ঃ

সুরহ ইমরনঃ (১৯০) পৃথিবী ও আকাশের সৃষ্টি এবং রাত ও দিনের পালাক্রমে যাওয়া আসার মধ্যে (১৯১) যে সমস্ত বুদ্ধিমান লোক উঠতে, বসতে ও শয়নে সব অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে এবং আকাশ ও পৃথিবীর গঠনাকৃতি নিয়ে চিন্তা- ভাবনা করে, তাদের জন্য রয়েছে বহুতর নিদর্শন। (তারা আপনা আপনি বলে ওঠেঃ) “হে আমাদের প্রভু! এসব তুমি অনর্থক ও উদ্দেশ্যবিহীন ভাবে সৃষ্টি করো নি। বাজে ও নিরর্থক কাজ করা থেকে তুমি পাক-পবিত্র ও মুক্ত। কাজেই হে প্রভু! জাহান্নামের আযাব থেকে আমাদের রক্ষা করো। (১৯২) তুমি যাকে জাহান্নামে ফেলে দিয়েছো, তাকে আসলে বড়ই লাঞ্ছনা ও অপমানের মধ্যে ঠেলে দিয়েছো এবং এহেন জালেমদের কোন সাহায্যকারী হবে না।
সুরহ হুদঃ ৭) তিনিই আকাশ ও পৃথিবী ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন,-যখন এর আগে তাঁর আরশ পানির ওপর ছিল, - যাতে তোমাদের পরীক্ষা করে দেখেন তোমাদের মধ্যে কে ভালো কাজ করে। এখন যদি হে মুহাম্মাদ! তুমি বলো, হে লোকেরা, মরার পর তোমাদের পুনরুজ্জীবিত করা হবে, তাহলে অস্বীকারকারীরা সঙ্গে সঙ্গেই বলে উঠবে। এতো সুস্পষ্ট যাদু।
১৮) আর যে ব্যক্তি আল্লাহর বিরুদ্ধে মিথ্যা রটনা করে তার চেয়ে বড় জালেম আর কে হবে? এ ধরনের লোকদের তাদের রবের সামনে উপস্থিত করা হবে এবং সাক্ষীরা সাক্ষ্য দেবে, এরাই নিজেদের রবের বিরুদ্ধে মিথ্যা রটনা করেছিল। শোনো, জালেমদের ওপর আল্লাহর লানত
১৯) এমন জালেমদের ওপর যারা আল্লাহর পথে যেতে মানুষকে বাধা দেয়, সেই পথকে বাঁকা করে দিতে চায় এবং আখেরাত অস্বীকার করে।
(৮৪) আর মাদ্য়ানবাসীদের কাছে আমি তাদের ভাই শো’আয়েবকে পাঠালাম। সে বললোঃ “হে আমার সম্প্রদায়ের লোকেরা! আল্লাহর বন্দেগী করো। তিনি ছাড়া তোমাদের আর কোন ইলাহ নেই। আর মাপে ও ওজনে কম করো না। আজ আমি তোমাদের ভালো অবস্থায় দেখছি কিন্তু আমার ভয় হয় কাল তোমাদের ওপর এমন দিন আসবে যার আযাব সবাইকে ঘেরাও করে ফেলবে। (৮৫) আর হে আমার সম্প্রদায়ের ভাইয়েরা! যথাযথ ইনসাফ সহকারে মাপো ও ওজন করো এবং লোকদেরকে তাদের প্রাপ্য সামগ্রী কম দিয়ো না। আর পৃথিবীতে বিপর্যয় ছড়িয়ে বেড়িয়ো না। (৮৬) আল্লাহর দেয়া উদ্বৃত্ত তোমাদের জন্য ভালো যদি তোমরা মু’মিন হয়ে থাকো। মোট কথা আমি তোমাদের ওপর কোন কর্ম তত্ত্বাবধানকারী নই।” (৮৭) তারা জবাব দিলঃ “হে শো’আয়েব! তোমার সলাহ কি তোমাকে একথা শেখায় যে, আমরা এমন সমস্ত মাবুদকে পরিত্যাগ করবো যাদেরকে আমাদের বাপ-দাদারা পূজা করতো? অথবা নিজেদের ধন-সম্পদ থেকে নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী খরচ করার ইখতিয়ার আমাদের থাকবে না? ব্যস, শুধু তুমিই রয়ে গেছো একমাত্র উচ্চ হৃদয়ের অধিকারী ও সদাচারী!” (৮৮) শো’আয়েব বললোঃ “ভাইয়েরা! তোমরা নিজেরাই ভেবে দেখো, যদি আমি আমার রবের পক্ষ থেকে একটি সুস্পষ্ট সাক্ষ্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত থেকে থাকি, তারপর তিনি আমাকে উত্তম রিযিক দান করেন (তাহলে এরপর আমি তোমাদের গোমরাহী ও হারামখোরীর কাজে তোমাদের সাথে কেমন করে শরীক হতে পারি?) আর যেসব বিষয় থেকে আমি তোমাদের বিরত রাখতে চাই আমি নিজে কখনো সেগুলোতে লিপ্ত হতে চাই না। আমি তো আমার সাধ্য অনুযায়ী সংশোধন করতে চাই। যা কিছু আমি করতে চাই তা সবই আল্লাহর তাওফীকের ওপর নির্ভর করে। তাঁরই ওপর আমি ভরসা করেছি এবং সব ব্যাপারে তাঁরই দিকে রুজু করি।
(১১০) আমি এর আগে মূসাকেও কিতাব দিয়েছি এবং সে সম্পর্কে মতভেদ করা হয়েছিল (যেমন আজ তোমাদের এই যে কিতাব দেয়া হয়েছে এ সম্পর্কে করা হচ্ছে)। যদি তোমার রবের পক্ষ থেকে একটি কথা প্রথমেই স্থির করে না দেয়া হতো তাহলে এ মতভেদকারীদের মধ্যে কবেই ফায়সালা করে দেয়া হয়ে যেতো। একথা সত্যি যে, এরা তার ব্যাপারে সন্দেহ ও পেরেশানীর মধ্যে পড়ে রয়েছে।
ব্যাখ্যাঃ চার গিগাবাইট গতিতে সুবহান আললাহ, আলহামদুলিললাহ, আললাহু আকবার ৩৩ বার করে প্রতি ফারদ সলাহ শেষে না বুঝে পাঠ করার চর্চাটা সুরহ ইমরনের ১৯০ থেকে ১৯২ নমবর হাদিস দ্বারা তৈরি করে সাধারন মুসলিমদের উপর চাপানো হয়েছে। হিন্দু ধর্মের অনুসারিরা ৩৩ বা ৩৩ কোটি দেবতায় বিশ্বাসি। তাই মুসলিমদের পক্ষ থেকে বিরোধিতা ও প্রতিবাদের ভাষা হিসাবে এই আমালের হাদিস বানানো হয়েছে। এটাই কুরআনের হাদিস আর মানুষের বানানো হাদিসের পরিষ্কার পার্থক্য। আললাহ সংখ্যা চাপাননি, সহজ করেছেন। আললাহ চান তার প্রত্যেক আবদ নিজের সামর্থ্য মতো এই প্রশংসা শব্দ সমুহ পড়ুক এবং নিজের বাস্তব জিবনে কাজে প্রমান করুক। সংখ্যা নির্ধারনের কারনে আন্তরিকতা নষ্ট হয়েছে।
যারা সালামুন আলা মুহাম্মাদের নাতি হাসানের পুজা করে তারা সুরহ হুদের সাত নমবর হাদিস দিয়ে বানিয়েছে যে হাসান রদি ইয়াললাহু আনহু জান্নাতি যুবকদের সরদার হবে। অথচ এই হাদিসের শিক্ষা হলো প্রত্যেক ইমানদার ও ভালোকাজকারি ব্যক্তি জান্নাতি হবে। হাসান অর্থ ভালো কাজ। আর জান্নাতে নেতা প্রয়োজন নাই।

সুরহ হুদের ১৮ ও ১৯ হাদিসে কুরআনের বাহিরের হাদিস প্রচার করার পরিনতি বলা আছে। ৮৭ নমবর হাদিসে সলাহ যে কেবল আনুষ্টানিক পাচ ওয়াক্ত নয়, বরং ২৪ ঘন্টায় তার প্রমান আছে। বাকি হাদিসসমুহতেও কুরআনের গুরত্ব ও নৈতিক শিক্ষা আছে।


 



কুরআনের বাহিরের হাদিসের অপ্রয়োজনিয়তা,
প্রমান ৩৫ঃ
সুরহ আরফঃ ৪৩) তাদের মনে পরস্পরের বিরুদ্ধে যা কিছু গ্লানি থাকবে তা আমি বের করে দেবো। তাদের নিম্নদেশে ঝরণাধারা প্রবাহিত হবে এবং তারা বলবেঃ “প্রশংসা সব আল্লাহরই জন্য, যিনি আমাদের এ পথ দেখিয়েছেন। আমরা নিজেরা পথের সন্ধান পেতাম না যদি না আল্লাহ‌ আমাদের পথ দেখাতেন। আমাদের রবের পাঠানো রসূলগণ যথার্থ সত্য নিয়েই এসেছিলেন।” সে সময় আওয়াজ ধ্বনিত হবেঃ “তোমাদেরকে এই যে জান্নাতের উত্তরাধিকারী বানানো হয়েছে, এটি তোমরা লাভ করেছো সেই সমস্ত কাজের প্রতিদানে যেগুলো তোমরা অব্যাহতভাবে করতে।
১৭৫) আর হে মুহাম্মাদ! এদের সামনে সেই ব্যক্তির অবস্থা বর্ণনা করো, যাকে আমি দান করেছিলাম আমার আয়াতের জ্ঞান। কিন্তু সে তা যথাযথভাবে মেনে চলা থেকে দূরে সরে যায়। অবশেষে শয়তান তার পিছনে লাগে। শেষ পর্যন্ত সে বিপথগামীদের অন্তর্ভুক্ত হয়েই যায়।
১৮৫) তারা কি কখনো আকাশ ও পৃথিবীর ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে চিন্তা করেনি এবং আল্লাহর সৃষ্ট কোন জিনিসের দিকে চোখ মেলে তাকায়নি? আর তারা কি এটাও ভেবে দেখেনি যে, সম্ভবত তাদের জীবনের অবকাশকাল পূর্ণ হবার সময় ঘনিয়ে এসেছে?
সুরহ ইউনুসঃ ৫) তিনিই সূর্যকে করেছেন দীপ্তিশালী ও চন্দ্রকে আলোকময় এবং তার মঞ্জিলও ঠিকমত নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন যাতে তোমরা তার সাহায্যে বছর গণনা ও তারিখ হিসেব করতে পারো। আল্লাহ‌ এসব কিছু (খেলাচ্ছলে নয় বরং) উদ্দেশ্যমূলকভাবেই সৃষ্টি করেছেন। তিনি নিজের নিদর্শনসমূহ বিশদভাবে পেশ করেছেন যারা জ্ঞানবান তাদের জন্য।
১০) সেখানে তাদের ধ্বনি হবে “পবিত্র তুমি যে আল্লাহ”! তাদের দোয়া হবে, “শান্তি ও নিরাপত্তা হোক”! এবং তাদের সবকথার শেষ হবে এভাবে, “সমস্ত প্রশংসা বিশ্ব-জাহানের রব আল্লাহর জন্য।”
১৫) যখন তাদেরকে আমার সুস্পষ্ট ও পরিষ্কার কথা শুনানো হয় তখন যারা আমার সাথে সাক্ষাতের আশা পোষণ করে না তারা বলে, "এটার পরিবর্তে অন্য কোন কুরআন আনো অথবা এর মধ্যে কিছু পরিবর্তন করো। হে মুহাম্মাদ! ওদেরকে বলে দাও, “নিজের পক্ষ থেকে এর মধ্যে কোন পরিবর্তন পরিবর্ধন করা আমার কাজ নয়। আমি তো শুধুমাত্র আমার কাছে যে অহী পাঠানো হয়, তার অনুসারী। যদি আমি আমার রবের নাফরমানী করি তাহলে আমার একটি ভয়াবহ দিনের আযাবের আশঙ্কা হয়।
৩৭) আর এ কুরআন আল্লাহর অহী ও শিক্ষা ছাড়া রচনা করা যায় না। বরং এ হচ্ছে যা কিছু আগে এসেছিল তার সত্যায়ন এবং আল কিতাবের বিশদ বিবরণ। এতে কোন সন্দেহ নেই যে, এটি বিশ্বজাহানের অধিকর্তার পক্ষ থেকে এসেছে।
৩৮) তারা কি একথা বলে, পয়গম্বর নিজেই এটা রচনা করেছে? বলো, “তোমাদের এ দোষারোপের ব্যাপারে তোমরা যতি সত্যবাদী হয়ে থাকো তাহলে এরই মতো একটি সূরা রচনা করে আনো এবং এক আল্লাহকে বাদ দিয়ে যাকে ডাকতে পারো সাহায্যের জন্য ডেকে নাও
৫৯) হে নবী! তাদেরকে বলো, তোমরা কি কখনো একথাও চিন্তা করেছো যে আল্লাহ‌ তোমাদের জন্য যে রিযিক অবতীর্ণ করেছিলেন তার মধ্য থেকে তোমরা নিজেরাই কোনটাকে হারাম ও কোনটাকে হালাল করে নিয়েছো? তাদেরকে জিজ্ঞেস করো, আল্লাহ‌ কি তোমাদেরকে এর অনুমতি দিয়েছিলেন? নাকি তোমরা আল্লাহর প্রতি মিথ্যা আরোপ করছো?
৬৬) জেনে রেখো, আকাশের অধিবাসী, হোক বা পৃথিবীর, সবাই আল্লাহর মালিকানাধীন। আর যারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে (নিজেদের মনগড়া) কিছু শরীকদের ডাকছে তারা নিছক আন্দাজ ও ধারণার অনুগামী এবং তারা শুধু অনুমানই করে।
ব্যাখ্যাঃ সুরহ আরফে ১৭৫ থেকে ১৮৫ নমবর হাদিসে কুরআনের জ্ঞান অর্জন ও মেনে চলার গুরত্ব এবং মৃত্যু যে কোনো সময় যে আসতে পারে সে বিষয়ে সচেতন হতে আদেশ করা হয়েছে। সুরহ ইউনুসের ৫ নমবর হাদিসে চাঁদ সুর্যের অন্যান্য উপকারিতার সাথে সময় বুঝতেও যে আমাদের প্রয়োজন হয় সেই শিক্ষা আছে। ১০ নমবর হাদিসে সুবহান আললাহ, আলহামদুলিললাহ ও সালামের শিক্ষা দেওয়া আছে। কিনতু ৩৩ বা ১০০ বার করে না বুঝে ১০ গিগাবাইট গতিতে পড়তে বলা হয়নি। ৫৯ নমবর হাদিসে নিজের খেয়াল খুশি মতো হারম হালাল নির্ধারন করতে নিষেধ করা হয়েছে। যেমন দাড়ি টাখনু নারিদের মুখ খোলা রাখা প্রভৃতি নিয়ে আমরা বাড়াবাড়ি করি। ১৫, ৩৭, ৩৮ নমবর হাদিসে কুরআন ব্যতিত সালামুন আলা মুহাম্মাদের কোনো হাদিস নাই তার প্রমান আছে। কারন বুখারি মুসলিম প্রভৃতি বইকে সালামুন আলা মুহাম্মাদের হাদিস বলা আর সুরহ রচনা করার চেষ্টা একই পাপ কাজ। ৬৬ নমবর হাদিসে স্রষ্টার মর্যাদা বলা আছে। সর্বোপরি সুরহ আরফের ৪৩ নমবর হাদিসসহ পুরো সুরহ এবং সুরহ ইউনুসের ২ ও ৭ নমবর রুকুসহ পুরো সুরহটি সচেতনভাবে অধ্যয়ন করলে আমরা বুঝবো কুরআন জ্ঞান অর্জন ও আমাল করা থেকে বিরত থাকা বা কুরআন না বুঝে প্রতি অক্ষরে ১০ নেকি/সাওয়াব পাওয়ার মিথ্যাচার করা সবচাইতে বড়/কাবিরহ পাপ এবং কুরআনের বাহিরে কোনো হাদিস নাই। ইনশাআললাহু আমিনিনা।



কুরআনের বাহিরের হাদিসের অপ্রয়োজনিয়তা, প্রমান ৩৩ঃ

সুরহ নিসাঃ ১০৫) হে নাবি, আমি সত্য সহকারে এই কিতাব তোমার প্রতি নাযিল করেছি, যাতে আল্লাহ‌ তোমাকে যে সঠিক পথ দেখিয়েছেন সেই অনুযায়ী তুমি লোকদের মধ্যে ফায়সালা করতে পারো। তুমি খেয়ানতকারী ও বিশ্বাস ভংগকারীদের পক্ষ থেকে বিতর্ককারী হয়ো না।
১১৩) হে নাবি, তোমার প্রতি যদি আল্লাহর অনুগ্রহ না হতো এবং তার রহমত যদি তোমার সাথে সংযুক্ত না থাকতো, তাহলে তাদের মধ্য থেকে একটি দলতো তোমাকে বিভ্রান্ত করার ফায়সালা করেই ফেলেছিল। অথচ প্রকৃতপক্ষে তারা নিজেদের ছাড়া আর কাউকে বিভ্রান্ত করছিল না এবং তারা তোমার কোন ক্ষতি করতে পারতো না। আল্লাহ তোমার ওপর কিতাব ও হিকমত নাযিল করেছেন, এমন সব বিষয় তোমাকে শিখিয়েছেন যা তোমার জানা ছিল না এবং তোমার প্রতি তাঁর অনুগ্রহ অনেক বেশী।
সুরহ মাইদাহঃ ৬৭) হে রসূল! তোমার রবের পক্ষ থেকে তোমার কাছে যা কিছু নাযিল করা হয়েছে তা মানুষের কাছে পৌঁছাও। যদি তুমি এমনটি না করো তাহলে তোমার দ্বারা তার রিসালাতের হক আদায় হবে না। মানুষের অনিষ্টকারিতা থেকে তোমাকে আল্লাহ‌ রক্ষা করবেন। নিশ্চিতভাবে জেনে রাখো, তিনি কখনো কাফেরদেরকে (তোমার মোকাবিলায়) সফলতার পথ দেখাবেন না।
সুরহ আনআমঃ ৫০) হে মুহাম্মাদ! তাদেরকে বলো, “আমি তোমাদের একথা বলি না যে, আমার কাছে আল্লাহর ধনভাণ্ডার আছে, আমি গায়েবের জ্ঞানও রাখি না এবং তোমাদের একথাও বলি না যে, আমি ফেরেশতা। আমি তো কেবলমাত্র সে অহীর অনুসরণ করি, যা আমার প্রতি নাযিল করা হয়।” তারপর তাদেরকে জিজ্ঞেস করো, অন্ধ ও চক্ষুষ্মান কি সমান হতে পারে? তোমরা কি চিন্তা-ভাবনা করো না?
আকবার হাদিস তিনটিঃ
সুরহ আনকাবুতঃ ৪৫) (হে নবী!) তোমার প্রতি অহির মাধ্যমে যে কিতাব পাঠানো হয়েছে তা তেলাওয়াত করো এবং নামায কায়েম করো, নিশ্চিতভাবেই নামায অশ্লীল ও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে। আর আল্লাহর স্মরণ এর চাইতেও বড় জিনিস। আল্লাহ জানেন তোমরা যা কিছু করো।
সুরহ মুউমিনুনঃ ১০) যারা কুফরী করেছে কিয়ামতের দিন তাদের ডেকে বলা হবে, “আজ তোমরা নিজেদের ওপর যতটা ক্রোধান্বিত হচ্ছো, আল্লাহ‌ তোমাদের ওপর তার চেয়েও অধিক ক্রোধান্বিত হতেন তখন যখন তোমাদেরকে ঈমানের দিকে আহ্বান জানানো হতো আর তোমরা উল্টা কুফরী করতে।
সুরহ নিসাঃ ১৫৩) এই আহ্‌লি কিতাবরা যদি আজ তোমার কাছে আকাশ থেকে তাদের জন্য কোন লিখন অবতীর্ণ করার দাবী করে থাকে, তাহলে ইতিপূর্বে তারা এর চাইতেও বড় ধৃষ্ঠতাপূর্ণ দাবী মূসার কাছে করেছিল। তারা তো তাঁকে বলেছিল, আল্লাহকে প্রকাশ্যে আমাদের দেখিয়ে দাও। তাদের এই সীমালংঘনের কারণে অকস্মাৎ তাদের ওপর বিদ্যুত আপতিত হয়েছিল। তারপর সুস্পষ্ট নিশানীসমূহ দেখার পরও তারা বাছুরকে উপাস্য রূপে গ্রহণ করেছিল। এরপরও আমি তাদেরকে ক্ষমা করেছি। আমি মূসাকে সুস্পষ্ট ফরমান দিয়েছি।
ব্যাখ্যাঃ আললাহ সুরহ নিসার ১১৩ নমবর হাদিস সহ একাধিক হাদিসে কুরআনকেই হিকমাত বলেছেন। বাকি হাদিসসমুহে কুরআনের মর্যাদা বলা আছে। সুরহ মা-ইদাহের ৬৭ নমবর হাদিস মোতাবেক অমুসলিমদের উপাসনালয়ে কুরআন পাওয়া সুখবর। তাই অমুসলিমদের কুরআনের অর্থ ও ব্যাখ্যাসহ বই উপহার দেওয়া সাওয়াবের কাজ। আমরা মাঝে মধ্যে কারও মৃত্য উপলক্ষ্যে বাইডেনপুতিন ধর্ম ধারা মোতাবেক এক মিনিট নিরবতা পালন করতে বাধ্য হই। এই নিরবতার সময় সুরহ নুহের শেষ হাদিসসহ কুরআনের অন্যান্য দুআ এবং নিজের ভাষায় মৃত ব্যক্তির জন্য দুআ করবো। ফলে এটা ইসলামি নির্দেশনায় সম্পন্ন হবে।


কুরআনের বাহিরের হাদিসের অপ্রয়োজনিয়তা, প্রমান ৩৪ঃ

সুরহ আরফঃ ২০৪) যখন কুরআন তোমাদের সামনে পড়া হয়, তা শোনো মনোযোগ সহকারে এবং নীরব থাকো, হয়তো তোমাদের প্রতিও রহমত বর্ষিত হবে।
সুরহ নিসাঃ ৪২) সে সময় যারা রসূলের কথা মানেনি এবং তাঁর নাফরমানি করতে থেকেছে তারা কামনা করবে, হায়! যমীন যদি ফেটে যেতো এবং তারা তার মধ্যে চলে যেতো। সেখানে তারা আল্লাহর কাছ থেকে নিজেদের কোনো হাদিস লুকিয়ে রাখতে পারবে না।
৭৮) আর মৃত্যু, সে তোমরা যেখানেই থাকো না কেন সেখানে তোমাদের নাগাল পাবেই, তোমরা কোন মজবুত প্রাসাদে অবস্থান করলেও। যদি তাদের কোন কল্যাণ হয় তাহলে তারা বলে, এতো আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়েছে। আর কোন ক্ষতি হলে বলে, এটা হয়েছে তোমার বদৌলতে। বলে দাও, সবকিছুই হয় আল্লাহর পক্ষ থেকে। লোকদের কী হয়েছে, কোন হাদিসই তারা বোঝে না।
৮৭) আল্লাহ তিনিই যিনি ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই। তিনি তোমাদের সবাইকে সেই কিয়ামতের দিন একত্র করবেন, যার আসার ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। আর আল্লাহর হাদিসের চাইতে বেশী সত্যবাদি আর কি হতে পারে?
১৪০) আল্লাহ এই কিতাবে তোমাদের পূর্বেই হুকুম দিয়েছেন, যেখানে তোমরা আল্লাহর আয়াতের বিরুদ্ধে কুফরী হাদিস বলতে ও তার প্রতি বিদ্রূপবাণ নিক্ষেপ করতে শুনবে সেখানে বসবে না, যতক্ষন না লোকেরা অন্য প্রসঙ্গে ফিরে আসে। অন্যথায় তোমরাও তাদের মতো হবে। নিশ্চিতভাবে জেনে রাখো, আল্লাহ‌ মুনাফিক ও কাফেরদেরকে জাহান্নামে একই জায়গায় একত্র করবেন।
ব্যাখ্যাঃ সুরহ আরফের শেষ রুকুর ১৮৯ থেকে ২০৬ নমবর হাদিসে আললাহ ও কুরআনের মর্যাদা, গুরত্ব এবং যারা সালামুন আ্লা মুহাম্মাদকে জিবিত ও তার সুপারিশ বা তিনি ব্যতিত আললাহ তার সৃষ্টি নিয়ন্ত্রনে অক্ষম বিশ্বাস ও শিরক করে তাদের জন্য সাবধান, সতর্কবানি আছে। সুরহ নিসার ৪২, ৭৮, ৮৭, ১৪০ নমবর আইয়াতে হাদিস শব্দটি আছে। অর্থাত সুরহ নিসাতেই হাদিস শব্দটি চারবার এসেছে। কেবল তাই নয় বরং ১৪০ নমবর আইয়াতে বুখারি মুসলিম প্রভৃতি বইকে হাদিসে গয়রিহি বলা হয়েছে। তাই কুরআন ব্যতিত সালামুন আলা মুহাম্মাদের কোনো হাদিস নাই। বুখারি মুসলিম প্রভৃতি বইসমুহের লেখকগন তাদের বুঝমতে কুরআনের ব্যাখ্যা করেছেন। যা মানতে একজন মুসলিম বাধ্য নয়। ইনশাআললাহু আমিনিনা। (সুরহ ইউসুফ ৯৯)

Popular posts from this blog

কুরআন থেকে আমাদের স্রষ্টা এক আললাহ র আদেশ নিষেধের জ্ঞান অর্জন করে, বাস্তবায়ন করি

কুরআনই হাদিস

Salah